প্রবল ঠান্ডায় কাঁপছে কাশ্মীর উপত্যকা। এমন প্রবল ঠান্ডার মধ্যেই কাশ্মীরের বারামুলা জেলার বোনিয়ার এলাকার নুরখা গ্রামে বিরল প্রজাতির ছাগলের খোঁজ মিলল। পাকিস্তানের জাতীয় পশু এটি। পাকিস্তানে এদের স্ক্রু হর্নড গোট বা পেঁচানো শিংয়ের ছাগল বলে ডাকা হয়। এদের ‘মারখোর’ও বলা হয়। কাশ্মীরে এই প্রাণীর দর্শন পাওয়া অতি বিরল। কারণ এদের মূলত পাওয়া যায় পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও হিমালয়ের কিছু অংশে।
আন্তর্জাতিক ভাবে লাল তালিকাভুক্ত এই প্রাণী ২ হাজার থেকে প্রায় ১২ হাজার ফুট পর্যন্ত উচ্চতায় থাকতে পারে। তবে খুব বেশি উচ্চতায় সাধারণত মেয়ে-ছাগলরা থাকে। পুরুষ মারখোররা থাকে পাহাড়ের নীচের দিকের জঙ্গলে। এই প্রজাতির ছাগলরা বুনো হয়, পোষ মানে না। সাধারণত দল বেঁধে থাকতে পছন্দ করে।
কাশ্মীরের বারামুলা জেলার ওই গ্রামের কয়েক জন বাসিন্দা শনিবার ভোরে গ্রামের কাছের একটি ঝর্নার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখনই তাঁদের নজরে পড়ে এক লোমশ প্রাণী বসে আছে। প্রাণীর মাথার শিং পেঁচালো। এমন প্রাণী দেখে গ্রামবাসীরা দ্রুত বন দফতরে খবর দেন। বন দফতরের কর্মীরা প্রাণীটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
ভারতে এই বিশেষ প্রজাতির ছাগলকে ডাকা হয় ‘মারখোর’ নামে। ‘মারখোর’ শব্দের অর্থ হল সর্পভুক ছাগল। এরা সাপ খায়। কাশ্মীরের লোকমুখে প্রচলিত প্রাচীন কাহিনিতে এই ‘মারখোর’ ছাগলের উল্লেখ রয়েছে।