কঙ্গনা রানাউতের বহুল আলোচিত ছবি “ইমার্জেন্সি” মুক্তির তারিখ স্থগিত করা হয়েছে শিখ সম্প্রদায়ের আপত্তির কারণে। ছবির ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই পাঞ্জাবে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়, এবং ছবিটি এখনও সেন্সর বোর্ডের সবুজ সংকেত পায়নি। প্রথমে ছবিটি ৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল, তবে বর্তমানে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সেন্সর বোর্ডের ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর অনুযায়ী, বোর্ড আরও কিছু কাটছাঁটের নির্দেশ দিয়েছে। বোর্ড জানিয়েছে, তারা প্রতিটি সম্প্রদায়ের অনুভূতিকে বিবেচনায় রেখে সিদ্ধান্ত নেবে।
এর আগে শিরোমনি আকালি দল ছবিটির মুক্তি বন্ধের জন্য সেন্সর বোর্ডের কাছে একটি আইনি নোটিশ পাঠায়। তাদের অভিযোগ, ছবিটি ‘সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা’ উস্কে দিতে পারে এবং ‘ভুল তথ্য’ ছড়িয়ে দিতে পারে। ২৭ আগস্ট পাঠানো ওই নোটিশে বলা হয়েছে, ‘এ ধরনের উপস্থাপনা কেবল বিভ্রান্তিকর নয়, এটি পাঞ্জাব এবং গোটা দেশের সামাজিক বন্ধনকে গভীরভাবে আঘাত করে। কঙ্গনা রানাউত কংগ্রেস বিরোধী রাজনৈতিক বা ঐতিহাসিক বক্তব্য দেওয়ার জন্য নয়, বরং শিখ সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করেই এই বিষয়টি বেছে নিয়েছেন।’
নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ছবিতে শিখ সম্প্রদায়কে ‘অন্যায়ভাবে এবং নেতিবাচকভাবে’ উপস্থাপন করা হয়েছে। কঙ্গনা রানাউত অবশ্য এর আগেই জানিয়েছিলেন যে তিনি ছবিটি সেন্সার বোর্ডের কাটছাঁট রুখতে আদালতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত।
কঙ্গনা এক পোস্টে বলেছেন, ‘আমাদের উপর চাপ রয়েছে যাতে আমরা ইন্দিরা গান্ধীর হত্যা, জার্নাল সিং ভিন্দ্রনওয়ালে এবং পাঞ্জাব দাঙ্গা দেখাতে না পারি। আমি জানি না তাহলে আমরা কী দেখাব…”।
তিনি আরও বলেন, ‘এটি আমার জন্য অবিশ্বাস্য সময় এবং আমি এই দেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য অত্যন্ত দুঃখিত।’
বর্তমানে ছবিটির মুক্তির নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়নি। পরিস্থিতি নির্ভর করছে সেন্সর বোর্ডের পরবর্তী সিদ্ধান্তের উপর। তবে পাঞ্জাবের সামাজিক এবং রাজনৈতিক মহলে ছবিটি নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে।