উৎসব
শিখে নিন এই দু’ রকমের রাখি বানানোর পদ্ধতি

খবরঅনলাইন ডেস্ক: দু’ দিন পরেই রাখিপূর্ণিমা। কিন্তু পরিস্থিতি অনুকূল নয় যে পাঁচটা দোকান ঘুরে পছন্দের রাখিটি সংগ্রহ করবেন। তা হলে উপায়? উপায় একটা আছে। রাখি যদি নিজের হাতে বানিয়ে পরানো যায়, তা হলে? একটা অন্য রকম ভালো লাগার অনুভূতি ভরে যায় যিনি পরাচ্ছেন আর যিনি পরছেন দু’ জনের মনেই। কি তা-ই না? তা ছাড়া এখন ডু ইট ইয়োরসেলফের যুগ। তাই বাড়িতেই নিজে হাতে বানিয়ে ফেলুন রাখি। দু’ রকম রাখি বানানোর পদ্ধতি নিচে বলা হল।
উলের রাখি
তার জন্য লাগবে পছন্দের রঙের উলগোলা। নানা রঙের বানাতে হলে একাধিক রঙের উল ব্যবহার করতে হবে।
(১) প্রথমে বাঁ হাতের চারটি আঙুল এক সঙ্গে করে উলের মুখটি নিয়ে আঙুলের মধ্যে বেশ খানিকটা পেঁচিয়ে নিতে হবে।
(২) তার পর উলটি কাঁচি দিয়ে কেটে গোলা থেকে আলাদা করতে হবে।
(৩) এ বার হাত থেকে উল ওই অবস্থায় রেখেই খুলে ফেল আনতে হবে।
(৪) সেই উল এক টুকরো ছোটো উল দিয়ে ঠিক মাঝ বরাবর বেঁধে নিতে হবে।
(৫) এ বার উলের চার দিকটা কাঁচি দিয়ে কেটে গোল আকার দিতে হবে।
(৬) এই ভাবে দুই থেকে তিনটি রঙের উল নিয়ে ছোটো গোল ফুলের মতো করে নিতে হবে। তবে নজর রাখতে হবে সব ক’টি যেন এক মাপের না হয়। কোনোটা ছোটো কোনোটা বড়ো বানাতে হবে।
(৭) এর পর বড়ো মাপের উলের গোল ফুলগুলি আঠা দিয়ে পর পর বসিয়ে নিতে হবে।
(৮) এর পর হাতে বাঁধার মতো মাপ করে একটি উলের টুকরো নিয়ে এই উলের ফুলটির নীচে আঠা দিয়ে বসিয়ে দিতে হবে। তার জন্য ব্যবহার করতে হবে একটি ছোটো কাগজের টুকরো। ফুলটির পেছনে উলের টুকরোটি মাঝ বরাবর বসিয়ে আঠা দিয়ে তার ওপর কাগজের টুকরোটি সাঁটিয়ে দিতে হবে।
(৯) এ বার ফুলটি উলটে নিয়ে সোজা পিঠে কিছু নকশা করা যেতে পারে। তার জন্য বাজারচলতি পুঁতি বা রংবেরঙের স্টোন ব্যবহার করা যেতে পারে। এই সবই পছন্দমতো ব্যবহার করা যাবে। সবটাই আঠা দিয়ে ফুলটির ওপর আটকাতে হবে। ব্যাস তৈরি উলের রাখি।

শিফন সুতোর রাখি
পদ্ধতি একই। খালি উলের বদলে ব্যবহার করতে হবে নানান রঙের শিফন সুতো।
(১) বেঁধে নেওয়ার পর ছোটো ব্রাশ দিয়ে ফুলটিকে ভালো করে আছড়ে নিতে হবে।
(২) এর পর চার দিকটা সমান ভাবে গোল করে কেটে নিতে হবে। পেছনে একটি রঙিন রিবন ব্যবহার করা যায়। তা কাগজের মাধ্যমে আঠা দিয়েই আটকাতে হবে।
(৩) এর পর সাজানোর পালা। সাজানোর জন্য বাজারে নানান রকমের পুঁতি ও স্টোন বা জরি পাওয়া যায়। সেগুলিকে আঠার মাধ্যমে রাখির ওপর বসিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে নেওয়া যায়। তা হলেই তৈরি শিখন সুতোর রাখি।
উৎসব
পৌরাণিক তথ্য অনুযায়ী ইনিই হলেন মহাগণপতি

খবরঅনলাইন ডেস্ক : গণপতির ৩২টি রূপের মধ্যে মহাগণপতি হল একটি বিশেষ রূপ। অনেক শাস্ত্রজ্ঞের মতে এটি তান্ত্রিক রূপ।
গণেশের অন্য রূপগুলির মতো মহাগণপতি রূপটিও গজানন অর্থাৎ হস্তিমস্তক বিশিষ্ট। তাঁর গায়ের রঙ সিঁদুর অথবা নবোদিত সূর্যের মতো লাল টকটকে। মহাগণপতির অধিকাংশ মূর্তিতেই কপালে তৃতীয় নেত্র, মাথায় অর্ধচন্দ্র ও দশটি হাত থাকে। এই দশটি হাতের এক একটি থাকে এক একটি সামগ্রী। এই দ্রব্যগুলি বিভিন্ন দেবতার দেওয়া উপহার। আবার অনেক ক্ষেত্রে মনে করা হয় গণপতি যে ওই দশ দেবতার সমান কর্মক্ষমতা রাখেন এটি তারই প্রতীক। হাতে থাকে পদ্ম, ডালিম, গদা, চক্র, তাঁর নিজেরই ভাঙা দাঁত, পাশ, একটি রত্নখচিত কলস, নীলপদ্ম, ধানের শিষ ও ধনুকাকার ইক্ষুদণ্ড।
এই বস্তুগুলি সমগ্র দেবমণ্ডলীর মধ্যে গণপতির শ্রেষ্ঠত্বের প্রতীক। কোনো কোনো মূর্তিতে মহাগণপতির হাতে বহুবীজবিশিষ্ট একটি জামির দেখা যায়। জলের পাত্রের বদলে অমৃত কলস, ডালিমের পরিবর্তে আম, গদার পরিবর্তে শঙ্খ বা শাঁখ থাকে।
জামির সৃষ্টিকর্তা দেবতা শিবের রূপক। ধনুকাকার ইক্ষুদণ্ডটি প্রেমের দেবতা কামের রূপক। তীররূপী ধানের শিষটি পৃথিবীর দেবী ধরার রূপক। এই ইক্ষুদণ্ড ও ধানের শিষ প্রজননশক্তি ও উর্বরতার প্রতীকও। চক্র বিষ্ণুর প্রতীক। গদা বিষ্ণুর বরাহ অবতারের রূপক। রত্নখচিত কলসটি কোনো কোনো মূর্তিবর্ণনায় মহাগণপতির শুঁড়ে পাওয়া যায়। এটি সম্পদের দেবতা কুবেরের রূপক। মনে করা হয় মহাগণপতির কাছ থেকে পাওয়া সৌভাগ্য ও আশীর্বাদেরও প্রতীক এটি।
শাস্ত্রজ্ঞদের মতে, মহাগণপতি পাঁচ শক্তিগণেশের অন্যতম। এই শক্তিগণেশ হল গণেশের সেই সব রূপ, যে রূপে গণেশের সঙ্গে একজন শক্তিদেবী অবস্থান করেন। এই শক্তি হলেন সংশ্লিষ্ট দেবতার স্ত্রী অথবা দিব্যসঙ্গিনীও হতে পারেন। মহাগণপতিরও বাঁ কোলে তেমনই একজন শ্বেতবর্ণা শক্তিদেবীকে দেখা যায়। এই শক্তিদেবীর ডান হাতে একটি পদ্ম থাকে এবং বাঁ হাত দিয়ে তিনি মহাগণপতিকে আলিঙ্গন করে থাকেন। এই পদ্ম পবিত্রতার প্রতীক। মথুরার দসবোদ্ধি গণেশ মন্দিরে মহাগণপতির শক্তিকে সম্পদ ও সৌভাগ্যের দেবী অর্থাৎ মহালক্ষ্মী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
অপর একটি ধর্মগ্রন্থ মতে এই শক্তি দেবীর নাম পুষ্টি। মহাগণপতির যে বাঁ হাতে নীল পদ্ম ধরা থাকে সেই হাতেই তিনি তাঁর শক্তিদেবীকে আলিঙ্গন করে থাকেন। এ ছাড়াও মহাগণপতিকে বিভিন্ন দেবদেবী ও অসুররা ঘিরে থাকেন।
উৎসব
ইঁদুর কেন গণেশের বাহন জানেন?

খবরঅনলাইন ডেস্ক : জগতে প্রাণী জীবজন্তুর অভাব নেই। তা হলে শেষমেশ একটি সামান্য পুঁচকে ইঁদুর কেন এত বিশালাকার গণেশের বাহন বলতে পারেন। বাহন মানে তো বহন করে নিয়ে যায় যে, তা হলে এই ছোট্টো ইঁদুরের পক্ষে কি সম্ভব গণপতিকে বহন করে নিয়ে যাওয়া। এর পেছনে রয়েছে একটি পৌরাণিক কাহিনি।
স্বর্গে ইন্দ্রপুরীতে ইন্দ্রের সভায় গান গেয়ে সকলের মনোরঞ্জন করতেন ক্রঞ্চ নামে এক গন্ধর্ব। এক দিন বামদেব নামে এক ঋষি এসে উপস্থিত হন সেই সভায়। শুধু যে উপস্থিত হলেন তা-ই নয়, সেখানে তিনি তাঁর বেসুরো গলায় গান গাইতে শুরু করেন। সেই গান শুনে নিজের হাসি চাপতে পারেননি গন্ধর্ব ক্রঞ্চ। সেই হাসি দেখে ফেলেন বামদেব। আর যাবে কোথায় সঙ্গে সঙ্গে ক্রোধান্বিত হয়ে পড়েন বামদেব। তিনি ক্রঞ্চকে অভিশাপ দেন। অভিশাপের ফলে ক্রঞ্চ ইঁদুর হয়ে যান। মুনি শাপ দেন কোনো দিন আর গান গাইতে পারবেন না ক্রঞ্চ। তক্ষনি তিনি নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান। কিন্তু তাতে বিশেষ কোনো ফল হয় না। তিনি ইঁদুর হয়ে যান এবং এসে পড়েন মর্ত্যের খোলা মাঠে। তবে মুনি বলেছিলেন কোনো দিন যদি গণেশ তাঁকে বাহন করেন তা হলে মুক্তি মিলবে।
যা-ই হোক, মাঠের কাছেই ছিল পরাশর মুনির কুটির। ইঁদুর ক্রঞ্চ সেখানেই নিজের খাদ্যের সন্ধানে হানা দিতে শুরু করেন। এ দিকে ইঁদুরের উৎপাতে অতিষ্ট হয়ে ওঠে সেখানকার বাসিন্দারা।
এর পর এক দিন গণেশ সেই মুনির কুটিরে পৌঁছোন। জানতে পারেন ইঁদুরের কুকীর্তির কথা। তখন তাকে ধরতে উদ্যত হন গণেশ। অবশেষে ধরেও ফেলেন। কিন্তু ক্রঞ্চ নিজের পরিচয় দিয়ে সব কথা খুলে বলেন গণেশকে। বলেন, বামদেব বলেছিলেন যে স্বয়ং গণপতি যদি তাকে তাঁর বাহন করেন, তবেই ঘুচবে তাঁর দুঃখ। এ কথা শুনে ইঁদুরকেই তিনি নিজের বাহন করে নেন।
উৎসব
জানেন গণেশের একটি দাঁত ভাঙা কেন?

খবরঅনলাইন ডেস্ক : গণেশের যে কোনো মূর্তি দেখলেই একটি বিষয় দেখা যায় যে, একটি দাঁত ভাঙা। এই দাঁত ভাঙার পেছনেও রয়েছে একাধিক গল্প।
‘মহাভারত’ অনুসারে এই মহাকাব্য মহর্ষি বেদব্যাস এবং গণেশের লেখা। পুরাণ অনুসারে, একটি শর্তেই এই মহাকাব্য বলা ও লেখার কাজ করা হয়েছিল। শর্ত ছিল, একটানা বলে যাবেন বেদব্যাস আর তা একটানা একটুও না থেমে লিখে যাবেন গণপতি। তবে শুধু লিখলেই হবে না। পুরোটা বুঝতেও হবে একই সঙ্গে। এই ভাবে মহাকাব্য ‘মহাভারত’ লেখা শেষ করতে তাঁদের দু’ জনের সময় লেগেছিল তিন বছর।
এই ভাবে টানা লিখতে লিখতে এক সময় হঠাৎই লেখার পালকটি ভেঙে যায়। তখন উপায়? থামা তো যাবে না। তা হলে? তখন গণপতি নিজের একটি দাঁত ভেঙে নিয়ে তা দিয়ে লেখা চালিয়ে যান।
এই গল্পটি ছাড়াও আরও একটি কাহিনি প্রচলিত আছে গণেশের দাঁতভাঙা নিয়ে। দ্বিতীয় কাহিনিটি হল গণেশ ও পরশুরামের। এক বার পরশুরাম দেবাদিদেব মহাদেবের সঙ্গে দেখা করার জন্য তাঁর গৃহে যান। কিন্তু গণপতি দরজাতেই তাঁকে আটকে দেন। ভেতরে প্রবেশ করতে দেন না। কারণ সেই সময় মহাদেব ধ্যানে মগ্ন ছিলেন। তখনই ক্রোধান্বিত হয়ে পরশুরাম গণপতির একটি দাঁত কট করে কেটে দেন।
-
রাজ্য3 days ago
বুধবার রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ
-
প্রবন্ধ3 days ago
শিল্পী – স্বপ্ন – শঙ্কা: সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে যেমন দেখেছি, ৮৭তম জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য
-
দেশ2 days ago
রবিবার পর্যন্ত করোনাহীন ছিল লাক্ষাদ্বীপ, পরের দু’ দিনে পজিটিভ ১৫
-
ক্রিকেট1 day ago
ঋদ্ধিমান তো বটেই, হায়দরাবাদে থেকে গেলেন বাংলার আরও এক ক্রিকেটার