সোমবার একটি ভিডিও শেয়ার করে কিন্নর আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ঘোষণা করলেন বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকর্ণি। কিছুদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়া ও আখড়ার ভেতরে তাঁকে ঘিরে বিতর্ক চলছিল, যা শেষমেশ তাঁর পদত্যাগের মাধ্যমে পরিণতি পেল।
জানা যায়, মমতা কুলকর্ণিকে মহামণ্ডলেশ্বর করার সিদ্ধান্ত নিয়ে আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠী ও কিন্নর আখড়ার প্রতিষ্ঠাতা ঋষি অজয় দাসের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। অনেক সাধু-সন্তও মমতার নিয়োগের বিরোধিতা করেছিলেন। ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে, ঋষি অজয় দাস মমতা কুলকর্ণি ও লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠী—দুজনকেই মহামণ্ডলেশ্বরের পদ থেকে সরিয়ে দেন।
ভিডিও বার্তায় মমতা কুলকর্ণি বলেন— “আমি মহামণ্ডলেশ্বর মমতা নন্দগিরি এই পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে যে সংঘর্ষ চলছে, তা ঠিক নয়। আমি ২৫ বছর ধরে সন্ন্যাসিনী এবং আগামীতেও তাই থাকব। মহামণ্ডলেশ্বর হিসেবে পাওয়া সম্মান ছিল যেন ২৫ বছর সাঁতার শেখার পর শিশুদের তা শেখানোর মতো। কিন্তু আমাকে এই পদে বসানো নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা অনাকাঙ্ক্ষিত। আমি ২৫ বছর আগে বলিউড ছেড়ে দিয়েছি এবং সবকিছু থেকে দূরে থেকেছি।”
তিনি আরও বলেন, “অনেকেই আমার মহামণ্ডলেশ্বর হওয়া নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন, তা শঙ্করাচার্য হোক বা অন্য কেউ। কিন্তু আমার কাছে সমগ্র বিশ্বই ২৫ বছরের তপস্যার ফলস্বরূপ প্রকাশিত হয়েছে।”
ঋষি অজয় দাসের সিদ্ধান্ত নিয়ে লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠী প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “অজয় দাস কে যে আমাকে আখড়া থেকে বহিষ্কার করবে? ২০১৭ সালে তাঁকেই আখড়া থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল!”
এই পদত্যাগের পরেও কিন্নর আখড়ার দ্বন্দ্ব থামেনি। মমতা কুলকর্ণির সিদ্ধান্ত বিতর্কের অবসান ঘটাবে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।