ওয়েবডেস্ক: পুত্র তৈমুরকে নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের আগ্রহের বহর দেখে মহা চিন্তায় পড়েছেন সইফ আলিখান এবং করিনা কাপুর। ছেলের জন্মের পর থেকেই মিডিয়া তাকে যে ভাবে ঘিরে থাকছে, তা আগামী দিনে আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন তাঁরা। ফলে তৈমুর বড়ো হয়ে বুঝতে শিখলে এই বিষয়টিকে কী ভাবে নেবে, সেই চিন্তায় কপালে ভাঁজ ফেলেছে বাবা-মায়ের।
এ দেশেও এখন পাপারাজি সংস্কৃতি যথেষ্ট পরিশীলিত হয়ে উঠেছে। কতকটা পশ্চিমী ধাঁচেই তারা সটান ঢুকে পড়ছেন অন্দর মহলে। বিমানবন্দর, জিম, নাইট ক্লাব, রেস্তোরাঁ – কোনো জায়গাতেই তাঁদের অভাব নেই। করিনা বলেছেন, তৈমুর জন্ম নেওয়ার পর থেকেই সংবাদ মাধ্যম তার পিছু ছাড়ছে না। কিন্তু সমস্যা অন্যত্র, ও যখন বড়ো হয়ে উঠবে, তখন ঠিক কী ভাবে নেবে এই বিষয়টিকে?
সইফ-অমৃতার কন্যা সারা আলিখান অভিনয় জগতে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে নিয়েও আগ্রহের ঢেউ উঠেছে। ইনস্টাগ্রাম বা স্ন্যাপচ্যাটের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ছবি টপ ভিউজের তকমা পাচ্ছে। সইফ মন্তব্য করেছেন, ‘সারা প্রাপ্তবয়স্ক। সে অভিনয়ে পা দিতে চলেছে। ফলে সে খুব ভালো করেই বুঝতে পারছে, কোনটা তার পক্ষে করা ভালো আর কোনটা মন্দ। কিন্তু তৈমুরের ক্ষেত্রে এ কথা বলা যায় না। সে নেহাতই শিশু। ফলে তার ভালো-মন্দের দিকগুলো আমাদেরই দেখতে হবে।’
সইফ তাঁর মন্তব্যকে আরও সহজ করে বলেছেন, ‘আমি নিজের জন্য পোশাক পরি। আমি তাদের জন্য পোশাক পরে পরিতৃপ্ত হতে যাব কেন, যখন জানি না তারা কে। আমি যখন জিমে যাই তখন হাফ প্যান্ট পরে যাই। কেউ নজর রাখছে বলে আমি আমার অভ্যেস বদল করতে পারি না। কারণ আমি সর্বদা মডেলের মতো ঘুরে বেড়াতে পারি না। আমি আমার মতোই বাঁচতে চাই।’
তাঁর ধারণা, এখন তাঁকে বা করিনাকে যে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আগামী দিনে তৈমুরকেও পড়তে হতে পারে। কিন্তু তাঁরা যে হেতু পেশাদারিত্বের বেশ কয়েকটা বছর কাটিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের পক্ষে এগুলিকে এড়িয়ে ওঠা সম্ভব। কিন্তু তৈমুর পারবে তো?