চেন্নাই: অন্যতম তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা কগনিজ্যান্ট থেকে স্বেচ্ছায় কাজ ছেড়ে গিয়েছেন রেকর্ড সংখ্যক কর্মী। সংস্থা থেকে প্রায় ৩৩ শতাংশ কর্মী স্বেচ্ছায় কাজ ছেড়ে গিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের ‘প্রতিভা যুদ্ধে’ কর্মীদের ধরে রাখতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে সংস্থা।
তুলনামূলক ভাবে ইনফোসিস, উইপ্রো এবং টেক মাহিন্দ্রায় কর্মীক্ষয়ের হার অনেকটাই কম। এই সংস্থাগুলো থেকে ২০ শতাংশের কাছাকাছি কর্মী স্বেচ্ছায় কাজ ছেড়েছেন। অন্য দিকে সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে টিসিএস এবং এইচসিএল-এর মতো সংস্থায় এই হার যথাক্রমে ১১.৯ শতাংশ এবং ১৫.৭ শতাংশ।
কগনিজ্যান্টের সিইও ব্রায়ান হামফ্রিজ জানান, কর্মীদের জন্য ২০১৯ সালের তুলনায় বোনাস বাড়ানো হয়েছে ২০২০-তে। এমনকী চলতি আর্থিক বছরের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে লক্ষ্যযুক্ত মেধা বৃদ্ধি এবং অন্য পদক্ষেপগুলোও বাস্তবায়ন করবে সংস্থা।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ধরনের পদক্ষেপ ২০২০ সালের আগের বছরের তুলনায় ব্যয় কাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। কিন্তু এটা পরিষেবা ব্যবসায় ব্যয় কাঠামোর একটি অপরিহার্য এবং স্বাভাবিক অংশ। এমনটাও দেখতে হয়েছে, এর আগে ৩৭ শতাংশ কর্মী চাকরি ছেড়ে স্বেচ্ছায় চলে গিয়েছেন। সেটাই আগের ত্রৈমাসিকে নেমে ৩৩ শতাংশে ঠেকেছে।
তিনি আরও বলেন, তৃতীয় ত্রৈমাসিকে সংস্থার বিশ্বব্যাপী কর্মী সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ১৮ হাজার ৪০০-য়। যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ স্তরের মধ্যেই রয়েছে। গত সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে ১৭ হাজারের বেশি নতুন কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। গত বছরের এই সময় থেকে ৩৫ হাজারের বেশি কর্মী সংখ্যা বাড়িয়েছে সংস্থা।
শেষ পাঁচটি ত্রৈমাসিক ধরে কর্মীদের চলে যাওয়া কগনিজ্যান্টের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সিইও বলেন, “আমরা আশা করি যে বর্তমানে যে যোগ্যতা-ভিত্তিক পদোন্নতি এবং বেতন চক্রের মধ্য আমরা দিয়ে যাচ্ছি, তাতে আগামী ত্রৈমাসিকে স্বেচ্ছায় কাজ ছেড়ে দেওয়ার বিষয় আরও কিছুটা অস্বস্তি বাড়াতে পারে”।
একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “একটা চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে কাজ করছে সংস্থা। তবে এখন বিনিয়োগ বাড়াতে সক্ষম হয়েছি আমরা। বিশেষ করে ভারতের আয় এবং নগদ অর্থের উপর উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি এবং আর্থিক নমনীয়তা বেশ টেকসই বলেই মনে করা হচ্ছে”।
আরও পড়তে পারেন
নিয়োগের দাবিতে বাঁকুড়ায় বিক্ষোভ-অনশন ডিএলএড ঐক্যমঞ্চের
টিকরি সীমানার আন্দোলনস্থলে ট্রাকের ধাক্কায় ৩ মহিলা কৃষকের মৃত্যু
উত্তুরে হাওয়া গতি পেলেও সামান্য বাধা এখনও রয়েছে, সপ্তাহান্ত থেকে পারদ-পতনের সম্ভাবনা