মুম্বইয়ের বান্দ্রায় অভিনেতা সাইফ আলি খানের বাড়িতে ঘটে যাওয়া চাঞ্চল্যকর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত এখনও অধরা। গত বুধবার রাত ১টা ৩৮ মিনিটে এই ঘটনা ঘটে। সিসিটিভি ফুটেজ থেকে দেখা যায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি মুখে লাল স্কার্ফ ও মাথায় টুপি পরে সাইফের বাড়ির ১১ তলায় ঢুকে আক্রমণ চালায়।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তকে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে কালো রঙের হাফ হাতা টি-শার্ট পরে আগমনের সময় এবং পরে হালকা নীল রঙের শার্ট পরে এলাকা ছাড়তে। পোশাক পরিবর্তনের ঘটনা থেকে অনুমান করা হচ্ছে, অভিযুক্ত একজন পেশাদার অপরাধী।
বান্দ্রা থানার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘আমরা অভিযুক্তের ছবি মুম্বই পুলিশের ৪০ হাজার সদস্যের সঙ্গে শেয়ার করেছি। পাশাপাশি, প্রাক্তন অফিসার ও ট্যাক্সি-অটো ইউনিয়নের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এখনও কেউ অভিযুক্তকে শনাক্ত করতে পারেনি।’’
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত প্রথমে বাড়ির পিছনের গেট দিয়ে ঢুকে সিসিটিভি এড়িয়ে অগ্নিনির্বাপক সিঁড়ি দিয়ে উপরে ওঠে। তিনি ২ ফুট চওড়া একটি শ্যাফ্ট ব্যবহার করে সাইফের ছোট সন্তানের বাথরুম দিয়ে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করেন।
সাইফ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা অভিযুক্তকে একটি ঘরে আটকে রেখে অন্য তলায় আশ্রয় নেন। সেখান থেকে অভিযুক্ত একই শ্যাফ্ট ব্যবহার করে পালিয়ে যায় বলে ধারণা পুলিশের।
পুলিশ জানিয়েছে, এই হাইপ্রোফাইল ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত দুর্বল। ভবনের মূল ও পিছনের গেটে নিরাপত্তারক্ষী থাকলেও প্রবেশের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সতর্কতা নেওয়া হয়নি। সিসিটিভি কাভারেজও সীমিত। স্থানীয় বিক্রেতারা জানিয়েছেন, নিরাপত্তারক্ষীরা অনেক সময় যাচাই না করেই তাঁদের ভবনের ভিতরে ঢুকতে দিতেন।
অভিযুক্তের হদিস পেতে পুলিশের ২০টিরও বেশি দল সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। সিসিটিভি ফুটেজের পাশাপাশি, মাদক মামলায় অভিযুক্তদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও উল্লেখযোগ্য সূত্র পাওয়া যায়নি।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, অভিযুক্তের খোঁজ পেতে ইনফর্মারদের নেটওয়ার্ক ব্যবহার এবং পূর্ব অপরাধীদের ডেটাবেস খতিয়ে দেখা হচ্ছে।