দঃ ২৪ পরগনা
ঐতিহ্যের হৈমন্তীপর্ব: সাবর্ণদের আটচালায় জগদ্ধাত্রী পুজো হচ্ছে ১৯৬৬ থেকে
এক দিনেই তিন প্রহরে পুজো হয় এবং দেবীকে আমিষ ভোগ নিবেদন করা হয়।


শুভদীপ রায় চৌধুরী
শারদীয়া, দীপাবলির শেষে এ বার দেবী জগদ্ধাত্রীর আরাধনা শুরু হল। কৃষ্ণনগর, চন্দননগরের জগদ্ধাত্রীপুজো বিখ্যাত হলেও কলকাতার বিভিন্ন বনেদিবাড়িতে বহু বছর ধরে দেবীর আরাধনা হয়ে আসছে। সিংহবাহিনী চতুর্ভূজা মহামায়ার আরাধনা সাবর্ণদের আটচালাতেও অনুষ্ঠিত হয়।
সাবর্ণদের পুজোয় যে বেদিতে শ্রীশ্রীজগত্তারিণী দুর্গা অধিষ্ঠান করেন ঠিক সেই বেদিতেই স্বর্ণালংকারে সজ্জিতা হয়ে অধিষ্ঠান করেন দেবী জগদ্ধাত্রী। আধ্যাত্মিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক দিক থেকে এই পরিবারের অবদান অনস্বীকার্য। কলকাতার বিবর্তনের ইতিহাসেও এই পরিবারের উল্লেখ পাওয়া যায়।
বড়িশার আটচালায় জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা হয় ১৯৬৬ সালে। এই বাড়িতে এক দিনেই তিন প্রহরে পুজো হয় এবং দেবীকে আমিষ ভোগ নিবেদন করা হয়। ভোগে থাকে সাদাভাত, খিচুড়ি, পোলাও, নানান রকমের ভাজা, তরকারি, মাছ, চাটনি, পায়েস ইত্যাদি।
জগত্তারিনী দুর্গার রঙ যেমন শিউলি ফুলের বোঁটার মতন ঠিক তেমনই জগদ্ধাত্রীর গায়ের রঙও শিউলি ফুলের বোঁটার মতন হয়। দেবী স্বর্ণালংকারে সেজে ওঠেন, তাঁর দুই পাশে থাকেন দুই ঋষি।
তবে এ বছর করোনাভাইরাসের কারণে সাধারণ দর্শনার্থীদের ঠাকুরদালানে প্রবেশের অধিকার নেই। কেবলমাত্র বাড়ির কিছু সদস্যই উপস্থিত থাকতে পারবেন পুজোর সময় উপাচারগুলি গুছিয়ে দেওয়ার জন্য। সামাজিক দূরত্ববিধি মেনেই এ বার সাবর্ণদের বাড়িতে জগদ্ধাত্রীপুজোর আয়োজন করা হচ্ছে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়ুন
ঐতিহ্যের হৈমন্তীপর্ব: বটকৃষ্ণ পাল পরিবারের জগদ্ধাত্রীপুজোর ১২১ বছর
দঃ ২৪ পরগনা
গুজরাত রেল পুলিশ ক্যানিং থেকে উদ্ধার করল ৮ কেজি চোরাই সোনার গয়না
প্রায় পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের আট কেজি সোনার গয়না উদ্ধার করল গুজরাত রেল পুলিশ।


উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, সুন্দরবন: বারুইপুর জেলা পুলিশের ক্যানিং থানার সহযোগিতায় গুজরাত রেল পুলিশ উদ্ধার করল আট কেজি চোরাই সোনার গয়না। এই ঘটনায় ধৃত দুই।
ঘটনায় প্রকাশ,বারুইপুর পুলিশ জেলার আওতাধীন ক্যানিং থানার পুলিশের সহযোগিতায় প্রায় আট কেজি সোনার গয়না-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে গুজরাত রেল পুলিশের স্পেশাল টিম।
ধৃতরা হল অশোক সরকার ও বিজন হালদার। ধৃতদের বাড়ি ক্যানিংয়ের বাহিরবেনা ও থুমকাঠি এলাকায়। উদ্ধার হওয়া সোনার গয়নার বাজার মূল্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৮ এপ্রিল গুজরাতে একটি চলন্ত ট্রেন থেকে ওই বিপুল পরিমাণ সোনার গয়না চুরি হয়। চুরির ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তদন্ত শুরু করে গুজরাত রেল পুলিশ। তারা সূত্র মারফত খবর পায় ধৃত ওই দু’জনের। তাদের বাড়ির ঠিকানাও জোগাড় করে গুজরাত রেল পুলিশ। শুরু হয় তদন্ত।
তদন্তের অগ্রগতি হতেই গুজরাত রেল পুলিশ বারুইপুর পুলিশ জেলার অধীন ক্যানিং থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সেই মতো শুক্রবার রাতেই গুজরাত রেল পুলিশ রাজ্যে আসে। শুক্রবার রাতেই ক্যানিং থানার পুলিশের সহযোগিতায় অভিযুক্তদের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়।
উদ্ধার হয় প্রায় পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের আট কেজি সোনার গয়না। ঘটনায় দুই অভিযুক্ত বিজন হালদার ও অশোক সরকারকে গ্রেফতার করে গুজরাত পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়তে পারেন: ‘ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে, সিআইডি তদন্তের নির্দেশ’ দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
দঃ ২৪ পরগনা
সুন্দরবনের লোকালয়ে ঢুকে পড়ল বাঘ, এলাকায় আতঙ্ক
চৈত্রের প্রখর রোদে শুক্রবার সকালে সুন্দরবন কোস্টাল থানা এলাকায় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার দেখতে পেয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েলেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা।


উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, সুন্দরবন: লোকালয়ে ঢুকে পড়ল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, এলাকায় আতঙ্ক। চৈত্রের প্রখর রোদে শুক্রবার সকালে সুন্দরবন কোস্টাল থানা এলাকায় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার দেখতে পেয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েলেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা।
ঘটনাটি ঘটেছে সুন্দরবন কোস্টাল থানার অন্তর্গত লাহিড়িপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চরঘেরি গ্রামে। স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে চরঘেরি গ্রাম সংলগ্ন গোমর নদীতে একদল মৎস্যজীবী মাছ ধরছিল। এমন সময় একটি পুর্ণাঙ্গ বয়সের বাঘ ঝিলা ৪ জঙ্গল থেকে নদী পার হয়ে লোকালয়ের দিকে পা বাড়ায়। তখনই মৎস্যজীবীরা চিৎকার করে গ্রামের লোকদের জড়ো করে।
মুহূর্তের মধ্যে খবর চাউর হয়ে যায় গ্রামের ভিতর। খবর পৌঁছে যায় সজনেখালি রেঞ্জ অফিসে। সঙ্গে সঙ্গে বন বিভাগের কর্মীরা এসে জাল দিয়ে এলাকা ঘিরে ফেলেন। আর এমন খবরে উৎসুক জনতার ভিড় জমে যায়। গ্রামবাসীদের ভিড় দেখে ও চিৎকার শুনে বাঘটি আশ্রয় নেয় গ্রাম লাগোয়া ম্যানগ্রোভ অরণ্যের ভিতরে।

বনবিভাগের কর্মী ও গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে বাজি পটকা ফাটিয়ে আওয়াজ করেন। ভয় দেখানোর চেষ্টা করেন। বেলা ১১টা নাগাদ বাঘটিকে আবার সুন্দরবনের জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন তাঁরা। লোকালয়ে বাঘ আসাকে কেন্দ্র করে চরঘেরি গ্রামের মানুষরা যথেষ্ট আতঙ্কে রয়েছেন।
সুজিত গায়েন ,মধু মণ্ডল,অপু সরদার-সহ একাধিক গ্রামবাসী জানিয়েছেন, “ওই বাঘ আবারও আসতে পারে লোকালয়ে। সে কারণে পরিবার-পরিজনদের নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। তবে এলাকায় বন দফতরের কর্মীরা আছেন”।
আরও পড়তে পারেন: পানীয় জলের কলে বিষ, হাসপাতালে অনেকে, চাঞ্চল্য দক্ষিণ ২৪ পরগনায়
দঃ ২৪ পরগনা
পানীয় জলের কলে বিষ, হাসপাতালে অনেকে, চাঞ্চল্য দক্ষিণ ২৪ পরগনায়
বর্তমানে অনেকেই মথরাপুর গ্রামীণ হাসপাতাল এবং জয়নগর রামকৃষ্ণ গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন।


উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর: দক্ষিণ ২৪ পরগনার লালপুর গ্রামে জলের কলের মধ্যে বিষ মিশিয়ে দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল বৃহস্পতিবার। স্থানীয় সূত্রে জানা গেল, লালপুর গ্রামে রাতের অন্ধকারে প্রতিটি কলের মধ্যে বিষ দিয়ে দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, লালপুর গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দা ওই জল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। বর্তমানে অনেকেই মথরাপুর গ্রামীণ হাসপাতাল এবং জয়নগর রামকৃষ্ণ গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন।
ঘটনায় প্রকাশ ,লালপুর গ্রামের প্রতিটি কলে দেওয়া হয় বিষ। কিছু না বুঝে ওঠার আগে বৃহস্পতিবার সকালে অনেকেই জল নিয়ে বাড়ি ফিরে যায়। ওই জল খেয়ে অনেকে কিছুটা গন্ধ পেলেও সেই জল তারা খেয়ে ফেলে। কিছুক্ষণ পর শুরু হয়ে যায় বমি। ওই গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দারাই এখন হাসপাতালে ভরতি বলে জানা গিয়েছে।
অবস্থা খারাপ দেখে গ্রামের বাসিন্দারা লালপুর মসজিদের সামনে বিক্ষোভ দেখান। রাস্তার উপর বাঁশ এবং খুঁটি ফেলে রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ঘণ্টা খানেক পর স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকরা এসে উপস্থিত হন। তার আগে লালপুর গ্রামে এসে উপস্থিত হন স্থানীয় বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অলক জলদাতা।

অলকবাবু বলেন, এটা সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে কোনো ব্যক্তি বদমায়েশি করে এই অপকর্ম করেছে। এখন জনগণ তৃণমূল কংগ্রেসের ওপর দোষারোপ করছেন।
সমস্ত কলগুলির এই অবস্থা দেখে প্রশাসন জলের গাড়ির ব্যবস্থা করে দেয়। যতক্ষণ না সমস্ত কল পরিষ্কার করা হচ্ছে তত দিন পর্যন্ত প্রশাসনের জলের গাড়ির ব্যবস্থা থাকবে। এলাকায় পুলিশ পিকেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রশাসনের আশ্বাসের পরে বিক্ষোভ তুলে নেন গ্রামবাসীরা।
প্রসঙ্গত, লালপুর এলাকাটি রায়দিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত।
আরও পড়তে পারেন: তিন দফার ভোটেই ফলাফল বোঝা যাচ্ছে, বেহালার ধন্ধুমার কাণ্ডের পর টালিগঞ্জে বললেন মিঠুন চক্রবর্তী
-
রাজ্য11 hours ago
Bengal Polls Live: পৌনে ৬টা পর্যন্ত ভোট পড়ল ৭৮.৩৬ শতাংশ
-
ক্রিকেট1 day ago
IPL 2021: দীপক চাহরের বিধ্বংসী বোলিং, চেন্নাইয়ের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ল পঞ্জাব
-
শিক্ষা ও কেরিয়ার23 hours ago
ICSE And ISC Exams: দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা পিছিয়ে দিল আইসিএসই বোর্ড
-
মুর্শিদাবাদ15 hours ago
Coronavirus Second Wave: কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন রাজ্যের আরও এক প্রার্থী