খাওয়াদাওয়া
রেসিপি: ওটমিল পিনাট কুকিজ

খবরঅনলাইন ডেস্ক: ওট ও পিনাট বাটার খুবই স্বাস্থ্যকর খাবার। আর কুকিজ খেতে কম বেশি অনেকেই পছন্দ করেন। তাই আজ বানিয়ে ফেলা যাক ওট দিয়ে সুস্বাদু কুকিজ।
উপকরণ
ওটস ৩/৪ কাপ, পিনাট বাটার ১/২ কাপ, ডিম ১টি, ময়দা ৩/৪ কাপ, মাখন গলানো আধ কাপ, ব্রাউন সুগার আধ কাপ, সাদা চিনি ১/৩ কাপ, ভ্যানিলা এক্সট্র্যাক্ট ১ চা চামচ, বেকিং সোডা ৩/৪ চা চামচ, নুন ১/৪ চা চামচ।
প্রণালী
একটি বড়ো কাচের বাটিতে মাখন, চিনি ও পিনাট বাটার নিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিন। ফুলে উঠলে ডিম ও ভ্যানিলা এক্সট্রেক্ট মেশান।
এ বার ময়দা, বেকিং সোডা ও নুন দিয়ে অল্প ফেটান। এতে ওটস দিন। আবার ভালো করে মেশান।
আগে ওভেন প্রি-হিট করে নিন ৩৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রায়।
ডো থেকে অল্প অল্প করে নিয়ে কুকির আকারে গোল গোল বানিয়ে ফেলুন।
এ বার একটি ট্রেতে কুকি শিট দিয়ে তার ওপর অল্প মাখন মাখিয়ে কুকিগুলো ২ ইঞ্চি ছেড়ে ছেড়ে বসান।
ট্রে ওভেনে দিয়ে ৮ থেকে ১০ মিনিট বেক করুন। হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে চা বা কফি যে কোনো কিছুর সঙ্গে পরিবেশন করুন।
খাওয়াদাওয়া
শীতের রেসিপি: ধনেপাতার মুচমুচে পকোড়া

ইলা দাস
শীতের সন্ধেবেলায় গরম চা বা কফির সঙ্গে গরম গরম মুচমুচে পকোড়া খেতে বেশির ভাগ মানুষই ভালোবাসেন। সেই পকোড়া যদি ঘরে যত্ন করে বানানো হয় তা হলে তার স্বাদই কিছু আলাদা হয়। তেমনই মুখরোচক ধনেপাতার পকোড়া। শিখে নেওয়া যাক সবুজ ধনেপাতার মুচমুচে লাল পকোড়ার রেসিপি।
উপকরণ
১৫০ গ্রাম ধনেপাতা, ১ কাপ বেসন, ১/২ কাপ ময়দা, ১/৪ কাপ চালের গুঁড়ো, ১ টেবিল চামচ গোলমরিচগুঁড়ো, ১/২ চা চামচ কাঁচালঙ্কা বাঁটা অথবা রেড চিলি ফ্লেক্স, ১/২ চা চামচ জিরেগুঁড়ো, ১/২ চা চামচ হলুদগুঁড়ো, ১/২ চা চামচ কালোজিরে, ১/৪ চা চামচ বেকিং পাউডার, ১/৪ চা চামচ বেকিং সোডা, পরিমাণ মতো নুন, ঠান্ডা জল, সাদা তেল।
প্রণালী
প্রথমে ধনেপাতা ভালো করে বেছে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন। জল ঝরে গেলে গোড়াগুলি কেটে বাকি অংশটা নিন।
এ বার ব্যাটার তৈরি করুন। ধনেপাতার চপ বানাতে ব্যাটার ঘন করে গুলতে হবে। একটি বাটিতে সমস্ত উপকরণ একে একে নিয়ে মিশিয়ে নিন। তার পর ফ্রিজের ঠান্ডা জল অল্প অল্প করে দিয়ে ভালো করে ব্যাটার বানান, খুব পাতলা করবেন না। ঘন যেন হয়।
এ বারে পাত্রে সাদা তেলে গরম করতে বসান। তেল গরম হয়ে গেলে ৪-৫টি করে ধনে পাতার ডাঁটি নিয়ে ব্যাটারে ডুবিয়ে তুলে পাত্রে গরম হওয়া সাদা তেলে ছেড়ে দিন। লাল করে দুই পিঠ ভেজে তুলুন।
গরম গরম ধনেপাতার পকোড়ার ওপরে বিট নুন ও গোলমরিচগুঁড়ো ছড়িয়ে সস, চাটনি বা কাসুন্দি দিয়ে গরম ধোঁয়া ওঠা চা বা কফির সঙ্গে পরিবেশন করুন। শীতের সন্ধেটা জমে যাবে।
আরও পৌষ সংক্রান্তির রেসিপি: চুষি পিঠের পায়েস
খাওয়াদাওয়া
পৌষ সংক্রান্তির রেসিপি: চুষি পিঠের পায়েস

স্মিতা দাস
শীত মানেই পিঠেপুলি, পায়েস, এমন বললে খুব ভুল হবে না। তার ওপর পৌষ সংক্রান্তি। তখন তো পিঠেপুলি পায়েস হবেই হবে। তাই আজ রইল চুষি পিঠের পায়েস বানানোর পদ্ধতি।
উপকরণ
২ টেবিল চামচ চালের গুঁড়ো, ১ টেবিল চামচ ময়দা, ১/২ লিটার দুধ, ২ টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ, গুড় বা চিনি বা তার বিকল্প স্বাদ মতো, ২টি ছোটো এলাচ গুঁড়ো করা, সামান্য কয়েক দানা কেশর, অল্প পেস্তা কাজু কুচি, সামান্য ঘি।
প্রণালী
দুধ গ্যাসে বসিয়ে একদম কম আঁচে বসিয়ে ঘন করুন। দুধ ঘন হলে গুঁড়ো দুধ মিশিয়ে ভালো করে নেড়ে নিন। যাতে দলা না পাকিয়ে যায়।
এবার একটি পাত্রে ময়দা ও চালের গুঁড়ো নিয়ে তাতে সামান্য নুন দিয়ে মিশিয়ে নিন। তাতে অল্প অল্প করে জল দিয়ে শক্ত করে মেখে মণ্ড তৈরি করুন।
হাতে সামান্য ঘি মাখিয়ে নিন। তার পর মণ্ড থেকে কেটে কেটে টুকরো নিয়ে চুষি তৈরি করুন।
গ্যাসে বসানো দুধের পাত্রে চুষি দিয়ে কম আঁচে ফোটান। ঘন হয়ে এলে তাতে গুড়, চিনি বা বিকল্প মিষ্টি দিন। এরপর আরও ৩ মিনিট ভালো করে ফুটিয়ে গ্যাস বন্ধ করুন। ওপর থেকে ছোটো এলাচ গুঁড়ো, কাচু পেস্তা কুচি ও কেশর ছড়িয়ে দিয়ে কিছুক্ষণ চাপা দিয়ে রাখুন। তার পর পরিবেশন করুন।
খাওয়াদাওয়া
শীতের পানীয় মশলা দুধ

স্মিতা দাস
শীতের সন্ধ্যায় গরম গরম পানীয় খাওয়ার আমেজই আলাদা। সে ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময়েই চা বা কফিই খাওয়া হয়। কিন্তু এই একঘেয়েমি কাটিয়ে যদি নতুন কিছু পান করা যায় তা হলে কেমন হয়? মন্দ হয় না। তাই না?
তা হলে বানিয়ে ফেলা যাক শীতের নতুন গরম পানীয় সুস্বাদু মশলা দুধ।
উপকরণ
বড়ো গ্লাসের ১ গ্লাস দুধ, ৩ টেবিল চামচ চিনি বা স্বাদমতো চিনির বিকল্প, ১ চিমটে হলুদগুঁড়ো, ৮টা কাজুবাদাম, ৮টা পেস্তাবাদাম, ৮টা আমন্ড বাদাম, ২টো লবঙ্গ, ২টো ছোটো এলাচ, ১টা বড়ো এলাচ, ১ চিমটে জাফরান, সামান্য দারচিনি, ধুয়ে রাখা কিশমিশ ৬টি, পরিষ্কার করে ধোয়া গোলাপের পাপড়ি ৪-৫টি।
প্রণালী
২টি করে কাজু, আমন্ড, পেস্তা কুচি করে কেটে রাখুন। বাকি আমন্ড, কাজু, পেস্তা বাদাম গরম জলে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। আমন্ডের খোসা ছাড়িয়ে নিন। এর পর সব ক’টি বাদাম হালকা করে পেস্ট করে নিন। পাত্রে দুধ গরম করুন। এলাচ, লবঙ্গ ও দারচিনি হালকা থেঁতো করে গরম দুধে দিন। ১০ মিনিট কম আঁচে দুধ ফোটান। এর পর এলাচ, লবঙ্গ ও দারচিনি দুধ থেকে তুলে নিন। ওই দুধে এ বারে বাদামবাটাটা দিন। এ বার ভালো করে নাড়তে থাকুন ও ফোটান। এর পরে চিনি, হলুদগুঁড়ো দিয়ে মেশান। শেষে জাফরান দিয়ে আরও ৫ মিনিট ফোটান ও নাড়তে থাকুন। এর পর দুধ একটু ঘনে হয়ে আসবে। দুধটি নামিয়ে গেলাসে ঢেলে ওপর দিয়ে কুচি করে কেটে রাখা বাদাম, কিশমিশ ও পরিষ্কার করে ধোয়া গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন। মশলা দুধ গরম খেতে খুবই ভালো লাগে, তবে কেউ চাইলে তা ঠান্ডাও খেতে পারেন।
আরও – নিউ ইয়ার রেসিপি: টার্কি বার্গার
-
রাজ্য2 days ago
বুধবার রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ
-
কলকাতা3 days ago
এ বার সারা দিনের পাসে বাস-ট্রাম-ফেরিতে কলকাতা ভ্রমণ
-
দেশ3 days ago
প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিলে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট
-
প্রবন্ধ2 days ago
শিল্পী – স্বপ্ন – শঙ্কা: সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে যেমন দেখেছি, ৮৭তম জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য