মৌ বসু
আগামী ১০ জুলাই, বুধবার থেকে চলতি বছরের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় সফল প্রার্থীদের অনলাইন কাউন্সেলিং শুরু হবে। রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পর্ষদের সভাপতি সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় এ কথা জানান। ৫ আগস্ট পর্যন্ত এই কাউন্সেলিং চলবে। ই-কাউন্সেলিং পদ্ধতিতে অনলাইনে তিন ধাপে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া চলবে। অ্যালটমেন্ট, আপগ্রেডেশন ও মপআপ পদ্ধতিতে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া চলবে।
রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পর্ষদের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা ও জেইই (মেন) পরীক্ষায় পাশ করলে কাউন্সেলিংয়ের জন্য নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। কাউন্সেলিং-এ অংশ নেওয়ার জন্য জয়েন্ট বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। পরে মেধাতালিকা অনুযায়ী ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচার সহ বিভিন্ন বিভাগে মোট ৩৫ হাজার আসনে ভর্তি হতে পারবেন প্রার্থীরা। এ বছর ইঞ্জিনিয়ারিং-এ আসন সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৬ হাজার।
রেজিস্ট্রেশনের সময় কী কী বিষয় মাথায় রাখবেন
রেজিস্ট্রেশনের সময় জয়েন্ট পরীক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত তথ্য, ঠিকানা, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত তথ্য দিতে হবে। অ্যাপ্লিকেশন নম্বর ও রোল নম্বর দিতে হবে।
মাধ্যমিক বা সমতুল্য পরীক্ষায় ইংরেজিতে পাওয়া নম্বর দিতে হবে। মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত মোট নম্বর দিতে হবে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত মোট নম্বর দিতে হবে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, গণিত, জৈবপ্রযুক্তি, জীববিজ্ঞান, কম্পিউটার সায়েন্স, কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন, ইলেকট্রনিকস, তথ্যপ্রযুক্তি, ইনফর্মেটিক্স প্র্যাক্টিসেস, টেকনিক্যাল ভকেশনাল সাবজেক্ট, কৃষিবিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রাফিকস, বিজনেস স্টাডিজ, অন্ত্রপ্রনারশিপ ও ইংরেজিতে প্রাপ্ত নম্বর দিতে হবে।
রেজিস্ট্রেশনের সময় খুব ভালো ভাবে নম্বর ও তথ্য দিতে হবে। সাবমিট হয়ে যাওয়ার পর বদল করা যাবে না। চয়েজ না দিলে আসন বণ্টন করা হবে না।
রেজিস্ট্রেশনের সময় পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর ও রেজিস্ট্রেশন ফি জমা দিলেই শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী ইনস্টিটিউট ও কোর্সের তালিকা দেখানো হবে। ভেবেচিন্তে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোর্স বাছতে হবে। সর্বোচ্চ ২০টি চয়েজ বেছে নিতে পারবেন। নিজের চয়েজ লক করে রাখতে হবে। প্রয়োজনে নিজের কাছে প্রিন্টআউট রাখতে হবে। চয়েজ সেভ করা আছে কিন্তু লক করা না থাকলে নির্ধারিত সময়ের পর তা আপনাআপনি লক হয়ে যাবে।
নির্ধারিত সময়ে কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোন বিভাগে আসন বণ্টন করা হয়েছে তা প্রথম রাউন্ডের পর জানানো হবে। লগ ইন করে তা দেখা যাবে।
অ্যালটমেন্ট লেটার ডাউনলোড করতে অ্যাকসেপ্টেন্স ফি/কশন মানি বাবদ ৫ হাজার টাকা অনলাইনে নেট ব্যাঙ্কিং/ইউপিআই/ডেবিট কার্ড/ক্রেডিট কার্ড মারফত জমা দিতে হবে। কশন মানি শর্তসাপেক্ষে রিফান্ডেবল। এই অর্থ জমা না দিলে আসন বণ্টন বাতিল করা হবে। আপগ্রেডেশন রাউন্ডেও আসন বণ্টন করা হবে না।
অ্যালটমেন্ট লেটার ডাউনলোড করার পর প্রয়োজনীয় নথিপত্র সমেত সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হবে ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশনের জন্য। সঙ্গে রাখতে হবে এই সব নথিপত্র—-মাধ্যমিক বা সমতুল্য পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড বা জন্মের শংসাপত্র (বয়সের প্রমাণপত্র), মাধ্যমিক পরীক্ষা বা সমতুল্য পরীক্ষার মার্কশিট, উচ্চ মাধ্যমিক বা সমতুল্য পরীক্ষার মার্কশিট, প্রয়োজনে ওসিআই শংসাপত্র, ডোমিসাইল শংসাপত্র, জাতিগত শংসাপত্র জমা দিতে হবে। বিশেষ ভাবে সক্ষম পরীক্ষার্থীদের প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট শারীরিক শংসাপত্র জমা দিতে হবে।
কাউন্সেলিং রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ ৫০০ টাকা জমা দিতে হবে। তৃতীয় তথা চূড়ান্ত মপ-আপ রাউন্ডের জন্য ফি লাগবে ২০০ টাকা। আগে থেকে রেজিস্ট্রেশন না করা থাকলে একেবারে নতুন ক্যান্ডিডেটের জন্য রেজিস্ট্রেশন বাবদ ১ হাজার টাকা করে লাগবে।
আরও পড়ুন
শেষ হল প্রথম পর্যায়ের স্নাতক স্তরে পোর্টালে ভর্তির প্রক্রিয়া,ভিন রাজ্য থেকে নজরকাড়া আবেদন
নিট কাউন্সেলিং জুলাইয়ের শেষ নাগাদ শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে: সূত্র