মুম্বই হাইকোর্টের কাছে ভর্তসিত হওয়ার পরেও শিক্ষা হয়নি সেন্সর বোর্ডের। ফের তাদের নাক গলানো। এ বার তাদের নিশানায় প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার ব্রেট লি-র প্রথম ছবি ‘আনইন্ডিয়ান’।
পহলাজ নিহালনির সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশন (সিবিএফসি) ফতোয়া দিয়েছে, ওই ফিল্মে তন্নিষ্ঠা চ্যাটার্জির সঙ্গে ১ মিনিট ৮ সেকেন্ড ধরে খালি পিঠের যে সহবাস-দৃশ্য আছে তা ছেঁটে দিতে হবে। চলচ্চিত্রনির্মাতারা রাজি থাকলে ওই দৃশ্য ২৬ সেকেন্ডের মধ্যে শেষ করা যেতে পারে। তা ছাড়া সহবাসের সময় মন্ত্রোচ্চারণের যে দৃশ্য দেখানো হয়েছে, তা-ও চলবে না। শরীরের এক পাশের ছবিও দেখানো চলবে না। বোর্ডের একজামিনিং কমিটি (ইসি) বলেছে, চলচ্চিত্রনির্মাতারা যদি ওই ছবির জন্য ‘ইউ/এ’ সার্টিফিকেশন আশা করেন, তা হলে ইসি-র সুপারিশ মানতে হবে।
ইসি-র সুপারিশে মর্মাহত ছবির পরিচালক অনুপম শর্মা। তিনি বলেন, সহবাস-দৃশ্যের পাশাপাশি মন্ত্রোচ্চারণের একটি দৃশ্য দেখানো হয়েছে, যেখানে অমুগামীরা ‘ওম শ্রিম হ্রিম’ মন্ত্রটি পাঠ করছেন। তিনি ব্যক্তিগত ভাবে এক জন হিন্দু। সুতরাং কারওর ভাবাবেগে আঘাত করার কোনও উদ্দেশ্যই তাঁর নেই। নান্দনিক ভাবে ওই দৃশ্য তোলা হয়েছে। এর চেয়ে ভারতের টিভিতে ও আইটেম গানে অনেক বেশি দেখানো হয়।
অনুপম বলেন, “উড়তা পঞ্জাব-এর মতো আমার ফিল্ম রাজনৈতিক হয়, কোনও বার্তা দেওয়ার উদ্দেশ্য আমার নেই। ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা ১৯ আগস্ট। এখনও তিন সপ্তাহ সময় আছে। সুতরাং আমি আমার দিক থেকে ওই দৃশ্য ছাঁটাইয়ের বিরোধিতা করব। বম্বে হাইকোর্ট পরিষ্কার বলে দিয়েছে চলচ্চিত্র ‘সেন্সর’ করার কোনও অধিকার সেন্সর বোর্ডের নেই। এ থেকেও যে বোর্ড কোনও শিক্ষা নেয়নি, তা দেখে আশ্চর্য হচ্ছি।”
সেন্সর বোর্ডের ফতোয়ার কথা শুনে ব্রেট লি বলেন, “বেশ রুচিস্নিগ্ধ ভাবে ওই দৃশ্য তোলা হয়েছে। দেখানো হয়েছে দু’টি মানুষ কী ভাবে এক হয়ে যায়, যা আমাদের প্রতি দিনের জীবনে ঘটছে। তবে কোনটা ঠিক বা কোনটা বেঠিক তা বিচার করার লোক আমি নই।”
অন্য দিকে তন্নিষ্ঠা বলেছেন, এখন থেকে সেন্সরের বদলে রেটিং সিস্টেম চালু করা হোক। ফিল্মের বিষয় অনুযায়ী রেটিং করা হোক।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।