গণেশ চতুর্থী ছাড়াও এই বাংলায় গণেশ আরও অন্তত দু’ বার আসেন

0

খবরঅনলাইন ডেস্ক: গণেশ চতুর্থী সারা ভারতের উৎসব। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই উৎসব পালিত হয়। ভাদ্র মাসের শুক্ল পক্ষের চতুর্থী তিথিতে এই উৎসব পালিত হয়।

তবে দেশের কোনো কোনো জায়গায় এই উৎসবের রমরমা খুবই বেশি। বাংলার যেমন শারদীয় দুর্গাপূজা, ঠিক তেমনই মহারাষ্ট্রে গণেশ চতুর্থী। গণেশ চতুর্থীকে ঘিরে দশ দিন ধরে উৎসব আনন্দে মেতে ওঠে মহারাষ্ট্র। উৎসব শেষ হয় ১০ দিন পরে অনন্ত চতুর্দশীর দিন।

বাংলায় গণেশ এক অত্যন্ত জনপ্রিয় দেবতা। ইনি ঘরে ঘরে পূজিত হন। তবে শুধুমাত্র গণেশের নামে উৎসর্গিত কোনো উৎসব এই বাংলায় আগে পালিত হত না, ইদানীং এর চল হয়েছে। কলকাতা শহরে সর্বজনীন গণেশপূজার আয়োজন হচ্ছে গত কয়েক বছর ধরে।

বাংলায় গণেশের সব চেয়ে বড়ো উৎসব পালিত হয় পয়লা বৈশাখে, বঙ্গাব্দের প্রথম দিনে। বাংলা নববর্ষের দিনটি বাঙালি সিদ্ধিদাতা গণেশের পুজো করে তাঁর কাছে সব রকম বাধাবিঘ্ন কাটিয়ে ওঠার প্রার্থনা জানান।  ওই দিন প্রত্যেক বাঙালি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে গণেশ পূজিত হন। গণেশের নামে ওই সব প্রতিষ্ঠানে হালখাতা অনুষ্ঠিত হয়। গণেশ ও লক্ষ্মীর প্রতিমা এবং ব্যবসার নতুন খাতা নিয়ে অনেকে এই দিন খুব সকালে কলকাতার কালীঘাট, দক্ষিণেশ্বর এবং অন্যান্য কালীমন্দিরে যান পুজো দিতে। পূজা হয় গঙ্গাতীরে ও রাজ্যের অন্যান্য মন্দিরেও। 

পয়লা বৈশাখের পর আশ্বিন। শরৎ কালে মা দুর্গার কনিষ্ঠ সন্তান আবার আসেন এই বাংলায়। তখন মা দুর্গা তাঁর চার সন্তানকে নিয়ে বাংলার বাপের বাড়িতে আসেন। প্রতিটি বাঙালি উৎসবে মেতে ওঠে।  এই দুর্গাপূজার সময়েও  গণেশ বিশেষ ভাবে পূজিত হন। দুর্গামূর্তির ডান দিকে অথবা কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাঁ দিকে গণেশের মূর্তি নির্মাণ করে পূজা করা হয়।

এ ছাড়া ভাদ্র ও মাঘ মাসের শুক্লাচতুর্থী তিথিতেও ঘরোয়া গণেশ পূজা বাংলায় প্রচলিত। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান এই সময় সর্বজনীন গণেশপূজারও আয়োজন করে থাকে। এ ছাড়াও কেউ কেউ কালীপূজার দিনও লক্ষ্মী ও গণেশের পূজা করে থাকেন।

বিজ্ঞাপন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.