শরীরস্বাস্থ্য
গলার শব্দ শুনে মোবাইল অ্যাপ বলে দেবে আপনি অবসাদগ্রস্ত কি না!

ওয়েবডেস্ক : হু-এর রিপোর্ট অনুযায়ী অবসাদে ভোগা মানুষের সংখ্যা অনুযায়ী বিশ্বের ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে ভারত। দেশের ৫ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষ ভুগছেন অবসাদে। আবার ৩ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষ রয়েছেন অ্যাংজাইটি ডিস অর্ডারে।
তবে যাতে এই সমস্যার দ্রুত বা আগাম সতর্কতা পাওয়া যায় তার জন্য এক বিশেষ ধরনের অ্যাপ তৈরি করেছেন গবেষকরা। এই অ্যাপ থাকবে মোবাইল ফোনের মধ্যেই। এই অ্যাপের মাধ্যমে গলার আওয়াজ থেকেই বলে দেওয়া যাবে ওই ব্যক্তি অবসাদে ভুগছেন কি না? এই অ্যাপে ব্যবহার করা হয়েছে ‘এআই’ বা ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স’।
কানাডার ইউনিভার্সিটি অব কানাডায় একটি বিশেষ ধরনের প্রযুক্তির সাহায্যে এই এআই ব্যবহার করা হয়েছে। এই গবেষণা করেছেন, মাশরুরা তাসনিম ও অধ্যাপক অ্যালেনি স্ট্রুলিয়া। ‘গলার শব্দের রকম ফের নির্ভর করে আমাদের মুডের ওপর’ পূর্ববর্তী গবেষণা থেকে পাওয়া এই তথ্যের ভিত্তিতেই তাঁরা এই বিষয়টির ওপর জোর দিয়েছেন। এই গবেষণাটি করেছেন তাঁরা নানা রকমের ডেটা, প্রযুক্তি, মেশিন লার্নিং-এর সম্বন্বয়ে।
আরও পড়ুন – অতিরিক্ত ফ্রুট জুস পানে ক্যানসারের হাতছানি, বলছে গবেষণা
স্ট্রুলিয়া বলেন, ফোনে সাধারণ ভাবে কথা বলার সময় অ্যাপটি মানুষের গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করবে। সেই সময়েই মুডের ট্র্যাক ইন্ডিকেটর অবসাদ গ্রস্ততার বিষয়টি নির্দিষ্ট করবে। জানাবে ব্যক্তি অবসাদগ্রস্ত কি না।
উল্লেখ্য, অবসাদ গ্রস্ততা বিশ্বজুড়ে আত্মহত্যা প্রবণতার অন্যতম বড়ো কারণ। এই অ্যাপলিকেশনটি বা আবিষ্কারটি মানুষকে সুস্থ করতে ও সচেতন করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে।
শরীরস্বাস্থ্য
করোনা ভ্যাকসিন: সাধারণ ও বিরল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলি কী কী
সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং বিরল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ারও রকমফের রয়েছে। এখানে দেখে নেওয়া যাক বিস্তারিত…

নয়াদিল্লি: গত ১৬ জানুয়ারি থেকে ভারতে শুরু হয়েছে করোনা টিকাকরণ। স্বাস্থ্যকর্মী এবং প্রথম সারির করোনাযোদ্ধাদের দেওয়া হচ্ছে সেরাম ইনস্টিটিউট এবং ভারত বায়োটেকের তৈরি প্রতিষেধক। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সোমবার পর্যন্ত ৩ লক্ষ ৮১ হাজার ৩০৫ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। যাঁদের মধ্যে ৫৮০ জনের শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা সাইড এফেক্ট এবং বিরূপ প্রভাব বা এডিআর এক বিষয় নয়। আবার সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ((common side effects) এবং বিরল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ারও (uncommon side effects) রকমফের রয়েছে। এখানে দেখে নেওয়া যাক বিস্তারিত।
কয়েকটি সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
*ইনজেকশনের জায়গাটি লাল ভাব অথবা ফুলে থাকা এবং ব্যথা
*দুর্বল অথবা অসুস্থ হওয়ার অনুভূতি
*ক্লান্তি
*মাথাব্যথা
*ঠান্ডা লাগা বা জ্বরের মতো অনুভূতি
*বমি বমি ভাব
*পেশি, গায়ে অথবা জয়েন্টে ব্যথা
*অন্যান্য জ্বরের মতো লক্ষণ, নাক দিয়ে জল গড়ানো
কয়েকটি বিরল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
*মাথা ঘোরা
*খিদে কমে যাওয়া
*পেট ব্যথা
*অতিরিক্ত ঘাম দেওয়া
*ত্বকে চুলকানি বা ফুসকুড়ি
প্রতিকূল ঘটনা (AE)
ভ্য়াকসিন নেওয়ার পর যে কোনো চিকিৎসা সংক্রান্ত ঘটনা, যার সঙ্গে ভ্যাকসিনের সরাসরি সম্পর্ক নাও থাকতে পারে। এগুলি ভ্যাকসিনের সঙ্গে সম্পর্কিত বা কোনো সম্পর্ক নাও থাকতে পারে।
ওষুধের বিরূপ প্রভাব (ADR)
যদি কোনো প্রতিকূল ঘটনা দেখা দেয়, তখন তাকে এডিআর বলা হয়। ভ্যাকসিন দেওয়ার পর দিন শিশুর জ্বর এলে সেটা এক ধরনের ‘এই’, কার্যত এটা একটা এডিআর-ও।
মারাত্মক ‘এই’ এবং মারাত্মক এডিআর
‘এই’ যদি মারাত্মক আকার নেয় এবং সেটা যদি ভ্যাকসিনের প্রভাবেই প্রমাণিত হয়, তা হলে সেটাই একটা মারাত্মক এডিআর।
আরও পড়তে পারেন: কারা টিকে নিতে পারবেন না, জানিয়ে দিল ভারত বায়োটেক
শরীরস্বাস্থ্য
হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণগুলি জেনে নিন
সাধারণ মানুষের ধারণা, বয়সকালেই হার্ট অ্যাটাক হয়। কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের কোনো নির্দিষ্ট বয়স নেই।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: সাধারণ মানুষের ধারণা, বয়সকালেই হার্ট অ্যাটাক হয়। কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের কোনো নির্দিষ্ট বয়স নেই। হৃদযন্ত্রের কোনো শিরায় রক্ত চলাচলে বাধা এলে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। এর পেছনে অনেক কারণ কারণ কাজ করে – বয়স, উচ্চ রক্তচাপ, অতিরিক্ত উত্তেজনা, মানসিক চাপ, শরীরে বেশি মাত্রায় কোলেস্টেরল, অতিরিক্ত মেদ, মদ্যপান, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি।
অনেক সময় বুকে ব্যথা ছাড়াই হার্ট অ্যাটাক হয়। তা আদপে হার্ট অ্যাটাক কি না বোঝা যায় না। তবে কিছু না কিছু লক্ষণ তো থাকেই। যেগুলি থেকে বোঝা যায় যে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে কি না।
সেই সব লক্ষণ
১। বিশেষজ্ঞদের মতে, হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আভাস পাওয়া যায় প্রায় ১ মাস আগে থেকেই। সেই সময় অকারণে দুর্বল ভাব, ঘন ঘন শ্বাসের সমস্যা, হাঁপানি শুরু হয়। এমন হলে সতর্ক হোন। হতে পারে হৃদপিণ্ডকে বিশ্রাম দেওয়া দরকার। পরামর্শ নিন চিকিৎসকের।
২। বিশেষজ্ঞরা বলেন, হার্ট অ্যাটাকের আগে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বদহজম, বুক জ্বালা, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, বমি হওয়া সহ নানা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল সমস্যা হয়। এগুলি একদম স্বাভাবিক সমস্যার মতো। কিন্তু হতে পারে এটা হার্ট অ্যাটাকের পুর্বাভাস।
৩। যদি কারণ ছাড়াই বেশি ঘাম হয় ও তা বেশ ঠান্ডা হয় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তা অবহেলা করবেন না। এটিও হার্ট অ্যাটাকের একটি লক্ষণ। কারণ হার্ট ব্লক হলে রক্ত সঞ্চালনের জন্য হৃদপিণ্ডকে অনেক বেশি কাজ করতে হয়। এই পরিশ্রমের জন্য ঘাম হয়। এমন হলে চিকিৎসকের কাছে যান।
৪। অ্যাটাকের সময় বুকে ব্যথা অনুভূত না হলেও অস্বস্তি হয়, চাপ ধরা, ভারী ভাব লাগে, শ্বাস নিতেও সমস্যা হয়। এমন হলে দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
৫। চিকিৎসকরা বলেন, শুধু বুকে নয়, শরীরের আরও কিছু অঙ্গে ব্যথা অনুভূত হলেও হতে পারে সেটা হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। যেমন দাঁত, চোয়াল, গলা, কাঁধ, পিঠ, পেটের উপরের অংশ এবং বাঁ হাতে হঠাৎ বেশ ব্যথা বা চাপ ভাব বা অস্বস্তি বা আড়ষ্ট ইত্যাদি।
তাই এমন কোনো সমস্যা বুঝলে দেরি না করে ব্যবস্থা নিন।
আরও – অবহেলা করবেন না, জরায়ুর ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণগুলি জেনে নিন
শরীরস্বাস্থ্য
কেন খাবেন মেথি?

খবর অনলাইন ডেস্ক : ইতিমধ্যেই অনেক কিছুরই উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করা হয়ে গিয়েছে। আজ রইল মেথি প্রসঙ্গে। সকালে এক গ্লাস মেথির জল খেলে শরীর হয় রোগমুক্ত। শারীরিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে চুল ও ত্বকের যত্নেও এর তুলনা হয় না।
মেথির পুষ্টিগুণ
এক টেবিল চামচ মেথির মধ্যে আছে- ফাইবার ৩ গ্রাম, প্রোটিন ৩ গ্রাম, ফ্যাট ১ গ্রাম, ক্যালরি ৩৫ ক্যালোরি, লোহা ২০ শতাংশ, ম্যাঙ্গানিজ ৭ শতাংশ, ম্যাগনেসিয়াম ৫ শতাংশ।
মেথির উপকারিতা
১। রোগ প্রতিরোধ
বর্তমান পরিস্থিতিতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো খুব দরকার। মেথিতে প্রচুর প্রোটিন ও খনিজ থাকে, তা ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
২। ডায়াবেটিসে
ম্যাঙ্গানিজ ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। মেথিতে ম্যাঙ্গানিজ আছে। রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমাতে সহায়তা করে। ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রিত হয়। রোজ সকালে মেথি ভেজানো জল পান করলে ডায়াবেটিস কমানো সম্ভব।
৩। কোলেস্টেরলে
মেথিতে ফ্যাট আছে। ফলে তা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। এতে হৃদযন্ত্র ভালো থাকে। গবেষণা অনুযায়ী, মেথির খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএল নির্মূল করতে সক্ষম।
৪। পাচন তন্ত্র
হজম ভালো করতে ফাইবার প্রয়োজন। মেথিতে ফাইবার আছে। অন্ত্রের জন্য এটি প্রয়োজনীয়। পাচন তন্ত্র ভালো রাখতে নিয়মিত মেথি খাওয়া প্রয়োজন।
৫। ওজন নিয়ন্ত্রণ
মেথির উপাদানগুলি ওজন কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত মেথি খেলে ওজন নিয়ন্ত্রিত হয়।
৬। হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য
হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে মেথি উপযুক্ত। নিয়মিত মেথি খেলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা কমে।
৭। হাড়শক্ত ও শক্তি সঞ্চয়ে
হাড় শক্ত করতেও মেথির উপকারিতা অনেক। কারণ ম্যাগনেসিয়াম হাড় গঠনে প্রয়োজনীয়। মেথিতে এটি আছে। ক্যালোরি দেহে শক্তির জোগান দেয় ও ফ্যাট শক্তি সঞ্চয় করে।
৮। ত্বকের জন্য
ত্বক, চুল, নখ, হাড় গঠন, বৃদ্ধি ও শক্ত হতে প্রোটিন প্রয়োজন। তা মেথিতে আছে। ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মেথি অতুলনীয়। মেথির দানা এবং মেথি পাতা খুব সহজেই ত্বকের অবাঞ্ছিত দাগ ছোপ দূর করে।
আরও – অবহেলা করবেন না, জরায়ুর ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণগুলি জেনে নিন
-
রাজ্য1 day ago
বুধবার রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ
-
দেশ2 days ago
মহারাষ্ট্র-কেরলে সংক্রমিত ৮০৮৬ বাকি দেশে মাত্র ৫০৭২, ২৩ মে’র পর সব থেকে কম দৈনিক মৃত্যু ভারতে
-
রাজ্য2 days ago
দক্ষিণবঙ্গে দু’ দিনের জন্য তাপমাত্রা বাড়লেও ফের ফিরবে শীত, উত্তরের পাহাড়ে তুষারপাতের সম্ভাবনা
-
ফুটবল3 days ago
এগিয়ে থেকেও ড্র করে পয়েন্ট খোয়াল এটিকে মোহনবাগান