নয়াদিল্লি: বিতর্ক, প্রতিবাদ, মামলার আঁচ কাটিয়ে মঙ্গলবার শুরু হয়েছে জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষা। এরই মধ্যে সরকারি চাকরির জন্য পরীক্ষা দিয়েও ফলাফলের জন্য হা-পিত্যেশ করে বসে থাকা পরীক্ষার্থীরা নতুন প্রচার শুরু করলেন।
এসএসসি-সহ একাধিক চাকরির পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণায় বিলম্বের ঘটনাকে তুলে ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে বিশেষ প্রতিবাদ। “হ্যাজ স্পিক আপ ফর এসএসসি রেলওয়ে স্টুডেন্টস” নামের ওই প্রতিবাদ শুরু হয়েছে জয়েন্ট এন্ট্রাস এবং নিট পরীক্ষা পিছনো নিয়ে সরকারের অনমনীয় মনোভাবের পরই।
করোনা আবহে সর্বভারতীয় স্তরের এই দু’টি পরীক্ষা পিছনোর দাবিতে সরব হয়েছিলেন একাংশের পড়ুয়া এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বরা। তবে সিদ্ধান্তে অনড় থেকেই এ দিন থেকে শুরু হয়েছে জয়েন্ট এন্ট্রাসের পরীক্ষাগ্রহণ।
যেখানে পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে, কিন্তু ফলাফল অধরা
২০১৮-১৯ সালের কমন গ্য়াজুয়েশন লেভেল (CGL) পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা ফলাফল হাতে না পেয়ে হতাশায় ভুগছেন।
২০১৮ সালে সিজিএল পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্টাফ সিলেকশন কমিশন (SSC)। প্রথম পর্যায় এবং দ্বিতীয় পর্যায় অনুসরণ করে গত ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে নেওয়া হয় তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা। গ্রুপ ‘সি’ এবং গ্রুপ ‘ডি’-র জন্য ১১ হাজারের বেশি শূন্যপদের জন্য নেওয়া হয় পরীক্ষা।
পরীক্ষা নিতে অনড়, আর ফলাফলে?
চূড়ান্ত ফলফল প্রকাশিত না হওয়ার ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙছে পরীক্ষার্থীদের। বিশেষ করে, কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যেও সরকার যখন পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে জয়েন্ট এন্ট্রাস এবং নিট পরীক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্তে অনড়, তখন এসএসসি পরীক্ষার্থীরা প্রতিবাদে সরব হচ্ছেন।
তব গত সপ্তাহেই, ২১ আগস্ট এসএসসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তাঁরা ফলাফল ঘোষণা নিশ্চিত করতে যাবতীয় উদ্যোগ নিচ্ছেন। “বর্তমান কোভিড -১৯ মহামারি পরিস্থিতির কারণে অসুবিধা সত্ত্বেও” ফলাফল ঘোষণার কথা জোরের সঙ্গে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
তবুও, চাকরিপ্রার্থীরা হতাশা প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হচ্ছেন। এসএসসি ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর তৃতীয় পর্যায়ের সিজিএল ২০১৮ পরীক্ষা নেয়। ৫০ হাজারের বেশি প্রার্থী পরীক্ষার জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত হন। ওই পরীক্ষার মাধ্যমে ১১ হাজার ২৭১টি শূন্যপদ পূরণের কথা রয়েছে।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।