খবর অনলাইন ডেস্ক: প্রয়াত হলেন ‘লাল পাহাড়ির দেশে যা, রাঙামাটির দেশে যা’ খ্যাত কবি-গীতিকার অরুণ চক্রবর্তী। শুক্রবার গভীর রাতে তাঁর চুঁচুড়ার বাড়িতে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন কবি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
‘লাল পাহাড়ির দেশে যা, রাঙামাটির দেশে যা’ গানটি শোনেননি বাংলায় এমন মানুষ কমই আছেন। কী ভাবে এই গান কবির মাথায় এল তার একটি কাহিনি আছে। অরুণ চক্রবর্তী ১৯৭২ সালের এপ্রিল মাসের একদিন শ্রীরামপুর স্টেশনের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময় স্টেশনের পাশেই ফুলে ভরা মহুয়াগাছ দেখতে পান। শ্রীরামপুরে মহুয়া গাছ ও ফুল বড়ো বেমানান মনে হয়েছিল অরুণবাবুর। তাঁর মনে হয়েছিল এখানে, এই শ্রীরামপুরে ধান, আলু বা অন্যান্য সবজি হতে পারে, মহুয়া গাছ কেন? মহুয়া তো লালমাটির দেশে হওয়ার কথা, রাঙামাটির দেশে হওয়ার কথা। যেমন ভাবা, সঙ্গে সঙ্গে মাথায় খেলে যাওয়া। জন্ম হল ‘লাল পাহাড়ির দেশে যা’-র।
অরুণ চক্রবর্তীর লেখা এই কবিতায় সুর দেন প্রখ্যাত ঝুমুর গায়ক সুভাষ চক্রবর্তী। ১৯৭৯ সালে ভি বালসারার ব্যবস্থাপনায় সুভাষ চক্রবর্তী গানটি রেকর্ড করেন। ২০২৩-এর ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হন শিল্পী সুভাষ চক্রবর্তী। এ বার চলে গেলেন সেই গানের স্রষ্টা।
শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে পাশ করা অরুণ চাকরি করতেন হিন্দুস্তান মোটরে। সঙ্গে লেখালিখিও করতেন। ‘লাল পাহাড়ির দেশে যা’ তাঁকে পরিচিতি এনে দেয়। লাল পোশাক পরে, মাথায় রঙিন রুমাল বেঁধে, কাঁধে ঝোলা নিয়ে ঘুরতেন অরুণ। এই চেহারাতেই সকলের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তাঁর প্রয়াণে কবি-সাহিত্যিক মহলে শোকের ছায়া।