গোটা দেশেই বায়ুদূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, দেশের বেশ কিছু জেলায় বায়ুদূষণের মাত্রা জাতীয় গড়ের চেয়ে অনেক বেশি। মাত্রাতিরিক্ত বায়ুদূষণ সব বয়সি মানুষের ক্ষেত্রেই মৃত্যু ডেকে আনছে। এই সদ্যোজাতদের বায়ুদূষণের কারণে মৃত্যু ৮৬% বেড়েছে। ৫ বছরের কমবয়সি শিশুদের ক্ষেত্রে বায়ুদূষণের কারণে মৃত্যু বেড়েছে ১০০% থেকে ১২০% এবং প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে বায়ুদূষণের কারণে মৃত্যু বেড়েছে ১৩%।
বায়ুদূষণের কারণে
মুম্বইয়ের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর পপুলেশন সায়েন্সেসের বিজ্ঞানীরা দেশের ৭০০-এর বেশি জেলায় পিএম২.৫ পলিউশন বায়ুদূষণের স্তর নিয়ে গবেষণা চালান। গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য ন্যাশনাল ফ্যামিলি অ্যান্ড হেলথ সার্ভে ও ন্যাশনাল অ্যাম্বিয়েন্ট এয়ার কোয়ালিটি স্ট্যান্ডার্ডে নথিবদ্ধ হয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, যে সব বাড়িতে আলাদা রান্নাঘর নেই, হাওয়া চলাচলের জায়গা কম সেখানে সদ্যোজাত ও প্রাপ্তবয়স্কদের বায়ুদূষণের কারণে অকাল মৃত্যুর আশঙ্কা বেশি। যে সব এলাকায় বাতাসে বায়ুদূষণ সৃষ্টিকারী পিএম২.৫ পলিউশনের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সেখানে সদ্যোজাত ও ৫ বছরের কমবয়সি শিশুদের অকাল মৃত্যুর আশঙ্কা ২ গুণ বেশি। গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে GeoHealth নামক জার্নালে।
গবেষকরা দেখেন বাড়ির মধ্যে দূষিত বায়ুর কারণে সদ্যোজাতদের মধ্যে ১৯% মৃত্যুর আশঙ্কা বাড়ে। ৫ বছরের কমবয়সি শিশুদের ক্ষেত্রে ১৭% অকাল মৃত্যুর আশঙ্কা বাড়ে আর প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ১৩% মৃত্যুর আশঙ্কা বাড়ে। ঘরের ভেতর দূষিত বায়ু ও বাইরের বায়ুদূষণের প্রভাবে পরিস্থিতি আরও বেশি পরিমাণে ক্ষতিকর হতে পারে।
আরও পড়ুন
কুমায়ুনের ওম পর্বতের শীর্ষ থেকে বরফ উধাও, এই বিরল দৃশ্যে শঙ্কিত বিশেষজ্ঞরা