নিজস্ব প্রতিনিধি: আমি আসব ফিরে!
‘ওয়াও! মোমো’-র আউটলেটে একবার যাওয়ার পর মনের অবস্থা এ রকমই হয়! কলকাতার মোমো ম্যাজিক এখন অনেকটাই ওঁদের দখলে!
যদিও শুধুই স্বাদ নয়! সঙ্গে মনোরম পরিবেশও এ বার অনেকটা ছড়িয়ে মোমো-রসিকদের হাতে তুলে দিচ্ছে সংস্থা। তাঁদের পার্ক স্ট্রিটের নতুন আউটলেটের সৌজন্যে।
আর সেখানেই সম্প্রতি বসল এক অভিনব সাঙ্গীতিক আসর। মিডনাইট জ্যাম-এর ধারণা বিদেশে নতুন কিছু নয়। কোনো পানশালা বা খাবারের জায়গা ঘিরে সঙ্গীতের উচ্ছ্বাস তৈরি, অনেক যুগ ধরেই জনপ্রিয় পশ্চিমি সংস্কতির দুনিয়ায়। কলকাতাও যে এর আগে মিডনাইট জ্যাম-এর সাক্ষী থাকেনি, তা নয়! কিন্তু ‘ওয়াও! মোমো’ আয়োজিত এই মধ্যরাতের সঙ্গীত সমাবেশ আয়তনের দিক থেকে গুণে গুণে গোল দিল পুরনো ইতিহাসকে! সময় স্বীকার করতে বাধ্য- এটাই বাংলার ইতিহাসে সর্ববৃহৎ মিডনাইট জ্যাম!
এবং সেই মিডনাইট জ্যামের আসর বসেছিলও এক অভিনব উদ্যোগকে কেন্দ্র করে। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে অঞ্জন দত্তর নতুন ছবি ‘আমি আসব ফিরে’! এই প্রথম শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস-এর প্রযোজনায় ছবি করলেন বর্ষীয়ান গায়ক ও পরিচালক। যে ছবির সঙ্গে ‘ওয়াও! মোমো’ আবার জড়িয়ে আছে খাদ্যসঙ্গী হিসাবে। সব মিলিয়ে কলকাতার রাত সাক্ষী থাকল এক ত্র্যহস্পর্শের।
মিডনাইট এই জ্যাম-এ হাজির ছিলেন অঞ্জন দত্ত, তাঁর বহু পুরনো সাঙ্গীতিক সঙ্গী অমিত দত্ত এবং ছেলে নীল দত্ত। তাঁদের এই সুরসফরে ‘ওয়াও! মোমো’-র পার্ক স্ট্রিটের আউটলেটে ধরা দিয়েছিলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, সৃজিত মুখোপাধ্যায়-সহ কলকাতার ছবি কারখানার খ্যাতনামা শিল্পীরা। সমবেত উচ্ছ্বাস জানিয়ে দিল, মিডনাইট জ্যাম এবং সঙ্গে ‘ওয়াও! মোমো’-র আতিথেয়তা- দুই তুলনাবিহীন!
কলকাতা-ভিত্তিক ‘ওয়াও! মোমো’ ২০০৮ সালে শুরু করেছিল পথ চলা! দেখতে দেখতে তাঁদের মোমো ম্যাজিক সম্মোহিত করেছে সকলকে। দেশের ১০টি শহরের নানা জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা তাঁদের ১৫০টি আউটলেট রোজ সুস্বাদ সরবরাহ করে চলেছেন মোমো-মোদীদের পাতে। সেই তালিকায় মধ্যরাতের এই সঙ্গীত সমাবেশ আয়োজন করে আলাদা ভাবে নাম উজ্জ্বল করল পার্ক স্ট্রিটের এই নয়া আউটলেট!