মুম্বই: ৬৪ বছর বয়সে আত্মজীবনী লিখলেন ঋষি কাপুর। আত্মজীবনীতে বাবা রাজ কাপুরের বিবাহ বহির্ভূত সর্ম্পক নিয়ে ‘খুল্লম খুল্লা’ ঋষি। জানালেন, ‘‘বাবার তখন ২৮ বছর বয়স। তার চার বছর আগেই তিনি হিন্দি সিনেমার ‘শো-ম্যান’। মা ছাড়াও তিনি অন্য আর এক জনের প্রেমে পড়েছিলেন।’’ কে সেই অন্য একজন? আগ (১৯৪৮), বরসাত (১৯৪৯) এবং আওয়ারা (১৯৫১)-এর মতো হিট ছবি নায়িকা। যার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন রাজ কাপুর। তিনি আর কেউ নন, নার্গিস। সরাসরি নাম না করলেও ইঙ্গিত তেমনটাই বুঝিয়ে দিয়েছেন। তিনি নার্গিসকে বলেছেন, রাজ কাপুরের ‘ইন-হাউস হিরোইন’। জুটির শ্রী ৪২০ একটি দৃশ্যকে পরবর্তীকালে কাপুরের মালিকানাধীন আরকে স্টুডিওর লোগো করা হয়েছিল। যদিও নার্গিস মাদার ইন্ডিয়া ছবির পর তাঁর সহ-অভিনেতা সুনীল দত্তকে বিয়ে করেন। তাদের ছেলে সঞ্জয় দত্ত।
Tirupati. With friends Subba Rao and Jairam this afternoon. Presented my first copy to the Lord. Feel Blessed! pic.twitter.com/X0g3W8KVd9
— Rishi Kapoor -“Book” (@chintskap) January 15, 2017
আত্মজীবনীতে ঋষি অভিনেত্রী বৈজয়ন্তীমালার সম্পর্কে লিখেছেন। সে সময় দু’জনের প্রেম নিয়ে ব্যাপক গুঞ্জন উঠেছিল। কিন্তু বৈজয়ন্তী এই ধরনের সম্পর্ককে অস্বীকার করেছেন।
ঋষি লিখেছেন,‘‘ বাবার সঙ্গে যখন বৈজয়ন্তীমালার প্রেম চলছিল তখন তিনি আমাকে এবং মাকে মেরিন ড্রাইভের কাছে নটরাজ হোটেলে রেখে যান। সেই হোটেল থেকে দু’মাসের জন্য আমরা চলে আসি চিত্রকূট নামে অ্যাপার্টমেন্টে। মা এবং আমাদের জন্য ওই অ্যাপার্টমেন্টটি বাবা কিনেছিলেন। বাবা এই সব করেছিলেন তাকে (বৈজয়ন্তীমালা) পেতে। মাও ব্যাপারটার শেষ না হাওয়া পর্যন্ত হাল ছাড়েননি।’’
বৈজয়ন্তীমালা এই বিষয়টিকে উড়িয়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘পাবলিসিটি’ পেতে এই প্রেমের গল্প রাজ কাপুর বাজারে ছড়িয়েছিলেন। কিন্তু ঋষি তাঁর আত্মজীবনীতে জানিয়েছেন, ‘‘বাবা বেঁচে থাকে তিনি (বৈজয়ন্তীমালা) সর্ম্পকটাকে ‘পাবলিসিটি স্টান্ট’ বলেতে পারতেন না।’’
রাজ কাপুরের প্রেম কাহিনি ছাড়াও আরও নানা বিষয়ে মুখ খুলেছেন ঋষি। অমিতাভ সম্পর্কে বলেছেন, বিগ বি সহ অভিনেতাদের কৃতিত্ব দিতে চাননি কখনো। অমিতাভের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক যে কখনোই স্বাভাবিক হয়নি, তাও খোলাখুনি লিখেছেন ঋষি।