
নিজস্ব প্রতিনিধি: জেআইএস বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় শনিবার এক আন্তঃকলেজ প্রযুক্তি কুইজের আয়োজন করেছিল দেশের অন্যতম প্রাচীন বণিক সংগঠন দ্য বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল সোদপুরের নীলগঞ্জ রোডে গুরু নানক কলেজ ক্যাম্পাসে।
শুধুমাত্র শিল্পের উন্নয়নকে ঘিরে কাজ করাই নয়, এর বাইরেও বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে বেঙ্গল চেম্বার। উদ্দেশ্য, তরুণদের শিল্পোদ্যোগে আরও উৎসাহ দেওয়া, তাঁদের আরও দক্ষ করে তোলা। সেই লক্ষ্য মাথায় নিয়েই এই কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন। এ বার ছিল এই প্রতিযোগিতার অষ্টম সংস্করণ।
এই উপলক্ষ্যে বেঙ্গল চেম্বারের ডিরেক্টর জেনারেল শুভদীপ ঘোষ বলেন, “কুইজ জ্ঞানচর্চার এক অন্যতম মাধ্যম। এর মাধ্যমে আমরা অনেক কিছুই জানতে পারি, শিখতে পারি। যদিও এ বারের প্রতিযোগিতার থিম ‘প্রযুক্তি’, তবুও বিভিন্ন বিষয় থেকে প্রশ্ন আসবে। প্রশ্নে প্রযুক্তির ছোঁয়া থাকতেই পারে। তবে তার মানে এই নয় যে সেগুলি কোনো প্রযুক্তির বিষয় বা প্রক্রিয়ার মধ্যে পড়ছে। এই কুইজ প্রতিযোগিতার একটা নিজস্বতা রয়েছে। আর তাই তো এটা অনন্যসাধারণ, এর চরিত্র বাণিজ্যভিত্তিক কুইজের থেকে ভিন্ন। ফলে এই প্রতিযোগিতা হয়ে ওঠে আরও আকর্ষণীয় এবং আরও উপভোগ্য।”
জেআইএস গোষ্ঠীর অধিকর্তা সিমরপ্রীত সিং বলেন, “শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মানে শুধু কয়েকটা তত্ত্ব আর ব্যবহারিক জিনিস শেখানোর জায়গা নয়। এর মানে আরও বড়ো। কাজের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সংস্থা কেমন কর্মী চায়, তাদের সে সম্পর্কে অবহিত করা এবং সেই ভাবে তৈরি করাও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাজ। প্রতিযোগিতা-ভরা দুনিয়ায় কী করে পড়ুয়ারা তাদের জ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা, শিক্ষা প্রয়োগ করবে এবং সাফল্য পাবে, তা–ও শেখানো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির দায়িত্ব, যাতে দু’ পক্ষেরই সুবিধে হয়। এর ফলে পড়ুয়াদের আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যায় অনেকখানি।”

এ বারের কুইজ প্রতিযোগিতায় ১০০–র কাছাকাছি দল যোগ দেয়। প্রতি দলে ছিলেন ২ জন করে সদস্য। প্রতিযোগীদের মধ্যে আইআইটি খড়গপুর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, সেন্ট জেভিয়ার্স, টেকনো ইন্ডিয়া, বিপি পোদ্দার ইনস্টিটিটিউট অফ টেকনোলজির মতো প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা ছিলেন।
প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয় আইআইটি খড়্গপুর। আইআইটি খড়্গপুর পায় ৪০ হাজার টাকা। দলে ছিলেন পীযূষ কেডিয়া ও রূপম কুমার দুবে। ফার্স্ট রানার আপ হয়ে নিট রৌরকেল্লা পায় ২০ হাজার টাকা। দলে ছিলেন অভিষেক পাত্র ও প্রথমেশ দাশ। সেকেন্ড রানার আপ হয় টেকনো ইন্ডিয়া। তারা পায় ১০ হাজার টাকা। টেকনোর দলে ছিলেন সমন্বয় ব্যানার্জি ও শৌর্য সেনগুপ্ত।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশিষ্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়েবেল টেকনোলজি লিমিটেডের সিইও এবং জিএনআইটি–র পর্ষদ-সদস্য সোমনাথ চ্যাটার্জি, কলকাতার সফটঅয়্যার টেকনোলজি পার্কস অফ ইন্ডিয়া (এসটিপিআই)–র অতিরিক্ত অধিকর্তা মনজিৎ নায়েক প্রমুখ।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।