শরীরস্বাস্থ্য
শীতের সময় ঠান্ডা লাগা, গলা ব্যথা এবং জ্বর রুখতে ৪টি ঘরোয়া প্রতিকার
ভেষজ ও মশলার মিশ্রণ এই ধরনের সমস্যার প্রতিকারে বেশ কার্যকরী।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: সংক্রমণের হার কমলেও করোনাভাইরাসের প্রকোপ এখনও রয়েছে। এমন সময়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া মানে চিন্তার কারণ। তার উপর শীতকাল সংক্রমণের আদর্শ ঋতু। এই সময় ঘরে ঘরে শারীরিক নানান সমস্যা হয়। তবে ঠান্ডা লাগা, গলা ব্যথা, কাশি বা জ্বরের উপশমে কিছু ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করেই উপকার পাওয়া যায়।
১. দারুচিনি এবং লবঙ্গ

ভেষজ ও মশলার মিশ্রণ এই ধরনের সমস্যার প্রতিকারে বেশ কার্যকরী। এর জন্য সবার আগে এক গ্লাস জল কোনো পাত্রে গরম করতে হবে। এর পর দারুচিনির টুকরো এবং তিনটি লবঙ্গ মেশাতে হবে। এক চামচ জোয়ান, এক চামচ আদা বাটা, অর্ধেক চামচ হলুদ, কালো মরিচ বাটা অর্ধেক চামচ মিশিয়ে ভালো করে ফোটাতে হবে।
২. মধু ও মশলা

মধুতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। মধু কালো মরিচ এবং আদা রসের মিশ্রণ গলা ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে। গলা জ্বালা প্রশমিত করতে এর সঙ্গে এক চামচ মধুও যোগ করা যেতে পারে।
৩. হলুদ, দুধ এবং ঘি

আমরা সবাই জানি হলুদের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ঘি দিয়ে দুধে সিদ্ধ করা হলুদ ঠান্ডা লাগা ও সাধারণ জ্বর থেকে মুক্তি দেয়। সর্বাধিক উপকার পাওয়ার জন্য রাতে ঘুমানোর আগে এই মিশ্রণটি সেবন করলে।
৪. আদা এবং গুড়

ফুটন্ত জলে আদা, লবঙ্গ, কালো মরিচ এবং গুড় মেশাতে হবে। বেশ কিছুক্ষণ ভালো করে ফোটানোর পর কয়েকটা তুলসি পাতা ফেলে দিতে হবে। জল ফুটতে ফুটতে অর্ধেক হয়ে যাওয়ার পর তা চায়ের মতো পান করা যেতে পারে।
আরও পড়তে পারেন: গোড়ালি ফাটায় এই ৫টি টোটকা অব্যর্থ কাজ করে
শরীরস্বাস্থ্য
হার্ট অ্যাটাকের পুর্ব লক্ষণগুলি জেনে নিন
সাধারণ মানুষের ধারণা, বয়সকালেই হার্ট অ্যাটাক হয়। কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের কোনো নির্দিষ্ট বয়স নেই।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: সাধারণ মানুষের ধারণা, বয়সকালেই হার্ট অ্যাটাক হয়। কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের কোনো নির্দিষ্ট বয়স নেই। হৃদযন্ত্রের কোনো শিরায় রক্ত চলাচলে বাধা এলে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। এর পেছনে অনেক কারণ কারণ কাজ করে – বয়স, উচ্চ রক্তচাপ, অতিরিক্ত উত্তেজনা, মানসিক চাপ, শরীরে বেশি মাত্রায় কোলেস্টেরল, অতিরিক্ত মেদ, মদ্যপান, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি।
অনেক সময় বুকে ব্যথা ছাড়াই হার্ট অ্যাটাক হয়। তা আদপে হার্ট অ্যাটাক কি না বোঝা যায় না। তবে কিছু না কিছু লক্ষণ তো থাকেই। যেগুলি থেকে বোঝা যায় যে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে কি না।
সেই সব লক্ষণ
১। বিশেষজ্ঞদের মতে, হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আভাস পাওয়া যায় প্রায় ১ মাস আগে থেকেই। সেই সময় অকারণে দুর্বল ভাব, ঘন ঘন শ্বাসের সমস্যা, হাঁপানি শুরু হয়। এমন হলে সতর্ক হোন। হতে পারে হৃদপিণ্ডকে বিশ্রাম দেওয়া দরকার। পরামর্শ নিন চিকিৎসকের।
২। বিশেষজ্ঞরা বলেন, হার্ট অ্যাটাকের আগে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বদহজম, বুক জ্বালা, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, বমি হওয়া সহ নানা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল সমস্যা হয়। এগুলি একদম স্বাভাবিক সমস্যার মতো। কিন্তু হতে পারে এটা হার্ট অ্যাটাকের পুর্বাভাস।
৩। যদি কারণ ছাড়াই বেশি ঘাম হয় ও তা বেশ ঠান্ডা হয় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তা অবহেলা করবেন না। এটিও হার্ট অ্যাটাকের একটি লক্ষণ। কারণ হার্ট ব্লক হলে রক্ত সঞ্চালনের জন্য হৃদপিণ্ডকে অনেক বেশি কাজ করতে হয়। এই পরিশ্রমের জন্য ঘাম হয়। এমন হলে চিকিৎসকের কাছে যান।
৪। অ্যাটাকের সময় বুকে ব্যথা অনুভূত না হলেও অস্বস্তি হয়, চাপ ধরা, ভারী ভাব লাগে, শ্বাস নিতেও সমস্যা হয়। এমন হলে দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
৫। চিকিৎসকরা বলেন, শুধু বুকে নয়, শরীরের আরও কিছু অঙ্গে ব্যথা অনুভূত হলেও হতে পারে সেটা হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। যেমন দাঁত, চোয়াল, গলা, কাঁধ, পিঠ, পেটের উপরের অংশ এবং বাঁ হাতে হঠাৎ বেশ ব্যথা বা চাপ ভাব বা অস্বস্তি বা আড়ষ্ট ইত্যাদি।
তাই এমন কোনো সমস্যা বুঝলে দেরি না করে ব্যবস্থা নিন।
আরও – অবহেলা করবেন না, জরায়ুর ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণগুলি জেনে নিন
শরীরস্বাস্থ্য
কেন খাবেন মেথি?

খবর অনলাইন ডেস্ক : ইতিমধ্যেই অনেক কিছুরই উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করা হয়ে গিয়েছে। আজ রইল মেথি প্রসঙ্গে। সকালে এক গ্লাস মেথির জল খেলে শরীর হয় রোগমুক্ত। শারীরিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে চুল ও ত্বকের যত্নেও এর তুলনা হয় না।
মেথির পুষ্টিগুণ
এক টেবিল চামচ মেথির মধ্যে আছে- ফাইবার ৩ গ্রাম, প্রোটিন ৩ গ্রাম, ফ্যাট ১ গ্রাম, ক্যালরি ৩৫ ক্যালোরি, লোহা ২০ শতাংশ, ম্যাঙ্গানিজ ৭ শতাংশ, ম্যাগনেসিয়াম ৫ শতাংশ।
মেথির উপকারিতা
১। রোগ প্রতিরোধ
বর্তমান পরিস্থিতিতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো খুব দরকার। মেথিতে প্রচুর প্রোটিন ও খনিজ থাকে, তা ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
২। ডায়াবেটিসে
ম্যাঙ্গানিজ ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। মেথিতে ম্যাঙ্গানিজ আছে। রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমাতে সহায়তা করে। ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রিত হয়। রোজ সকালে মেথি ভেজানো জল পান করলে ডায়াবেটিস কমানো সম্ভব।
৩। কোলেস্টেরলে
মেথিতে ফ্যাট আছে। ফলে তা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। এতে হৃদযন্ত্র ভালো থাকে। গবেষণা অনুযায়ী, মেথির খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএল নির্মূল করতে সক্ষম।
৪। পাচন তন্ত্র
হজম ভালো করতে ফাইবার প্রয়োজন। মেথিতে ফাইবার আছে। অন্ত্রের জন্য এটি প্রয়োজনীয়। পাচন তন্ত্র ভালো রাখতে নিয়মিত মেথি খাওয়া প্রয়োজন।
৫। ওজন নিয়ন্ত্রণ
মেথির উপাদানগুলি ওজন কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত মেথি খেলে ওজন নিয়ন্ত্রিত হয়।
৬। হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য
হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে মেথি উপযুক্ত। নিয়মিত মেথি খেলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা কমে।
৭। হাড়শক্ত ও শক্তি সঞ্চয়ে
হাড় শক্ত করতেও মেথির উপকারিতা অনেক। কারণ ম্যাগনেসিয়াম হাড় গঠনে প্রয়োজনীয়। মেথিতে এটি আছে। ক্যালোরি দেহে শক্তির জোগান দেয় ও ফ্যাট শক্তি সঞ্চয় করে।
৮। ত্বকের জন্য
ত্বক, চুল, নখ, হাড় গঠন, বৃদ্ধি ও শক্ত হতে প্রোটিন প্রয়োজন। তা মেথিতে আছে। ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মেথি অতুলনীয়। মেথির দানা এবং মেথি পাতা খুব সহজেই ত্বকের অবাঞ্ছিত দাগ ছোপ দূর করে।
আরও – অবহেলা করবেন না, জরায়ুর ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণগুলি জেনে নিন
শরীরস্বাস্থ্য
অবহেলা করবেন না, জরায়ুর ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণগুলি জেনে নিন

খবর অনলাইন ডেস্ক মহিলাদের শরীরে স্তন ক্যানসারের মতোই জরায়ু ক্যানসারও একটি আতঙ্কের অসুখ। গোটা বিশ্বে বহু মহিলা জরায়ু ক্যানসারে আক্রান্ত। এই রোগে অনেকেরই মৃত্যু হয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই মৃত্যুর মূল কারণ অনেক ক্ষেত্রেই প্রথমাবস্থায় চিকিৎসা না হওয়া। প্রথম থেকে চিকিৎসা হলে বেঁচে থাকার সম্ভবনা ৯৫%।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতি বছর গোটা বিশ্বে প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার মহিলা জরায়ু ক্যানসারে আক্রান্ত হন।
একটি ভুল ধারনা অনেকের মধ্যেই আছে, যে প্রাপ্ত বয়স্কদেরই জরায়ু ক্যানসার হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যে কোন বয়সেই জরায়ু ক্যানসার হতে পারে। তবে ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সের মহিলারা এই ক্যানসারে বেশি আক্রান্ত হন।
জরায়ু ক্যানসারকে ‘সাইলেন্ট কিলার’ বলা হয়। কারণ, এর প্রাথমিক লক্ষণগুলি অনেক ক্ষেত্রেই বুঝতে পারা যায় না। পেটের কোনো সমস্যা খুব বেশি সময় ধরে চলতে থাকলে তা জরায়ু ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।
জরায়ু ক্যানসারের প্রাথমিক কিছু লক্ষণ এখানে আলোচনা করা হল –
১। প্রায়ই গ্যাস, বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য।
২। অল্প খাওয়ার পরই পেট ভরতি লাগা।
৩। পেটে অস্বস্তির ভাব।
৪। পেট ফুলে থাকা।
৫। পেটে অতিরিক্ত ব্যথা।
৬। নিম্নাঙ্গের চারপাশে চাপ ভাব।
৭। বার বার মূত্রত্যাগ।
৮। সারাক্ষণ বমি বমি ভাব হওয়া অথবা, ঘন ঘন বমি হওয়া।
৯। হঠাৎ খিদে কমে যাওয়া।
১০। অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি কিংবা হঠাৎ ওজন অনেক কমে যাওয়া।
১১। যৌনমিলনের সময় ব্যথা লাগা।
১২। সারাক্ষণ অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ।
১৩। মেনোপজ হওয়ার পরেও ব্লিডিং।
এই লক্ষণগুলির কোনোটি একটানা বেশ কয়েকদিন চললেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ফেলে রাখবেন না। তবে এই লক্ষণের কোনোটি হওয়া মানেই যে জরায়ুর ক্যানসারে আক্রান্ত এমন ভাবারও কোনো কারণ নেই। একই উপসর্গ বিভিন্ন রোগের হতে পারে, বা খুব সাধারণ কারণও হতে পারে। তাই নিজে সিদ্ধান্ত না নিয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শই একান্ত কাম্য।
আরও – কোন কোন ক্ষেত্রে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে জানেন? পর্ব -১
-
রাজ্য2 days ago
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করতে সিপিএমের লাইনেই খেলছেন শুভেন্দু অধিকারী
-
দেশ3 days ago
নবম দফার বৈঠকেও কাটল না জট, ফের কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কেন্দ্র
-
প্রযুক্তি3 days ago
হোয়াটসঅ্যাপে এ ভাবে সেটিং করলে আপনার আলাপচারিতা কেউ দেখতে পাবে না এবং তথ্যও থাকবে নিরাপদে
-
শরীরস্বাস্থ্য3 days ago
কেন খাবেন মেথি?