উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস রুখতে বড়সড় পরিবর্তন আনল পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। প্রশ্নপত্র সংরক্ষণ ও বিতরণের নিয়ম থেকে শুরু করে পরীক্ষা কেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার করতে একাধিক নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, এতদিন পরীক্ষা শুরুর আগে থানার নজরদারিতে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রশ্নপত্র বণ্টন করা হত। এবার থেকে সেই দায়িত্ব সরাসরি ছাপাখানার মাধ্যমে পরিচালিত হবে, স্থানীয় থানার হস্তক্ষেপ থাকছে না। পরীক্ষার নিরাপত্তা বজায় রাখতে এবার প্রশ্নপত্র নিয়ে যাবতীয় কাজ হবে নতুন নীতির ভিত্তিতে।
মেটাল ডিটেক্টর বসবে পরীক্ষা কেন্দ্রে
প্রতিবছরই পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন নিয়ে ঢোকার ঘটনা সামনে আসে। এবার সেই সমস্যা রুখতে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে মেটাল ডিটেক্টর বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরীক্ষার্থীরা যাতে কোনওভাবেই মোবাইল বা অন্য কোনও ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ করতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ।
প্রশ্নপত্র খোলার নিয়মেও বড় পরিবর্তন
এতদিন পরীক্ষার দিন সকালে প্রধান শিক্ষকের ঘরে মুখবন্ধ খাম খুলে প্রশ্নপত্র বের করা হত। কিন্তু নতুন নিয়মে, প্রশ্নপত্রের খাম সরাসরি পরীক্ষার ক্লাসরুমে পরীক্ষকদের উপস্থিতিতেই খোলা হবে।
শিক্ষা সংসদের দাবি, এতদিন প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পর পরীক্ষার শুরু পর্যন্ত দীর্ঘ সময় থাকায় প্রশ্নফাঁসের আশঙ্কা থাকত। এবার থেকে পরীক্ষার ঠিক আগে সিল খোলার ফলে এই অনিয়ম বন্ধ করা যাবে বলে মনে করছে সংসদ।
শিক্ষক সংগঠনের প্রতিক্রিয়া
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের এই নতুন সিদ্ধান্তকে ‘প্রশংসনীয়’ বলে অভিহিত করেছে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “এটি একটি দৃষ্টান্তমূলক সিদ্ধান্ত, যা প্রশ্নফাঁসের আশঙ্কা কমাবে।” তবে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “শাসক দলের শিক্ষকরা ইচ্ছাকৃতভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁসের চেষ্টা করতে পারেন, তাই নজরদারি আরও বাড়ানো উচিত।”
নতুন নিয়মের সুফল কী?
এই পরিবর্তনের ফলে—
প্রশ্নফাঁসের সম্ভাবনা কমবে
মোবাইল নিষিদ্ধকরণে কড়াকড়ি থাকবে
নতুন নিয়ম পরীক্ষার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে
আপনার মতামত কী? উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার এই নতুন পরিবর্তন কি সত্যিই প্রশ্নফাঁস রুখতে কার্যকর হবে? কমেন্টে জানান!