পিঠেপুলির সম্ভারে শীতের আমেজ আহারে বাংলায়

0

এখনও শীত আসেনি ঠিকই। তবে দুর্গা পুজো শেষ মানেই শীত এবার আসবো আসবো করছে। আর শীতের নাম করা মাত্রই খাদ্য রসিকের জিভে জল। কারণ আর কিছুই না। পিঠেপুলি। গোকুল পিঠে, আসকে পিঠে, দুধ পিঠে, নারকোলের পাটিসাপটা, ক্ষীরের পাটিসাপটা। ওহ্‌! কোনটা ছেড়ে কোনটা বলি।

আর শীতের আগেই পিঠে সহ আরও রকমারি স্বাদে ভরপুর খাবারদাবার নিয়ে হাজির আহারে বাংলা। আর এখানেই আছে ‘পিঠেবিলাসী’। ২০১৫ সালের খাদ্য উৎসবে বিক্রিতে রেকর্ড করেছে পিঠের এই স্টলটি। এবারেও রকমারি পিঠের সম্ভার নিয়ে হাজির হয়েছে তারা।

পাটিসাপটার স্বাদে-গন্ধে-রূপে চমক জাগাতে এখানে রয়েছে ম্যাঙ্গোপাটিসাপটা, বেগ পাটিসাপটা, অরেঞ্জ পাটিসাপটা।

pithe-bilashi-1

বাঙালি কি শুধু পিঠে খেতে ভালোবাসে ? একবারেই না। তার পছন্দের তালিকাটা যে বেশ লম্বা। তাই ‘পিঠে বিলাসী’র উপাদেয় খাবারের তালিকাটাও কম লম্বা নয়। ভেজের তালিকায় পাত আলো করে আছে খিচুড়ি। কি মুখে আবার জল চলে এলো তো? এর পর নাম গুলো শুনলে আর স্থির থাকাই যাবে না জানি। থালায় এচরের খিচুড়ির সঙ্গে থাকতে পারে ছানাভুরি আর হিংসুটি ধোকাও। এছাড়া নলেনগুড়ের পায়েস, মুগপুলি আরও কত কি।

আর যাঁরা চকোলেটকে ঠোঁটে হারান তাঁদের জন্য রয়েছে, চকোলেটের উপর বেশ কিছু আইটেমও। চকোলেটপুলি ও চকোলেট পাটিসাপটা। বাংলার সেই পুরোনো ঠাকুমা দিদিমার আমলের খাবারগুলিকেই নতুন সাজে নতুন স্বাদে একেবারে নতুন ভাবে আনা হয়েছে।

pithe-bilashi-2

‘পিঠে বিলাসী’-এর কর্ণধার দীপ রায় বলেন, আন্তর্জাতিক স্তরের এই খাদ্য উৎসবে শুধু যে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ এসেছেন তাই নয়। বাংলাদেশ থেকেও বহু মানুষ এসেছেন। যার ফলে সাংস্কৃতিক আদান প্রদান ও বাণিজ্য এই দুটি দিকই মজবুত হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন