ভারতের শীর্ষ ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও) জানিয়েছে, প্রায় ৫০টি ওষুধের নমুনা, যার মধ্যে বহুল ব্যবহৃত প্যারাসিটামল, প্যান্টোপ্রাজল এবং কিছু ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিক রয়েছে, যেগুলি নিম্নমানের। এই নিম্নমানের ওষুধগুলির মধ্যে ২২টি হিমাচল প্রদেশে উৎপাদিত হয়েছে বলে জানা গেছে। মে মাসের জন্য সিডিএসসিও কর্তৃক জারি করা সতর্কবার্তায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
হিমাচল প্রদেশ ছাড়াও, নমুনাগুলি সংগ্রহ করা হয়েছিল রাজস্থান রাজ্যের জয়পুর, তেলেঙ্গানার হায়দ্রাবাদ, গুজরাটের বাঘোদিয়া এবং ভদোদরা, অন্ধ্র প্রদেশ এবং মধ্য প্রদেশের ইন্দোর সহ অন্যান্য স্থান থেকে।
সিডিএসসিও কর্তৃক ২০ জুন জারি করা ওষুধ সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে, মোট ৫২টি নমুনা গুণমান পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, রাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলি সংশ্লিষ্ট ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলিকে নোটিশ পাঠিয়েছে এবং গুণমান পরীক্ষা পাশ করতে ব্যর্থ নমুনাগুলি বাজার থেকে প্রত্যাহার করা হবে।
নিম্নমানের ওষুধের তালিকায় রয়েছে ক্লোনাজেপাম ট্যাবলেট যা খিঁচুনি এবং উদ্বেগজনিত রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়, ব্যথা উপশমকারী ডাইক্লোফেনাক, উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ টেলমিসারটান, শ্বাসযন্ত্রের রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যামব্রোক্সল, অ্যান্টিফাঙ্গাল ফ্লুকোনাজোল এবং কিছু মাল্টিভিটামিন ও ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট।
গত বছর হিমাচল প্রদেশে উৎপাদিত প্রায় ১২০টি ওষুধের নমুনা পরীক্ষার মানদণ্ডে ব্যর্থ হয়েছিল। এই বছরও একই ধরনের পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে, যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, নিম্নমানের ওষুধের কারণে রোগীদের স্বাস্থ্যের উপর গুরুতর প্রভাব পড়তে পারে। তাই সিডিএসসিও এবং রাজ্য ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলি এই ধরনের ওষুধ বাজার থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
শরীর-স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সব খবর পড়ুন