খাওয়াদাওয়া
১০টি রোগকে দূরে রাখতে নিয়মিত খান কমলালেবু, জেনে নিন উপকারিতা
সুমিষ্ট রসালো এই ফলে বিভিন্ন পুষ্টিদ্রব্যের পাশাপাশি রয়েছে অত্যন্ত শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। জেনে নিন কোন প্রতিরোধে সক্ষম এই ফল।

খবর অনলাইন ডেস্ক : কার্তিক মাস। বাতাসে হালকা হিমেল হাওয়া। বাজারে এসে গিয়েছে কমলা লেবু। সুস্বাদু এই ফল এমনিতে বেশ জনপ্রিয়। তার উপর চলছে করোনা-কাল। এই সময় রোজ যদি একটি করে কমলা লেবু খাওয়া সম্ভব হয় তবে নানা রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
সুমিষ্ট রসালো এই ফলে বিভিন্ন পুষ্টিদ্রব্যের পাশাপাশি রয়েছে অত্যন্ত শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। জেনে নিন কোন প্রতিরোধে সক্ষম এই ফল।
কমলালেবুর রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা
হাই-ব্লাডপ্রেশার : উচ্চ রক্তচাপের রোগী প্রতিদিন একটি করে কমলা লেবু খেতে পারেন। এর মধ্যে রয়েছে, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন বি এবং হেসপিরিডিন নামে যৌগ রক্তের উচ্চচাপকে নিন্ত্রণ করে।
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি : ভিটামিন এ থাকায় এই ফল রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে। বয়েস সংক্রান্ত চোখের সমস্যাও প্রতিরোধে সাহায্য করে।
হৃদরোগ : কমলালেবুতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, কোলিন, পটাশিয়াম, ডায়েটারি ফাইবার থাকে। যা স্ট্রোক, অ্যাথমিয়া এবং হার্ট অ্যাটাকের সম্ভবনা কমিয়ে দেয়।
ক্যান্সার : ত্বক, মুখের ভিতর, ব্রেস্ট, ফুসফুস, পাকস্থলী ও কোল ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। লিউকোমিয়া প্রতিরোধেও কমলালেবুর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
স্থুলত্ব : ওজন কমাতে হলে নিয়মিত একটি কমলালেবু খেতে হবে। ডায়েটারি ফাইবার সমৃদ্ধ এই ফল কম ক্যালরির।
অরুচি, বদহজম এবং কোষ্ঠবদ্ধতায় : এই তিনটি সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।
ডায়বেটিস : কমলালেবুর ডায়েটারি ফাইবার এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস রক্তে শর্করার মাত্রা নিন্ত্রয়ণে রাখতে সাহায্য করে।
ক্ষতস্থান নিরাময় : অন্যান্য যে কোনও সাইট্রাস ফলের মতো কমলালেবুরও দ্রুত ক্ষতস্থান নিরাময়ে সাহায্যে করে।
ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষা : ঝকঝকে ত্বকের জন্য ভিটামিন-সি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ কমলালেবু অনবদ্য। ব্রন, সানবার্ন, ত্বকের শুষ্কতা ইত্যাদি বিভিন্ন সমস্যা থেকে ত্বককে রক্ষা করে কমলালেবু।
মানসিক অবসাদ : কমলালেবু স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ কমিয়ে মুড বুস্টিং হরমোনের ক্ষরণ বাড়ায়। স্মৃতি শক্তি বাড়াতে কমলালেবু বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
তবে মনে রাখা ভালো
কমলালেবু অত্যন্ত উপকারী ও হলেও তা পরিমিত পরিমাণে খাওয়াই ভালো। অতিরক্তি পরিমাণে খেলে পেটেব্যথা, ডায়েরিয়া, বদহজম, গলা-বুক জ্বালা ইত্যাদি।
হার্ট ও কিডনির রোগে যাঁদের হাই পটাশিয়াম যুক্ত খাবারের উপর নিষেধাজ্ঞা আছে তাঁরা কমলালেবু খাওয়ার আগে পুষ্টিবিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করুন।
খবর অনলাইনে আরও পড়ুন
কেন খাবেন শশা? জেনে নিন ১৭টি উপকারিতা
কেন খাবেন পুঁইশাক? জেনে নিন ১৫টি উপকারিতা
খাওয়াদাওয়া
শীতের রেসিপি: ডাল সবজি মিক্সড পনির কারি

স্মিতা দাস
বার্ড ফ্লুয়ের খবর ছড়াতে অনেকেই মাছ-মাংস-ডিম খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে শরীরে প্রাণিজ প্রোটিনের পরিমাণ কম যাচ্ছে। তাতে তো শরীরের ক্ষতি। এই ভয় ও পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সময় তো কিছুটা লাগবেই। তা হলে কি তত দিন প্রোটিনহীন হয়ে থাকবেন? অন্যান্য খাবারেও রয়েছে প্রোটিন। মাছ-মাংস-ডিম খাওয়া বন্ধ করলে সেই সব খাবার থেকে গ্রহণ করুন প্রোটিন। সে ক্ষেত্রে ডাল খুবই ভালো একটি উপাদান। ডালের সঙ্গে আনাজপাতি মিশিয়ে অর্থাৎ উদ্ভিজ প্রোটিন দিয়ে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে পারেন। তাই নিয়মিত তালিকায় রাখুন ডাল সবজি মিক্সড কারি। প্রোটিনের ভাগ আরও বাড়াতে সঙ্গে মেশানো যায় পনিরও।
ডাল সবজি মিক্সড পনির কারির রেসিপি –
উপকরণ
শুকনো খোলায় হালকা ভাজা মুগডাল ১ কাপ, আলু টুকরো করে কাটা ১টি (নাও দিতে পারেন), গাজর টুকরো করে কাটা ১/২ বাটি, বিট টুকরো করে কাটা ১/২ বাটি, বিন টুকরো করে কাটা ১/২ বাটি, ক্যাপসিকাম টুকরো করে কাটা ১/২ বাটি, বেগুন টুকরো করে কাটা ১/২ বাটি, ফুল কপি টুকরো করে কাটা ১/২ বাটি, পেঁপে টুকরো করে কাটা ১/২ বাটি, পেঁয়াজ কলি টুকরো করে কাটা ১/২ বাটি, টমেটো টুকরো করে কাটা ১/২ বাটি, কড়াইশুঁটি ১/২ বাটি, কাঁচা লঙ্কা ২টি টুকরো করে কাটা, আদাবাঁটা ১ চা চামচ, পনির টুকরো করে কাটা ১ বাটি।
জিরেগুঁড়ো ১ চা চামচ, হলুদগুঁড়ো ১/২ চা চামচ, মরিচের গুঁড়ো ১ চা চামচ, ঘি ১ চা চামচ, তেল ২ চা চামচ, গরমমশলার গুঁড়ো সামান্য, নুন স্বাদমতো, সামান্য চিনি বা তার বিকল্প, পাঁচফোঁড়ন ১ টেবিল চামচ, তেজপাতা ১টি, শুকনো লঙ্কা ২টি।
প্রণালী
পনিরের টুকরোগুলি হালকা ভেজে তুলে রাখুন।
ভাজা মুগডাল নুন দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে কাঁচা লঙ্কা কুচি দিয়ে হালকা রং ধরলে কাটা সবজি দিয়ে হালকা লাল করে ভেজে নিন। নুন, চিনি, হলুদগুঁড়ো ছড়িয়ে হালকা কষে নিন।
এর পর আদাবাঁটা-সহ বাকি মশলা সবজিতে দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। কষানোর সময় সামান্য জলও দিতে পারেন।
এর পর সবজিতে মুগডাল, ভাজা পনির, পরিমাণমতো জল ঢেলে দিন ও ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন। মেশানো হলে ঢাকা দিয়ে ৫ মিনিট রেখে দিন সেদ্ধ হওয়ার জন্য।
অন্য একটি পাত্রে সামান্য তেল গরম করে তাতে ফোঁড়নের মশলা – পাঁচফোঁড়ন, তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা ভেজে নিন।
মুগডালের ঢাকা খুলে তেলসমেত ফোঁড়ন ঢেলে দিয়ে ঘেঁটে দিন। উপর থেকে সামান্য ঘি ও গরমমশলার গুঁড়ো ছড়িয়ে নামিয়ে, ঢাকা দিন।
গরম মুগডাল সবজি মিক্সড পনির কারি পরিবেশন করুন। এটি টিফিনে শুধুও খাওয়া যায়, আবার গরম ভাত বা রুটি, পরটা, লুচির সঙ্গেও খাওয়া যায়।
খাওয়াদাওয়া
শীতের রেসিপি: ধনেপাতার মুচমুচে পকোড়া

ইলা দাস
শীতের সন্ধেবেলায় গরম চা বা কফির সঙ্গে গরম গরম মুচমুচে পকোড়া খেতে বেশির ভাগ মানুষই ভালোবাসেন। সেই পকোড়া যদি ঘরে যত্ন করে বানানো হয় তা হলে তার স্বাদই কিছু আলাদা হয়। তেমনই মুখরোচক ধনেপাতার পকোড়া। শিখে নেওয়া যাক সবুজ ধনেপাতার মুচমুচে লাল পকোড়ার রেসিপি।
উপকরণ
১৫০ গ্রাম ধনেপাতা, ১ কাপ বেসন, ১/২ কাপ ময়দা, ১/৪ কাপ চালের গুঁড়ো, ১ টেবিল চামচ গোলমরিচগুঁড়ো, ১/২ চা চামচ কাঁচালঙ্কা বাঁটা অথবা রেড চিলি ফ্লেক্স, ১/২ চা চামচ জিরেগুঁড়ো, ১/২ চা চামচ হলুদগুঁড়ো, ১/২ চা চামচ কালোজিরে, ১/৪ চা চামচ বেকিং পাউডার, ১/৪ চা চামচ বেকিং সোডা, পরিমাণ মতো নুন, ঠান্ডা জল, সাদা তেল।
প্রণালী
প্রথমে ধনেপাতা ভালো করে বেছে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন। জল ঝরে গেলে গোড়াগুলি কেটে বাকি অংশটা নিন।
এ বার ব্যাটার তৈরি করুন। ধনেপাতার চপ বানাতে ব্যাটার ঘন করে গুলতে হবে। একটি বাটিতে সমস্ত উপকরণ একে একে নিয়ে মিশিয়ে নিন। তার পর ফ্রিজের ঠান্ডা জল অল্প অল্প করে দিয়ে ভালো করে ব্যাটার বানান, খুব পাতলা করবেন না। ঘন যেন হয়।
এ বারে পাত্রে সাদা তেলে গরম করতে বসান। তেল গরম হয়ে গেলে ৪-৫টি করে ধনে পাতার ডাঁটি নিয়ে ব্যাটারে ডুবিয়ে তুলে পাত্রে গরম হওয়া সাদা তেলে ছেড়ে দিন। লাল করে দুই পিঠ ভেজে তুলুন।
গরম গরম ধনেপাতার পকোড়ার ওপরে বিট নুন ও গোলমরিচগুঁড়ো ছড়িয়ে সস, চাটনি বা কাসুন্দি দিয়ে গরম ধোঁয়া ওঠা চা বা কফির সঙ্গে পরিবেশন করুন। শীতের সন্ধেটা জমে যাবে।
আরও পৌষ সংক্রান্তির রেসিপি: চুষি পিঠের পায়েস
খাওয়াদাওয়া
পৌষ সংক্রান্তির রেসিপি: চুষি পিঠের পায়েস

স্মিতা দাস
শীত মানেই পিঠেপুলি, পায়েস, এমন বললে খুব ভুল হবে না। তার ওপর পৌষ সংক্রান্তি। তখন তো পিঠেপুলি পায়েস হবেই হবে। তাই আজ রইল চুষি পিঠের পায়েস বানানোর পদ্ধতি।
উপকরণ
২ টেবিল চামচ চালের গুঁড়ো, ১ টেবিল চামচ ময়দা, ১/২ লিটার দুধ, ২ টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ, গুড় বা চিনি বা তার বিকল্প স্বাদ মতো, ২টি ছোটো এলাচ গুঁড়ো করা, সামান্য কয়েক দানা কেশর, অল্প পেস্তা কাজু কুচি, সামান্য ঘি।
প্রণালী
দুধ গ্যাসে বসিয়ে একদম কম আঁচে বসিয়ে ঘন করুন। দুধ ঘন হলে গুঁড়ো দুধ মিশিয়ে ভালো করে নেড়ে নিন। যাতে দলা না পাকিয়ে যায়।
এবার একটি পাত্রে ময়দা ও চালের গুঁড়ো নিয়ে তাতে সামান্য নুন দিয়ে মিশিয়ে নিন। তাতে অল্প অল্প করে জল দিয়ে শক্ত করে মেখে মণ্ড তৈরি করুন।
হাতে সামান্য ঘি মাখিয়ে নিন। তার পর মণ্ড থেকে কেটে কেটে টুকরো নিয়ে চুষি তৈরি করুন।
গ্যাসে বসানো দুধের পাত্রে চুষি দিয়ে কম আঁচে ফোটান। ঘন হয়ে এলে তাতে গুড়, চিনি বা বিকল্প মিষ্টি দিন। এরপর আরও ৩ মিনিট ভালো করে ফুটিয়ে গ্যাস বন্ধ করুন। ওপর থেকে ছোটো এলাচ গুঁড়ো, কাচু পেস্তা কুচি ও কেশর ছড়িয়ে দিয়ে কিছুক্ষণ চাপা দিয়ে রাখুন। তার পর পরিবেশন করুন।
-
ধর্মকর্ম2 days ago
অন্নপূর্ণাপুজো: উত্তর কলকাতার পালবাড়ি ও বালিগঞ্জের ঘোষবাড়িতে চলছে জোর প্রস্তুতি
-
ভিডিও2 days ago
Bengal Polls 2021: বিধাননগরে মুখোমুখি টক্কর সুজিত বসু-সব্যসাচী দত্তর, ময়দানে জোট প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
-
প্রবন্ধ1 day ago
First Man In Space: ইউরি গাগারিনের মহাকাশ বিজয়ের ৬০ বছর আজ, জেনে নিন কিছু আকর্ষণীয় তথ্য
-
ক্রিকেট20 hours ago
IPL 2021: কাজে এল না সঞ্জু স্যামসনের মহাকাব্যিক শতরান, পঞ্জাবের কাছে হারল রাজস্থান