প্রশ্নপত্র ফাঁস বিতর্কে জড়িয়ে এবার স্থগিত করা হল বিজ্ঞান বিষয়ক গবেষণার প্রবেশিকা সিএসআইআর ইউজিসি নেট। শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ) জানিয়েছে, অনিবার্য কারণবশত এই পরীক্ষা স্থগিত করতে তারা বাধ্য হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিতর্ক এড়াতেই কি এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
এনটিএ-র বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আগামী ২৫ এবং ২৭ জুন এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন এই পরীক্ষার পরবর্তী দিনক্ষণ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। পরীক্ষার্থীদের ওয়েবসাইট www.csir.nta.ac.in –এ নজর রাখতে বলা হয়েছে।
এর আগে, ১৮ জুন দেশে জুড়ে দুটি অর্ধে ইউজিসি নেট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে নয় লক্ষ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু পরীক্ষার স্বচ্ছতা নিয়ে সমস্যা ধরা পড়ায়, পরের দিন ১৯ জুন কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করে পরীক্ষাটি বাতিল করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশও দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রক। সরকারের এই সিদ্ধান্তে দেশজুড়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। বিরক্ত ছাত্রছাত্রীরাও। পরবর্তী পরীক্ষার দিন জানানো হবে বলে জানিয়েছে সরকার।
পরীক্ষার একদিন আগেই নেট প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল কী ভাবে? বিস্ফোরক তথ্য উদ্ধার করল সিবিআই
সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা (নিট)-এর ফল প্রকাশের পরেও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। মোট পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৬৭ জন ওই পরীক্ষায় ১০০ শতাংশ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকে একই পরীক্ষাকেন্দ্রের। বিহারে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে ধরপাকড়ও শুরু হয়েছে। যদিও সুপ্রিম কোর্ট এখনও কাউন্সেলিংয়ে স্থগিতাদেশ দেয়নি।
এই সব বিতর্কের মাঝেই ফের আরও এক সর্বভারতীয় পরীক্ষা স্থগিত করল এনটিএ। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-এর নিয়ম অনুযায়ী, দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলিতে জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ, লেকচারারশিপ এবং সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কাজ করার যোগ্যতা নির্ধারণের জন্য সিএসআইআর ইউজিসি নেট পরীক্ষা নেওয়া হয়।
এই প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিতর্ক এবং এর ফলে বিভিন্ন পরীক্ষার স্থগিতাদেশ শিক্ষা ব্যবস্থার স্বচ্ছতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত অভিভাবক এবং শিক্ষাবিদরা দ্রুত সমস্যার সমাধান চাচ্ছেন। এর ফলাফল কীভাবে হবে, তা দেখার জন্য দেশের ছাত্রসমাজ এবং শিক্ষাব্যবস্থা বর্তমানে প্রতীক্ষায় রয়েছে।