তামিল সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জ্যোতিকা তাঁর ওয়েট লস জার্নির কথা প্রকাশ্যে এনে চমকে দিলেন ভক্তদের। তিন মাসে ৯ কেজি ওজন কমিয়ে নজির গড়েছেন অভিনেত্রী। শুধু ডায়েট বা কড়া ওয়ার্কআউট নয়, ভিতর থেকে সুস্থ হওয়ার পথে পা বাড়িয়েই মিলেছে এই সাফল্য।
এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জ্যোতিকা জানান, এই রূপান্তরের পেছনে রয়েছে চেন্নাইয়ের ‘আমুরা হেলথ’ নামে একটি ওয়েলনেস সেন্টারের বিশেষজ্ঞদের গাইডেন্স। আগে বহুবার ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং, উচ্চমাত্রার ব্যায়াম ইত্যাদি চেষ্টা করেও দীর্ঘমেয়াদী ফল পাননি। তবে এবার যখন তিনি শরীরের ভিতরের ভারসাম্যের দিকে নজর দিয়েছেন, তখনই পেয়েছেন সাফল্য।
তিনি লেখেন, “সব সময়ই ওজন ধরে রাখার লড়াই করেছি। ক্লান্তিকর ওয়ার্কআউট বা একের পর এক ডায়েট বদলেও ফল পাইনি। এবার সঠিক দিশা ও সহায়তায় নিজেকে আরও শক্তিশালী ও জীবন্ত অনুভব করছি।”
এই যাত্রার মোড় ঘুরেছে যখন তিনি গাট হেলথ বা পাচনতন্ত্রের কার্যকারিতা নিয়ে শিখতে শুরু করেন। ক্যালোরি কমানোর বদলে খাবারের গুণমান ও তার প্রভাব নিয়ে সচেতন হন। শিখেছেন কোন খাবার দেহে প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং কীভাবে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ঠিক রাখলে শরীর ও মনে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।
“আমার পাচনতন্ত্র কীভাবে কাজ করে, কোন খাবার দেহে প্রদাহ বাড়ায়, তা বুঝে ফেলেছিলাম। এটা শুধু ওজন কমানো নয়, বরং নিজেকে আরও গভীরভাবে চেনার একটা যাত্রা ছিল। এনার্জি বেড়েছে, মন ভালো থাকে,”—বলেছেন জ্যোতিকা।
এই রূপান্তরের অন্যতম স্তম্ভ ছিল স্ট্রেংথ ট্রেনিং বা পেশি গঠনের ব্যায়াম। কোচ মহেশের তত্ত্বাবধানে জ্যোতিকা নিয়মিত রেসিস্ট্যান্স ট্রেনিং করতে থাকেন, যা তাঁকে শুধু টোনড ফিগারই দেয়নি, বরং দীর্ঘমেয়াদী শক্তি ও স্বাধীনতা অর্জনে সাহায্য করেছে।
“ওজন কমা গুরুত্বপূর্ণ ঠিকই, কিন্তু শারীরিক শক্তি অপরিহার্য। বয়স বাড়লেও তা যেন শক্তির অন্তরায় না হয়, বরং অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠে আরও শক্তিশালী হওয়ার,”—এমনটাই মনে করেন অভিনেত্রী।
এই যাত্রায় শুধুই শরীর নয়, মানসিক ভারসাম্য, স্ট্রেস কমানো এবং আত্ম-সহানুভূতির চর্চাও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে তাঁর কাছে।
জ্যোতিকা বলেন, “সত্যিকারের সুস্থতা মানে ভারসাম্য। নিজের শরীরের প্রতি মনোযোগ দেওয়া, সচেতন সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং ভিতরের জগতকে গুরুত্ব দেওয়া—এই করেই বাইরের পরিবর্তন নিজে থেকেই ঘটে।”