ওয়েবডেস্ক: বর্ণময় জীবন তো বটেই! শরণার্থী হিসেবে ভারতে এসেছিলেন। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত ভারতীয় সেনাবাহিনীর চিফ অফ স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি বাংলাদেশ-ভারত যৌথবাহিনীর প্রধান ছিলেন। এ যুদ্ধে যৌথ বাহিনী জয়ী হয়, পাকিস্তান ৯৩ হাজার সৈন্যসহ আত্মসমর্পণ করে। এর মাধ্যমেই পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন দেশের উত্থান ঘটে। এ হেন স্যাম মানেকশ’ ভারতের মাত্র দুই জন সামরিক কর্মকর্তার একজন যাঁরা সর্বোচ্চ সামরিক পদবী ফিল্ড মার্শাল অর্জন করেছেন। প্রায় ৪ দশক সামরিক বাহিনিতে কর্মরত ছিলেন তিনি। এর মধ্যে মোট চারটি যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন যার মধ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
আরও পড়ুন: ছপাক! শুরুর মুখে প্রযোজক দীপিকা পাড়ুকোনের ছবির শুটিং, জানুন বিশদে!
বলিউড বলছে, বরাবর সত্য ঘটনা অবলম্বনে ছবি করতে যিনি ভালোবাসেন, সেই মেঘনা গুলজার অনেক দিন ধরে ভেবে-চিন্তে অবশেষে মানেকশ’র বায়োপিকে হাত দিয়েছেন। চলছে চিত্রনাট্য লেখালিখির কাজ। সঙ্গে নায়ক বাছাইও। কেন না, এ জায়গায় এসে সামান্য হলেও ফ্যাকড়া দেখা দিয়েছে। মেঘনা চাইছেন- রণবীর সিং অভিনয় করুন ফিল্ড মার্শালের ভূমিকায়। কিন্তু নায়ক সেটা চাইছেন কি না, তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয় বলিউডের অন্দরমহলে।
কেন এখনও পর্যন্ত ছবিটা করতে রাজি হচ্ছেন না রণবীর, তা সত্যিই বিস্ময়ের! খবর মোতাবেকে, এর আগে এক সাক্ষাৎকারে তিনি ভারতীয় সেনার চরিত্রে অভিনয়ের ইচ্ছাও প্রকাশ করেছিলেন। সে দিক থেকে দেখলে মেঘনার এই ছবি তো তাঁর লুফে নেওয়ারই কথা! তা হলে? দেখা যাক! পাকা খবর আসতে বেশি দেরি হবে না বলেই তো মনে হয়!
যদিও নায়কের স্ত্রীর কিন্তু মেঘনার সঙ্গে কোনো সমস্যা নেই! দীপিকা পাড়ুকোন আর মেঘনা বেশ বহাল তবিয়তেই এগোচ্ছেন ছপাক-এর কাজ নিয়ে। এ বার যদি রণবীরও মেঘনার সঙ্গে কাজ করতে রাজি হয়ে যান, ভালোই তো হয়, না?
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।