উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়: সুন্দরবন মানেই ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল। আর এই ম্যানগ্রোভ নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের গবেষণার সুবিধার কথা ভেবে এ বারে ক্যানিংয়ে তৈরি করা হল ম্যানগ্রোভ পরিচিতি কেন্দ্র।
প্রশ্নের জবাব পাবেন পড়ুয়া থেকে গবেষকরা

ক্যানিংয়ের মাতলা নদীর চরে গড়ে তোলা হল এই ম্যানগ্রোভ পরিচিতি কেন্দ্র। প্রায় তিন একর জমির উপর গড়ে উঠেছে এই কেন্দ্রটি। গরান, বাইন, কাঁকড়া-সহ প্রায় ১৮ প্রকারের ম্যানগ্রোভ গাছ রাখা হয়েছে এখানে।
সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভকে গভীর জঙ্গলে গিয়ে ভালো ভাবে দেখা সম্ভব হয় না। একটি জায়গার মধ্যে আবার সমস্ত রকম ম্যানগ্রোভকে পাওয়াও সম্ভব হয় না। ম্যানগ্রোভের ফুল-পাতা শ্বাসমূল-সহ বিভিন্ন কিছু নিয়ে বহু ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করেন। বহু গবেষকও বিদেশ থেকে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ সম্পর্কে জানার জন্য আসেন। সবার জন্য সেই ভাবে ম্যানগ্রোভ পরিচিতি কেন্দ্র কোথায় গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি।
এ বার ক্যানিংয়ের মাতলা নদীর চরে তাই গড়ে তোলা হল এই পরিচিত কেন্দ্রটি। আগামী দিন ম্যানগ্রোভ নিয়ে মানুষের জানার আগ্রহ আরও বাড়বে বলেই মত উদ্যোক্তাদের। আর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা।
ইতিমধ্যেই জায়গাটিকে ঘিরে ম্যানগ্রোভ গাছ বসানো হয়েছে। কয়েকদিন আগে এই ম্যানগ্রোভ কেন্দ্রটির উদ্বোধন করেন বিধায়ক পরেশরাম দাস, ক্যানিংয়ের বিডিও শুভঙ্কর দাস-সহ আরও অনেকে।
দুর্যোগ মোকাবিলায় ম্যানগ্রোভে বাড়তি জোর

রাজ্যে সরকার সুন্দরবনকে বাঁচাতে বিপুল পরিমাণে ম্যানগ্রোভ বসানোর কর্মসূচি পালন করছে। সুন্দরবনকে বাঁচাতে আরও বেশি বেশি করে ম্যানগ্রোভ লাগানোর পরামর্শ দিচ্ছেন পরিবেশবিদরা। গত বছরের মতো এ বছরও ৫ কোটি ম্যানগ্রোভের চারা লাগানোর কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছেন, সুন্দরবনকে রক্ষা করতে গেলে আমাদের আরও অনেক ম্যানগ্রোভের চারা বসাতে হবে এবং এই ম্যানগ্রোভ কাটা আটকাতে হবে।
মমতার কথায়, কংক্রিটের বাঁধ তৈরি করলে জলের তোড়ে তা ভেঙে যাবেই। সে কারণেই প্রকৃতির রোষকে প্রাকৃতিক ভাবেই মোকাবিলার করতে হবে। এমনকি এ বার পূর্ব মেদিনীপুরেও ম্যানগ্রোভ অরণ্য তৈরির কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়তে পারেন: ৫ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ! ক্লার্ক অ্যাডমিট কার্ড ২০২১ প্রকাশ করল এসবিআই