ওয়েবডেস্ক: যদি সেন্সর বোর্ড আপত্তি না তুলত, তা হলে জয়কে মেরে ফেলার কোনো প্রয়োজনই ছিল না! সম্প্রতি পুণে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিতে এসে এ রকমই বিস্ফোরক দাবি করলেন পরিচালক রমেশ সিপ্পি।
সিপ্পি জানিয়েছেন, তৈরি হওয়ার পর ‘শোলে’-র মুক্তি নিয়ে আনা টালবাহানা করেছিল সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশন। সাফ জানিয়ে দিয়েছিল তারা, ছবির শেষটা বদলাতে হবে!
সিপ্পি এর আগে অনেক সাক্ষাৎকারেই জানিয়েছিলেন যে জয়কে মেরে ফেলার কোনো ইচ্ছা তাঁর ছিল না। কিন্তু তার পিছনে যে সেন্সর বোর্ডের হাত ছিল, সে কথা কবুল করলেন এই প্রথম! জানালেন, তিনি প্রথমে ছবির শেষটা মিলনান্তক-ই রেখেছিলেন। কিন্তু সেন্সর বোর্ড দু’টি বিষয় নিয়ে আপত্তি তোলে। শুনতে খুব অদ্ভুত লাগলেও যার প্রথমটা বিধবা বিবাহ সংক্রান্ত।
আরও পড়ুন: বার বার হেমা মালিনীর বাংলোয় চিতাবাঘের হানা, দেখুন ছবি-ভিডিও
এখন যেমন ‘পদ্মাবত’ প্রসঙ্গে দাবি করেছে বোর্ড- ছবির জহর ব্রত দেশের ঘরে ঘরে সতী হওয়ার ধুম ফেলবে, তেমনই আপত্তি উঠেছিল ঠাকুরের বিধবা পুত্রবধূর জয়ের সঙ্গে মিলন নিয়ে। বোর্ডের বক্তব্য এ ক্ষেত্রে অনেকটা এ রকম- এ যেন দস্যু দমনের পুরস্কার! ফলে, জয়কে মেরে ফেলা ছাড়া তাঁর অন্য উপায় ছিল না!
দ্বিতীয় যুক্তিটি সেন্সর বোর্ডের ‘শোলে’-সংক্রান্ত আরও অদ্ভুত! সিপ্পি প্রথমে দেখাতে চেয়েছিলেন, ঠাকুর গব্বরকে মেরে ফেললেন! কিন্তু, বোর্ড আপত্তি তুলে জানায়, শেষের এই দৃশ্য বড়োই হিংসাত্মক হয়ে যাবে। কেন না, ঠাকুর কোনো অস্ত্র দিয়ে তো আর গব্বরকে মেরে ফেলতে পারবেন না। অতএব, যদি ক্রমান্বয়ে পদাঘাতে তিনি গব্বরকে হত্যা করেন, তবে সেই দৃশ্য হবে নৃশংস- এমন দাবি-ই উঠেছিল সেন্সর বোর্ডের তরফে। যার পরিণামে জয়কে মেরে ফেলার পাশাপাশি গব্বরকেও ছেড়ে দিতে হয়!
বলিউডে অনুমান, ‘পদ্মাবত’ নিয়ে যে হারে হাস্যকর আপত্তি তুলে চলেছে সেন্সর বোর্ড, তার প্রেক্ষিতেই পুরনো সেই দিনের কথা সবার কাছে খুলে বললেন সিপ্পি। যেন বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, সময় বদলালেও সেন্সর বোর্ডের মানসিকতা এতটুকুও বদলায়নি!