ওয়েবডেস্ক: তাঁর প্রয়াণে একটি যুগ যে মুছে গেল বাংলা ছায়াছবি তথা কলকাতার বুক থেকে, সে কোনো নতুন কথা নয়। কিন্তু পাশাপাশি, অকপট সত্যবাদিতার তারাও ঢেকে গেল মেঘে। প্রয়াত হলেন কিংবদন্তি চলচ্চিত্র পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের স্ত্রী সুরমা ঘটক।
জানা গিয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরেই শারীরিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ছিলেন শ্রীমতী ঘটক। বেশ কিছু দিন ধরে ভর্তি ছিলেন এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে। সেখানেই অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। কিন্তু জীবনপ্রদীপটি নিভে গেল সোমবার মধ্য রাতে। রাত ১২টা বেজে ১৫ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
স্ত্রী সুরমা, পুত্র ঋতবান এবং কন্যা শুচিস্মিতা, সংহিতাকে রেখে পৃথিবী ত্যাগ করেছিলেন ঋত্বিক ঘটক। পুত্র ঋতবান বেশ কিছু দিন মানসিক হাসপাতালে কাটানোর পর এখন প্রায় গৃহবন্দি। কন্যা সংহিতার আর শুচিস্মিতারও মৃত্যু হয়েছে আগেই। আর এ বার চলে গেলেন সুরমাও।
মঙ্গলবার সকালে তাঁর মরদেহ নিয়ে আসা হয়েছিল চেতলার সরকারি আবাসনে। এর পর কেওড়াতলা মহাশ্মশানে শেষকৃত্য। যা ঋত্বিক ঘটক সম্পর্কেও সব কথাকে রেখে দিল অজানা আঁধারে।
সত্যি বলতে কী, সুরমা ছাড়া আর কেই বা বলতে পারতেন, ঠিক কেমন ছিলেন ঋত্বিক! জানতেন বলেই তো অকপটে বলতে পেরেছিলেন তিনি, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের ‘মেঘে ঢাকা তারা’ আদতে ঋত্বিকের বায়োপিক হয়নি! লোকে যত প্রশংসাই করুক- একমাত্র তিনিই বলেছিলেন, ঋত্বিককে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের আরও অনুশীলন প্রয়োজন ছিল!
আসলে ঋত্বিকের জীবদ্দশায় তাঁকে যেমন আগলে রেখেছিলেন সুরমা, মৃত্যুর পরেও সেটাই করে গিয়েছেন অক্লান্ত ভাবে। তাঁর প্রয়াণে ঋত্বিকের মরণোত্তর গাথাও অভিভাবকহীন হল, বলাই যায়!