বাঙালির পেটপুজো আর উৎসব মানে সেখানেই মুঘল খাবারের ছোঁয়া তো থাকেই। উৎসবের মরসুমে যদি রান্নাঘর জুড়ে বাহারি মুঘল খানাপিনার ব্যবস্থা করেন তাহলে কিন্তু পুজোর আনন্দ বেড়ে আরও দ্বিগুণ হয়ে যায়।
যে কোনও রেস্তরাঁর অন্যতম একটি পদ হল মটন গালৌটি কাবাব। রেস্তরাঁর এই পদ যদি পুজোতে বাড়িতে বানান, তাহলে তো দারুণ হয়।
উপকরণ-
৫০০-৬০০ গ্রাম মাটন কিমা, ৩ চামচ পেঁপের পেস্ট, ২ চামচ জিরে পাউডার, ১ চামচ ধনে পাউডার, ১ চামচ গরম মশলা, ১ টা পেঁয়াজ, ২ চামচ আদা-রসুনের পেস্ট, হাফ চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো, ২ চামচ বেসন, পরিমাণ মতো পুদিনা পাতা, ১ চামচ লেবুর রস, স্বাদ অনুযায়ী নুন, ২ চামচ ঘি, পরিমাণ মতো তেল।
প্রণালী-
একটা বড় বাটিতে মাটন কিমা নিয়ে তাতে লেবুর রস, পেঁপের পেস্ট, ঘি এবং পরিমাণ মতো নুন নিয়ে ভালো করে মেখে নিন। তারপর কম করে ১০ মিনিট ঢাকা দিয়ে রাখুন। কাবাবটা যাতে নরম হয়, সেই কারণে পেপের পেস্টটা দেবেন।
এবার ব্লেন্ডারে পেঁয়াজ, আদা-রসুনের পেস্ট, বেসন, পুদিনা পাতা, ধনে গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, গরম মশলা এবং গোলমরিচ নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। সামান্য পরিমাণে জল দেবেন। দেখবেন সবকটি উপকরণ ভালো করে মিশে গেছে তখন সেই মিশ্রনটা কিমার উপর ঢেলে দিন। এইবার ভালো করে মাখুন কিমাটা, যাতে সবকটি উপাদান কিমার সঙ্গে ঠিক মতো মেশে। প্রয়োজন হলে ব্লেন্ডারের সাহায্যও নিতে পারেন।
কিমাটা মাখা হয়ে গেলে একটা পাত্রে ঢেলে নিয়ে কম করে ৮ ঘন্টা ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। যত বেশি সময় কিমাটা ম্যারিনেট হবে, ততই কিন্তু স্বাদ বাড়বে। ৮ ঘন্টা ম্যারিনেট করার পর কিমাটা ফ্রিজ থেকে বের করে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় খানিক্ষণ রেখে দিতে হবে। তারপর অল্প করে নিয়ে চপের মতো চ্যাপ্টা আকার দিতে হবে। এরপরে কাবাবটা ভেজে নেওয়ার পালা। আর তার জন্য মাঝারি মাপের একটা প্যানে পরিমাণ মতো তেল নিয়ে একটু গরম করে নিতে হবে।
যখন দেখবেন তেলটা গরম হয়ে গেছে তখন হালকা আঁচে কাবাবের এক একটা দিক কম করে ১০ মিনিট ফ্রাই করতে হবে। এইভাবে প্রতিটা কাবাব ভেজে নিতে হবে।