কলকাতা: চলছে বাঙালির সেরা উৎসব দুর্গাপুজো। আর বাঙালির দুর্গাপুজো মানেই আড্ডা, হইহুল্লোড়ের পাশাপাশি জমিয়ে খাওয়াদাওয়া। এই সময় অনেকই বাঙালি খাবার খেতে পছন্দ করেন। তাই পুজোর ক’টা দিন বাঙালি খাবারেরে স্বাদ পেতে সবাই ঢুঁ মারেন শহরের আনাচেকানাচে বাঙালি রেস্তোরাঁয়। আজ এমন কিছু বাঙালিয়ানা ভরপুর রেস্তোরাঁর সন্ধান নিয়ে হাজির আমরা।
ওহ! ক্যালকাটা (Oh! Calcutta)

খাবারের পিছনে যদি মন খুলে খরচা করতে আপত্তি না থাকে তা হলে চট করে ঘুরে আসুন ওহ! ক্যালকাটায়। এই পুরস্কারপ্রাপ্ত ফাইন ডাইনিং রেস্তোরাঁয় বাঙালিয়ানার পরশ পাবেন, সঙ্গে পুজোর আমেজও। ট্র্যাডিশনাল ওল্ড স্কুল বাঙালি খাবারেও পাবেন নতুনত্বের ছোঁয়া। মেনুতে রয়েছে গন্ধরাজ ভেটকি, আম ইলিশ।
১০/৩, এলগিন রোড, পাঁচ তলা, ফোরাম মল, কলকাতা – ৭০০০২০; চার তলা, সিলভার আর্কেড, ৫ জেবিএস হল্ডেন অ্যাভেনিউ, টি-১, টি-২ (ইএম বাইপাস), কলকাতা – ৭০০০০১
রাজবাড়ির খাওয়া (Rajbarir Khawa)

সন্তোষপুর সার্ভে পার্ক অঞ্চলের এই রেস্তোরাঁ মূলত বাঙালি খাবারের অন্যতম সেরা ঠেক।
এ বার পুজোয় দু’ ধরনের বাঙালি থালির আয়োজন করেছে তারা। গন্ধরাজ ভেটকি ভাপা, দমপোক্ত কাতলা, মালাবার মাটনে ঠাসা ‘কলাবতী’ থালি মিলবে মাত্র ৬০০ টাকায়। ‘মেঘমল্লার’ মেনুতে পাবেন লুচি, ছোলার ডাল, ফিশ ফ্রাই, চিকেন, চিংড়ি্র দুর্দান্ত স্বাদু খাবার। খরচ মাত্র ৫৫০ টাকা।
বি ১৭১ সন্তোষপুর অ্যাভেনিউ, সার্ভে পার্ক, সন্তোষপুর, কলকাতা ৭০০০৭৫
৬ বালিগঞ্জ প্লেস (6 Ballygunge Place)

ভোজনরসিক বাঙালিদের জন্য পুজোয় সেরা ঠিকানা দক্ষিণ কলকাতার এই রেস্তোরাঁ। ষষ্ঠীতে বড়ি দিয়ে শাক ভাজা দিয়ে ভোজন শুরু। থালিতে থাকছে কড়াইশুটির কচুরি, রাজনন্দিনী পোলাও, ভেটকি মাছের ফ্রাই, দই মুরগি চিত্রকূট, আরও কত কী!
সপ্তমীর আকর্ষণ নারকেল দিয়ে কচু শাক, ভেটকি পাতুরি, আম-কাসুন্দি মুরগি, বেকড মিহিদানা রাবড়ি, সহ আরও হরেক পদ।
মহাঅষ্টমীর আকর্ষণ লাল মুরগি, ভুনা চিংড়ি, মাটন ডাকবাংলো…আরও হরেক পদ।
নবমী-দশমীতে থাকছে কড়াইশুটির কচুরি, ভাজা মুগ ডাল, ঢাকাই পোড়া মাংস, টমেটো পোস্ত মুরগি সহ নানা জিভে জল আনা নানা পদ।
রেস্তোরাঁর মূল শাখাটি বালিগঞ্জের ৬ বালিগঞ্জ প্লেসে। রয়েছে সল্ট লেক (ডিডি ৩১এ, সেক্টর ১), রাজারহাট (দ্বিতীয় তল, ইকোসুইট, বিজনেস টাওয়ার, অ্যাকশন এরিয়া, নিউ টাউন, কলকাতা ৭০০১৫৭) এবং চৌরঙ্গি (৫৫ ও ৫৫/১ চৌরঙ্গি রোড, জওহরলাল নেহরু চিলড্রেন্স মিউজিয়ামের বিপরীতে) শাখা।
সপ্তপদী (Saptapadi)

উত্তম-সুচিত্রার কালজয়ী ছবিই এই রেস্তোরাঁর থিম। সপ্তপদী পুজোর দিনগুলিতে পাত সাজিয়ে দিচ্ছে অসাধারণ কিছু পদে। থালিতে থাকছে পোলাও, ভেটকি-চিংড়ি কয়েন, লেবু মরিচ মুরগি, কষা মাটন সহ অজস্র পদ। থাকছে মন ভাল করা মিষ্টির পদও। থালির দাম ৮৫০ টাকা।
মহাভোজ থালিতে থাকছে, পোলাও, চিংড়ি, ইলিশ, মুরগি, ভেটকি, মাটনের অসাধারণ কিছু পদ। দাম ১১০০ টাকা।
রয়েছে তিনটি শাখা – পূর্ণ দাস রোড, সল্ট লেক ও বাঘা যতীন।
ওয়ুধ ১৫৯০ (Oudh 1590)

বিরিয়ানি ছাড়া বাঙালির পুজো অসম্পূর্ণ। মুঘলাই খানা খেতে মন চাইলে ট্রাই করাই যায় ওয়ুধ। পুজোর দিনগুলোয় থাকছে অজস্র পদ। বাদাম সরবত দিয়ে শুরু। স্টার্টারে থাকছে মুর্গ জাফরানি কাবাব, শাহি তন্দুরি কাবাব, কাকরি কাবাব সহ আরও অনেক কিছু।
মেন কোর্সের আকর্ষণ ওয়ুধ হান্ডি বিরিয়ানি, রান বিরিয়ানি, মুর্গ বিরিয়ানি, গোস্ত বিরিয়ানি, নিহারি খাস, কিমা কলেজি, মুর্গ ইরানি, মুর্গ রেজালা সহ অনেক কিছু।
মিষ্টিমুখ করতে পারেন ফিরনি, গাজরের হালুয়া দিয়ে। ওয়ুধের স্পেশ্যালিটি হল জাফরানি কাবাব, গালৌটি কাবাব, কলমি কাবাব, মাহি কালিয়া প্রভৃতি।
ওয়ুধের সব ক’টি আউটলেটেই থাকবে এই সবকটি পদ। দেশপ্রিয় পার্ক, সল্টলেক, বিবেকানন্দ পার্ক, নাকতলা, যশোর রোডে আছে রেস্তোরাঁর আউটলেট।
বোহেমিয়া (club de bohemian)

আপনার যদি ফিউশন খাবারে আপত্তি না থাকে তা হলে বোহেমিয়া হল আপনার জন্য সেরা অপশন। কারণ এখানে বাঙালি খাবারেও পাবেন নতুনত্বের ছোঁয়া। চলতি প্রথাভাঙা পথে নতুনের স্বাদ টুইস্টের সঙ্গে। এখানে শুধু আমিষ নয়, নিরামিষেরও একাধিক অপশন পাবেন।
৩২/৪ ওল্ড বালিগঞ্জ ফার্স্ট লেন, কলকাতা ৭০০০১৯।
আরও পড়তে পারেন
পুজোর ভোজের তালিকায় এক দিন থাকুক ‘চাউম্যান’-এর চাইনিজ খাবার
কফি ভালোবাসলে ঘুরে আসুন বুনাফিল ক্যাফে, মিলবে ব্রেকফাস্ট থেকে ডিনার
প্যান্ডেল হপিং না হোক জমিয়ে খানাপিনা সিক্স বালিগঞ্জ প্লেসে, এল নতুন আউটলেট
দুর্গাপুজোয় ঠাকুরবাড়ির খাবারের সম্ভার নিয়ে হাজির সপ্তপদী রেস্টুরেন্ট