খাওয়াদাওয়া
রেসিপি : তোপসে মাছ ভাজা

ইলা দাস
বাঙালি মানেই নানান ধরনের খাবারের বন্যা বয়ে যায়। তাতে যেমন থাকে মিষ্টির রকমারি আইটেম, তেমনই থাকে মাছ-মাংসের নানান পদও। আজ রইল একটি অতি সহজ কিন্তু মুখরোচক মাছের পদ। তোপসে মাছের ফ্রাই। শুনেই কেমন মুখে জল চলে আসছে তাই না। দেখে নিন রেসিপিটা।
উপকরণ
ডিমওয়ালা তোপসে মাছ চারটি, পরিমাণমতো নুন, সামান্য হলুদ, খানিকটা গরম জল, সরষের তেল ভাজার জন্য, ঘি চার চামচ, ডিম ২টি, বিস্কুট গুঁড়ো, লঙ্কাবাঁটা, জিরেবাঁটা, মরিচবাঁটা, পেঁয়াজকুচি, কলা পাতা, সামান্য গরম মশলা।
প্রণালী
প্রথমে মাছ কেটে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এর পর নুন হলুদ মাখিয়ে রাখতে হবে। কিছুক্ষণ পর মাছগুলি গরম জলে আবার ধুয়ে নিতে হবে।
এর পর উনুনে কড়াই চাপিয়ে তাতে সরষের তেল গরম হতে দিতে হবে। তেল গরম হলে মাছগুলি ভেজে নিতে হবে। এ বার কড়াইয়ে সামান্য ঘি গরম করতে হবে। তাতে কুচি করে কাটা পেঁয়াজ ভেজে তুলতে হবে।
এর পর ডিম ফেটিয়ে নিয়ে তাতে বিস্কুটের গুঁড়ো, নুন, লঙ্কাবাঁটা, জিরেবাঁটা, মরিচবাঁটা, অর্ধেকটা পেঁয়াজভাজা এক সঙ্গে দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে।
এখন কলাপাতাটায় ঘি মাখিয়ে নিতে হবে। এর পরে এই মশলা ডিমের ব্যাটারের মধ্যে মাছগুলি ভালো করে ডুবিয়ে তুলে নিয়ে কলাপাতার ওপর সাজিয়ে রাখতে হবে।
এই সব কিছু প্রস্তুত হয়ে গেলে কড়াইয়ে মাছ ভাজার তেল এবং পেঁয়াজ ভাজার ঘি এক করে গরম বসাতে হবে। এর পর মশলা যুক্ত মাছ একটি একটি করে ভেজে তুলতে হবে।
মাছভাজা হয়ে গেলে ওই পাত্রেই ঘি দিয়ে তাতে গরম মশলা দিয়ে এবং বাকি অর্ধেক পেঁয়াজ ভাজা দিয়ে ঢাকা দিয়ে দিতে হবে। এর পর ওই ঘিয়ে ভাজা পেঁয়াজ মাছের ওপরে সুন্দর ভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে।
এর সঙ্গে শশা, পেঁয়াজ, গাজর, ধনে পাতা, কাঁচালঙ্কা কুচি করে কেটে স্যালাড বানিয়ে কাসুন্দি দিয়ে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে পরিবেশন করুন তোপসে মাছ ভাজা। দেখুন তো সবাই খেয়ে ঠিক কী বলে?
বানান -শীতের রেসিপি: পালং কচুরি
খাওয়াদাওয়া
আপনি কি আম খেয়ে খোসা ফেলে দেন? তা হলে ভুল করছেন, জানুন বিস্তারিত
আপনি কি আমের খোসা আবর্জনায় ফেলে দিচ্ছেন? যদি তাই করেন, তবে এখনই বন্ধ করুন। আমের খোসা কিন্তু বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করা যায়।


খবর অনলাইন ডেস্ক: গ্রীষ্মকালের মরশুমি ফল হিসেবে আমের খ্যাতি সর্বজনবিদিত। তবে খাওয়ার পরে আমের খোসাগুলো কী করেন? আপনি কি তা আবর্জনায় ফেলে দিচ্ছেন? যদি তাই করেন, তবে এখনই বন্ধ করুন। আমের খোসা কিন্তু বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করা যায়।
আমের আচার পছন্দ করেন না, এমন লোক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তবে আমের খোসা ব্যবহার করেও আচার তৈরি করতে পারেন। চেখে দেখার পর বোঝা যাবে, আমের খোসার আচার কতটা সুস্বাদু!
কী কী লাগবে?
আমের খোসার সঙ্গে এর জন্য লাগবে পরিমাণ মতো গুড়, নুন, প্রয়োজনীয় কালো বিট লবণ, মরিচ গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, শুকনো লঙ্কা, তেজপাতা, আদা বাটা, সরষের তেল।
কী ভাবে তৈরি করবেন?
আমের খোসা ছাড়িয়ে এক ইঞ্চি আকারে কেটে ফেলুন। ট্রেতে রাখুন। নুন, বিট লবণ, হলুদ গুঁড়ো এবং কালো মরিচের গুঁড়ো খোসার সঙ্গে ভালো ভাবে মেখে নিন। মিশ্রিত এই আমের খোসা ঘণ্টাখানেক রোদে রাখুন।
শুকনো লঙ্কা এবং তেজপাতা ভেজে গুঁড়ো করে নিন। কড়াইতে সামান্য তেল গরম করে আমের খোসাগুলো ছেড়ে দিন। মাঝারি আঁচে কয়েক মিনিট ভাজুন। কড়াইতে গুড় মিশিয়ে ভাল করে মেশান। খোসাগুলি কিছুটা নরম হয়ে যাওয়ার পরে ভাজা মশলা দিন। আধঘণ্টার মতো কড়াই ঢেকে রাখুন।
দীর্ঘ দিন রাখতে হলে…
ঠান্ডা হয়ে এলে কড়া থেকে কাচের বোতলে রেখে দিন। আমের খোসা দিয়ে দেশি আচার তৈরি হয়ে যাবে এ ভাবেই। মনে রাখবেন, প্রথম তিন দিন কাচের বোতলটিকে প্রায় চার ঘণ্টা সরাসরি সূর্যের আলোতে রাখতে হবে। পরে আপনি প্রতি সপ্তাহে দু’ঘণ্টা করে সূর্যের আলোতে রাখতে পারলেই যথেষ্ট।
আরও পড়তে পারেন: রোজ কেন খাবেন ধনেপাতা জেনে নিন
খাওয়াদাওয়া
শীতের রেসিপি: ডাল সবজি মিক্সড পনির কারি

স্মিতা দাস
বার্ড ফ্লুয়ের খবর ছড়াতে অনেকেই মাছ-মাংস-ডিম খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে শরীরে প্রাণিজ প্রোটিনের পরিমাণ কম যাচ্ছে। তাতে তো শরীরের ক্ষতি। এই ভয় ও পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সময় তো কিছুটা লাগবেই। তা হলে কি তত দিন প্রোটিনহীন হয়ে থাকবেন? অন্যান্য খাবারেও রয়েছে প্রোটিন। মাছ-মাংস-ডিম খাওয়া বন্ধ করলে সেই সব খাবার থেকে গ্রহণ করুন প্রোটিন। সে ক্ষেত্রে ডাল খুবই ভালো একটি উপাদান। ডালের সঙ্গে আনাজপাতি মিশিয়ে অর্থাৎ উদ্ভিজ প্রোটিন দিয়ে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে পারেন। তাই নিয়মিত তালিকায় রাখুন ডাল সবজি মিক্সড কারি। প্রোটিনের ভাগ আরও বাড়াতে সঙ্গে মেশানো যায় পনিরও।
ডাল সবজি মিক্সড পনির কারির রেসিপি –
উপকরণ
শুকনো খোলায় হালকা ভাজা মুগডাল ১ কাপ, আলু টুকরো করে কাটা ১টি (নাও দিতে পারেন), গাজর টুকরো করে কাটা ১/২ বাটি, বিট টুকরো করে কাটা ১/২ বাটি, বিন টুকরো করে কাটা ১/২ বাটি, ক্যাপসিকাম টুকরো করে কাটা ১/২ বাটি, বেগুন টুকরো করে কাটা ১/২ বাটি, ফুল কপি টুকরো করে কাটা ১/২ বাটি, পেঁপে টুকরো করে কাটা ১/২ বাটি, পেঁয়াজ কলি টুকরো করে কাটা ১/২ বাটি, টমেটো টুকরো করে কাটা ১/২ বাটি, কড়াইশুঁটি ১/২ বাটি, কাঁচা লঙ্কা ২টি টুকরো করে কাটা, আদাবাঁটা ১ চা চামচ, পনির টুকরো করে কাটা ১ বাটি।
জিরেগুঁড়ো ১ চা চামচ, হলুদগুঁড়ো ১/২ চা চামচ, মরিচের গুঁড়ো ১ চা চামচ, ঘি ১ চা চামচ, তেল ২ চা চামচ, গরমমশলার গুঁড়ো সামান্য, নুন স্বাদমতো, সামান্য চিনি বা তার বিকল্প, পাঁচফোঁড়ন ১ টেবিল চামচ, তেজপাতা ১টি, শুকনো লঙ্কা ২টি।
প্রণালী
পনিরের টুকরোগুলি হালকা ভেজে তুলে রাখুন।
ভাজা মুগডাল নুন দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে কাঁচা লঙ্কা কুচি দিয়ে হালকা রং ধরলে কাটা সবজি দিয়ে হালকা লাল করে ভেজে নিন। নুন, চিনি, হলুদগুঁড়ো ছড়িয়ে হালকা কষে নিন।
এর পর আদাবাঁটা-সহ বাকি মশলা সবজিতে দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। কষানোর সময় সামান্য জলও দিতে পারেন।
এর পর সবজিতে মুগডাল, ভাজা পনির, পরিমাণমতো জল ঢেলে দিন ও ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন। মেশানো হলে ঢাকা দিয়ে ৫ মিনিট রেখে দিন সেদ্ধ হওয়ার জন্য।
অন্য একটি পাত্রে সামান্য তেল গরম করে তাতে ফোঁড়নের মশলা – পাঁচফোঁড়ন, তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা ভেজে নিন।
মুগডালের ঢাকা খুলে তেলসমেত ফোঁড়ন ঢেলে দিয়ে ঘেঁটে দিন। উপর থেকে সামান্য ঘি ও গরমমশলার গুঁড়ো ছড়িয়ে নামিয়ে, ঢাকা দিন।
গরম মুগডাল সবজি মিক্সড পনির কারি পরিবেশন করুন। এটি টিফিনে শুধুও খাওয়া যায়, আবার গরম ভাত বা রুটি, পরটা, লুচির সঙ্গেও খাওয়া যায়।
খাওয়াদাওয়া
শীতের রেসিপি: ধনেপাতার মুচমুচে পকোড়া

ইলা দাস
শীতের সন্ধেবেলায় গরম চা বা কফির সঙ্গে গরম গরম মুচমুচে পকোড়া খেতে বেশির ভাগ মানুষই ভালোবাসেন। সেই পকোড়া যদি ঘরে যত্ন করে বানানো হয় তা হলে তার স্বাদই কিছু আলাদা হয়। তেমনই মুখরোচক ধনেপাতার পকোড়া। শিখে নেওয়া যাক সবুজ ধনেপাতার মুচমুচে লাল পকোড়ার রেসিপি।
উপকরণ
১৫০ গ্রাম ধনেপাতা, ১ কাপ বেসন, ১/২ কাপ ময়দা, ১/৪ কাপ চালের গুঁড়ো, ১ টেবিল চামচ গোলমরিচগুঁড়ো, ১/২ চা চামচ কাঁচালঙ্কা বাঁটা অথবা রেড চিলি ফ্লেক্স, ১/২ চা চামচ জিরেগুঁড়ো, ১/২ চা চামচ হলুদগুঁড়ো, ১/২ চা চামচ কালোজিরে, ১/৪ চা চামচ বেকিং পাউডার, ১/৪ চা চামচ বেকিং সোডা, পরিমাণ মতো নুন, ঠান্ডা জল, সাদা তেল।
প্রণালী
প্রথমে ধনেপাতা ভালো করে বেছে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন। জল ঝরে গেলে গোড়াগুলি কেটে বাকি অংশটা নিন।
এ বার ব্যাটার তৈরি করুন। ধনেপাতার চপ বানাতে ব্যাটার ঘন করে গুলতে হবে। একটি বাটিতে সমস্ত উপকরণ একে একে নিয়ে মিশিয়ে নিন। তার পর ফ্রিজের ঠান্ডা জল অল্প অল্প করে দিয়ে ভালো করে ব্যাটার বানান, খুব পাতলা করবেন না। ঘন যেন হয়।
এ বারে পাত্রে সাদা তেলে গরম করতে বসান। তেল গরম হয়ে গেলে ৪-৫টি করে ধনে পাতার ডাঁটি নিয়ে ব্যাটারে ডুবিয়ে তুলে পাত্রে গরম হওয়া সাদা তেলে ছেড়ে দিন। লাল করে দুই পিঠ ভেজে তুলুন।
গরম গরম ধনেপাতার পকোড়ার ওপরে বিট নুন ও গোলমরিচগুঁড়ো ছড়িয়ে সস, চাটনি বা কাসুন্দি দিয়ে গরম ধোঁয়া ওঠা চা বা কফির সঙ্গে পরিবেশন করুন। শীতের সন্ধেটা জমে যাবে।
আরও পৌষ সংক্রান্তির রেসিপি: চুষি পিঠের পায়েস
-
রাজ্য10 hours ago
Bengal Polls Live: পৌনে ৬টা পর্যন্ত ভোট পড়ল ৭৮.৩৬ শতাংশ
-
শিক্ষা ও কেরিয়ার22 hours ago
ICSE And ISC Exams: দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা পিছিয়ে দিল আইসিএসই বোর্ড
-
ক্রিকেট23 hours ago
IPL 2021: দীপক চাহরের বিধ্বংসী বোলিং, চেন্নাইয়ের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ল পঞ্জাব
-
মুর্শিদাবাদ13 hours ago
Coronavirus Second Wave: কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন রাজ্যের আরও এক প্রার্থী