নয়াদিল্লি: ভারতের কোনো গম চাষি। ব্রাজিলের কোনো আখ ক্ষেতের মালিক। সাউথ আফ্রিকার কোনো ডালশস্য উৎপাদক। কয়েক হাজার কিলোমিটারের দূরত্বে থাকলেও সকলেরই সমস্যা এখন একটাই। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারের ঘাটতিই এখন মূল চ্যালেঞ্জ সকলের সামনে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রুশ সেনাবাহিনী। তার পর থেকে অতিক্রান্ত এক মাস। দু’দেশের সীমানা ছাড়িয়ে এর প্রভাব পড়েছে বিশ্ব জুড়ে। রাশিয়া এবং বেলারুশের সারের আন্তর্জাতিক মূল্য গত মাসে পৌঁছে গিয়েছে রেকর্ড উচ্চতায়। এই দুই দেশ সারা বিশ্বে সার রফতানিতে শীর্ষস্থানে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, গত বছর যে পরিমাণ পটাশ সার রফতানি হয়েছিল, তার ৪০ শতাংশই ছিল রাশিয়া এবং বেলারুশের। কিন্তু রাশিয়ার সামরিক পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া হিসাবে পশ্চিমী শক্তিগুলো কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বেড়েছে অপরিশোধিত তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম। আন্তর্জাতিক সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় উন্নয়নশীল দেশগুলিতে কৃষকদের জন্য সারের সরবরাহ এবং খরচকে প্রভাবিত করেছে।
অন্য দিকে, বৃহৎ প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে সারের মজুদ রয়েছে যথেষ্ট। তা সত্ত্বেও ভারত, ব্রাজিল এবং সাউথ আফ্রিকার মতো দেশগুলোর ক্ষুদ্র কৃষকদের সামনে সংকট। কারণ একটাই, মূল্যবৃদ্ধি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের সংকট কৃষকদের জীবিকাকেই চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিতে পারে। আবার সারের চাহিদা না মেটার কারণে বিকল্প পদ্ধতি ব্যবহারের সুযোগও হতে পারে।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুয়ায়ী, মধ্যপ্রদেশের একটা অংশের ধান ও গম চাষিদের সারের জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। এমনকী কালোবাজারিও চলছে। আসলে শুধু ভারত নয় সাউথ আফ্রিকার কৃষকেরাও শুধুমাত্র প্রয়োজনের সময়েই সার কেনেন। ফলে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আচমকা সরবরাহ কমে যাওয়া এবং দাম বেড়ে যাওয়ায় পড়তে হচ্ছে সমস্যায়। এমন চলতে থাকলে পরিস্থিতি কোন দিকে গড়াবে, সেই ধারণার বাইরে।
আরও পড়তে পারেন:
‘ভারত যা কিনতে চায়, তাই পাবে’, তেল সরবরাহ নিয়ে জবাব রুশ বিদেশমন্ত্রীর
চাতক পাখি দক্ষিণবঙ্গ, রবি-সোমবার ভারী বৃষ্টি উত্তরবঙ্গে