চলছে দেবীপক্ষ। চলছে মাতৃশক্তির আরাধনা। কিন্তু বিহারের নালন্দায় আছে এমন এক দেবীমন্দির যেখানে সারাবছর মহিলাদের জন্য দুয়ার খোলা থাকলেও নবরাত্রির সময় ওই মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশ একেবারে নিষেধ। নালন্দার ঘোসরাওয়ান গ্রামে আছে আশাপুরীমায়ের এই প্রাচীন মন্দির।
মনে করা হয়, পালযুগের আমলে নির্মিত এই বিশেষ মন্দির। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এই মন্দিরে বজ্রযান বৌদ্ধধর্ম ও তন্তমন্ত্রের সাধনা করা হয়। নবরাত্রির সময় মহিলাদের গর্ভগৃহে ঢোকা নিষেধ। এমনকি মন্দিরচত্বরেও ঢোকার নিয়ম নেই। মহানবমীর আচার-অনুষ্ঠান হয়ে যাওয়ার পর মহিলারা আবার এই মন্দিরে ঢুকতে পারেন।
মন্দিরের পূজারীরা জানান, নবরাত্রির সময় গর্ভগৃহে তান্ত্রিক রীতিনীতি মেনে পুজো করা হয়। তাই মহিলাদের প্রবেশ নিষেধ। মনে করা হয়, ৯ শতকে এই মন্দিরের গর্ভগৃহে বজ্রযান বৌদ্ধরা তান্ত্রিক রীতিনীতি মেনে চলতেন যা মহিলাদের পক্ষে অমঙ্গলকর। বাসন্তী নবরাত্রির সময়ও মহিলারা মন্দিরে ঢুকতে পারেন না।
নালন্দা ও নওয়াদা জেলার সীমানায় নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯ কিমি পূর্বদিকে এই ঘোসরাওয়ান গ্রামে ১৮৪৮ সালে এক ব্রিটিশ বজ্রযান বৌদ্ধধর্মের নানান প্রমাণ খুঁজে পান। পালযুগের রাজা দেবপালের পৃষ্ঠপোষকতায় বৌদ্ধবিহার গড়ে ওঠে। বহু প্রাচীন লিপি এখনও মেলে এই গ্রামে।