উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়
বারুইপুর: বনেদি বাড়ির পুজোতেও এবার তিলোত্তমার ছায়া। বারুইপুর বন্দ্যোপাধ্যায়বাড়ির পুজো এবারে ২৭৫তম বর্ষে পড়ল। প্রতিবারের মতন এবারও পুজো উপলক্ষ্যে এক মাস আগে থেকে ঠাকুরের মাটি দেওয়া থেকে শুরু করে ভবন সংস্কারের কাজ জোরকদমে শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু এবার যেন পরিস্থিতি একটু অন্যরকম। আরজি কর কাণ্ডের ছায়া পড়ছে তাদের পুজোতেও।
সদ্য ঘটে যাওয়া আরজি কর কাণ্ডের আবহে বন্দ্যোপাধ্যায়বাড়ির সকলের মন খুবই ভারাক্রান্ত। মা আসছেন, সুতরাং পুজো তাদের হবেই। কিন্তু মায়ের পুজোর এই কটা দিন কীভাবে আনন্দ হবে তা তাঁরা বুঝতে পারছেন না।
বারুইপুরের কল্যাণপুরের এই বন্দোপাধ্যায়বাড়ির প্রতিটি মহিলার এক সুর এবং তা হল আরজি করের মহিলা ডাক্তারের নৃশংস ধর্ষণ-হত্যায় জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তি ও ফাঁসির ব্যবস্থা করতে হবে। তাঁদের বক্তব্য, পুজোর আগেই যদি সিবিআইয়ের তদন্তের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট সমস্ত দোষীর উপযুক্ত শাস্তি বা ফাঁসির সাজা ঘোষণা করে তাহলে তাঁদের মন আর ভারাক্রান্ত থাকবে না। তাঁরা খুশি মনেই পুজোয় জড়িয়ে পড়বেন, যে যার নিজের কাজ আনন্দের সঙ্গে পালন করবেন।
তাঁদের জিজ্ঞাসা, “আর কবে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে? দেখতে দেখতে এক মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। সুবিচারের আশায় মানুষ আর কতদিন অপেক্ষা করবে।”
তাঁদের কথায়, “‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগানের আওয়াজ প্রতিনিয়ত আকাশে-বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে। বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে যারা জড়িত রয়েছে তাদের অবিলম্বে কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি অপেক্ষায় রয়েছি আমরা অর্থাৎ এই বনেদি বাড়ির মহিলারা। তাহলে এই ডাক্তার-মহিলার পরিবার খানিকটা স্বস্তি পাবেন, পাশাপাশি আমরা অনেকটা স্বস্তি নিয়ে পুজোর কটা দিন ধুমধাম করে মায়ের পুজো করতে পারব।”
তাঁরা বলেন, “মা আসছেন কিছুদিনের মধ্যেই। মাকে আমরা বরণ করে ঘরে তুলব, তাঁর পুজো করব। মায়ের কাছে আমাদের একটাই প্রার্থনা, দোষীরা যেন খুব তাড়াতাড়ি দৃষ্টান্তমূলক সাজা পায় অর্থাৎ ফাঁসির সাজা।
আরও পড়ুন
দুর্গোৎসব ২০২৪: এবার কোহিনূরের ইতিহাসে জ্বলজ্বল করবে বেলেঘাটা ৩৩ পল্লির মণ্ডপ
দুর্গোৎসব ২০২৪: ৭৫ বছরে ‘উমাকে পাড়ে’ নিয়ে আসার বার্তা দিচ্ছে ঢাকুরিয়া শহিদনগর সার্বজনীন