Home দুর্গাপার্বণ মহানগরীতে ঠাকুর দেখা ২: রাজীব বসুর ক্যামেরায়

মহানগরীতে ঠাকুর দেখা ২: রাজীব বসুর ক্যামেরায়

0
যাদবপুর আদর্শনগর ইয়ং বেঙ্গলের দুর্গাপ্রতিমা।

কলকাতা: দুর্গাসপ্তমী চলে গেল। এখন গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে পুজোর আর মাত্র ২টি দিন বাকি – মহাষ্টমী/মহানবমী এবং বিজয়া দশমী। এই পঞ্জিকা মতে মহাষ্টমী ও মহানবমী একই দিনে পড়েছে। কিন্তু বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে পুজোর এখনও তিন দিন বাকি – মহাষ্টমী, মহানবমী এবং বিজয়া দশমী। সে যাই হোক, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের মাঝেই চলছে আনন্দনগরীর পুজো দেখা। চিত্রসাংবাদিক রাজীব বসুর ক্যামেরায় দেখে নেওয়া যাক মহানগরীর কিছু পুজো এবং অন্যান্য পুজো সম্পর্কিত কাজকর্ম।

durga saptami kalabou 11.10

দুর্গাপুজোর সপ্তমী শুরু হয় কলা বউস্নান দিয়ে। যেসব সর্বজনীন এবং পারিবারিক পুজোর পক্ষে সম্ভব হয় গঙ্গা থেকে কলাবউকে স্নান করিয়ে আনা, তারা তা-ই করে।

পুজো পরিক্রমা শুরু করা যাক উত্তর থেকে। এ বছর টালা প্রত্যয়ের পুজোর থিম ‘বিহীন The Void’। আলোকসজ্জায়ও রয়েছে অভিনবত্ব। উত্তর কলকাতার টালা পার্কে এই পুজো। শ্যামবাজার পাঁচমাথা মোড় থেকে বেলগাছিয়া রোড ধরে এগিয়ে বেলগাছিয়া ব্রিজ পেরিয়ে বাঁদিকের পথ ধরুন। টালা পার্কে টালা প্রত্যয়ের পুজো মণ্ডপ।

এবার চলুন যাওয়া যাক হাতিবাগান সার্বজনীনের পুজো দেখতে। আপনি যদি উত্তর কলকাতায় আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রোডে খান্নার মোড় থেকে গ্রে স্ট্রিট ধরে বিধান সরণিতে হাতিবাগান মোড়ের দিকে এগিয়ে যান তাহলে মাঝামাঝি জায়গায় পাবেন হাতিবাগান সার্বজনীনের পুজোমণ্ডপ। পার্লে আনন্দবাজার পত্রিকার শারদ অর্ঘ্য-এ এ বছর উত্তরের সেরা সর্বজনীন পুজোর সম্মান পেয়েছে হাতিবাগান সার্বজনীন।

চলুন দক্ষিণে। যে সর্বজনীন পূজামণ্ডপে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের সমর্থনে স্লোগান দেওয়ায় ৯ জনকে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজত দেওয়া হয়েছে দক্ষিণ কলকাতার মনোহর পুকুররোডে সেই ত্রিধারা সম্মিলনীর পূজোয় জনসমুদ্র।

একই রকম জনসুমদ্র চেতলা অগ্রণীর পুজোয়। দক্ষিণ কলকাতার রাসবিহারী মোড় থেকে সোজা পশ্চিমে রাসবিহারী অ্যাভেনিউ ধরে এগিয়ে আদিগঙ্গার সেতু পেরিয়ে যান। তারপর কিছুটা এগিয়ে বাঁদিকে এগোলেই মণ্ডপ।  

দুর্গাপুজোর কয়েকটা দিন রোজই জনজোয়ারে ভাসল সুরুচি সংঘের পুজো। বৃহস্পতিবার সপ্তমীর দিনও তার ব্যতিক্রম হল না। টালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে নিউ আলিপুর পেট্রোল পাম্পের কাছে এই পুজো।

কলকাতায় দুর্গাপুজোর সঙ্গে পার্ক স্ট্রিটের কোনো সম্পর্ক নেই। অথচ সেই পার্ক স্ট্রিট সেজেছে আলোকমালায়। এ যেন বড়োদিনের পার্ক স্ট্রিট। কলকাতাবাসী বিস্মিত। তাদের প্রশ্ন, এত কোটি কোটি টাকা খরচ করে পুজোর দিনগুলোয় পার্ক স্ট্রিটকে সাজানোর অর্থ কী? জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন থেকে সাধারণ মানুষের নজর ঘোরানো।

হুগলি, হাওড়া, মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়ার বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার ফলে পদ্মের জোগানে পড়েছে টান। স্বাভাবিকভাবেই স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি দামে বিকোচ্ছে পদ্ম। এখন মল্লিকঘাটে রোজই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পদ্ম।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version