নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে করা অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্তের মিটু (#MeToo) অভিযোগ গ্রহণ করল না মুম্বইয়ের একটি আদালত। আদালত জানিয়েছে, আইনি সীমার সময়সীমা অতিক্রম করায় মামলাটি গ্রহণযোগ্য নয়।
২০১৮ সালে তনুশ্রী দত্ত অভিযোগ করেন যে, ২০০৮ সালে হিন্দি ছবি হর্ন ওকে প্লিজ -এর একটি গানের শুটিংয়ের সময় নানা পাটেকর তাঁকে হেনস্থা করেছিলেন। তিনি ২০১৮ সালের অক্টোবরে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেন, যেখানে নানা-সহ আরও তিনজনের বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও হয়রানির অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগ ভারতের মিটু আন্দোলনে আলোড়ন তোলে, যেখানে বিভিন্ন ক্ষেত্রের বহু মহিলা যৌন হেনস্থার বিরুদ্ধে সরব হন।
তবে, শুক্রবার আন্দেরির প্রথম শ্রেণির বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট এনভি বনসল জানান, অভিযোগটি ঘটনার ১০ বছর পর দাখিল করা হয়েছে, যা ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী নির্ধারিত সীমারেখার বাইরে। দণ্ডবিধির ৩৫৪ ধারা (নারীর শালীনতার ওপর আঘাত) ও ৫০৯ ধারা (নারীর শালীনতার অবমাননা) অনুযায়ী, তিন বছরের মধ্যে অভিযোগ দায়ের করা বাধ্যতামূলক।
আদালতের পর্যবেক্ষণে জানানো হয়, দেরির যথাযথ ব্যাখ্যা ছাড়াই এ ধরনের অভিযোগ গ্রহণ করা আইনগত ন্যায্যতার পরিপন্থী হবে। আদালত আরও উল্লেখ করে যে, ২০১৯ সালে পুলিশের তদন্তে কোনো প্রমাণ মেলেনি এবং মামলাটিকে ‘মিথ্যা’ বলে চিহ্নিত করা হয়। পুলিশের বি-সামারি রিপোর্টের বিরুদ্ধে তনুশ্রী আপত্তি জানালেও, আদালত মামলাটি সময়সীমার বাইরে বলে খারিজ করে দেয়।
এই রায় তনুশ্রী দত্তের জন্য এটি এক বড় ধাক্কা হলেও, মিটু আন্দোলনের মাধ্যমে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে যে সচেতনতা তৈরি হয়েছে, তা সমাজে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলেছে। এই মামলার আইনি প্রক্রিয়া শেষ হলেও যৌন হয়রানি ও লিঙ্গবৈষম্যের বিরুদ্ধে আলোচনা চলতে থাকবে।