অভিজিৎ ব্যানার্জি
একই রাজ্যের অন্য জেলায় কোনো পদে আবেদন করার ক্ষেত্রে অনেকেই সঠিক তথ্য না জানার ফলে আবেদন করতে চায় না। তাদের ধারণা থাকে সেই জেলার পরীক্ষার্থীরাই কেবল পরীক্ষায় বসতে পারবে কিংবা পরীক্ষায় পাশ করলেও সেই জেলার প্রার্থীদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। তোমাদের মধ্যে কেউ যদি অন্য জেলায় গিয়ে পরীক্ষা দিয়ে সফল হও, তাহলে তাকে নিতে বাধ্য। চাকরির বিজ্ঞাপনে যদি বলা হয়, সবাই আবেদনপত্র জমা দিতে পারবে, সেক্ষেত্রে কোনো অসুবিধে নেই। তবে অনেক ক্ষেত্রে চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে সরাসরি জানিয়ে দেওয়া হয় যে শুধুমাত্র সেই জেলায় বসবাসকারী প্রার্থীরাই পরীক্ষায় বসতে পারবে।
কিছুদিন আগে বীরভূমে ৩৪৩ জন ক্লার্ক, পঞ্চায়েতকর্মী, ডেটা এন্ট্রি অপারেটর এবং অফিসার পদে নিয়োগের বিজ্ঞাপন বেরিয়েছে। এই ধরনের বিজ্ঞাপন বেরোলে পদগুলোর নাম ভালো করে দেখে তোমার যোগ্যতার সঙ্গে মিলছে এমন পদে আবেদন করতে পারো। এই পরীক্ষায় মাল্টিপল চয়েস প্রশ্ন আসে। অতএব থাকছে নেগেটিভ মার্কিংও। একদিনেই হবে পরীক্ষা। প্রশ্ন থাকবে মূলত ৪টি বিষয়ের ওপর —বাংলা, ইংরেজি, অঙ্ক আর জিকে ( জেনেরাল নলেজ)।
জিকের ক্ষেত্রে বিশেষ করে জোর দেওয়া হয় রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকার গৃহীত প্রকল্পগুলোর ওপর। একটা উদাহরণ দেওয়া যাক; ইন্দিরা আবাস যোজনা — কীসের সঙ্গে যুক্ত/ কোন্ শ্রেণির মানুষকে এর সাথে যুক্ত করা হয়েছে, এই ধরনের প্রশ্ন আসবে। বাংলা ব্যাকরণের ক্ষেত্রে প্রায় প্রত্যেকটা অধ্যায় থেকে প্রশ্ন আসে, ইংরেজির ক্ষেত্রেও তাই। অঙ্ক নিয়ে দুশ্চিন্তা করো না, প্রশ্ন মোটেও শক্ত হয় না। মাধ্যমিক স্তরের প্রশ্ন হয়।
সবশেষে বলি, যেহেতু চাকরির পরীক্ষা, এবং নেগেটিভ মার্কিং আছে, তাই উত্তর করার ক্ষেত্রে খুব সতর্ক হওয়া দরকার।