শরীরস্বাস্থ্য
কেন খাবেন কামরাঙা? ১৩টি কারণ জেনে নিন

খবর অনলাইন ডেস্ক: শীতকাল। অনেক রকম ফল এই সময় পাওয়া যায়। তারই মধ্যে একটি হল কামরাঙা। অন্যান্য ফলের মতো কামরাঙারও পুষ্টি ও খাদ্যগুণ আছে।
ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, হাইপারটেনশন ইত্যাদি আটকাতে এক কাপ কামরাঙার রসই যথেষ্ট।
১। চিকিৎকরা বলছেন, ভিটামিন বি৯ অর্থাৎ ফলিক অ্যাসিডে ভরপুর এই ফল। হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।
২। কামরাঙায় ভিটামিন সি আম, আঙুর, আনারসের চেয়ে অনেকটাই বেশি।
৩। আয়রনের পরিমাণ পাকা কাঁঠাল, কমলালেবু, পাকা পেঁপে, লিচু, ডাবের জলের চেয়ে অনেকটাই বেশি।
৪। ভিটামিন বি৫ ও ভিটামিন বি৬ প্রচুর পরিমাণে রয়েছে কামরাঙায়।
৫। ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে এর তুলনা নেই।
৬। কোলেস্টেরলের সমস্যায় এটি মোক্ষম ওষুধ।
৭। হাইপারটেনশন দূর করতে এর জুড়ি মেলা ভার। কামরাঙা ফলের সঙ্গে গাছের পাতাও খুবই উপকারী।
৮। কামরাঙায় রয়েছে অ্যালাজিক অ্যসিড, এই উপাদান খাদ্যনালির ক্যানসার প্রতিরোধ করে।
৯। কামরাঙার পাতা ও কচি ফলের রসে আছে ট্যানিন। এই উপাদান রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
১০। সর্দিকাশিতে দারুণ উপকারি কামরাঙা।
১১। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এই ফল।
১২। কামরাঙা চুল, ত্বক, নখ ও দাঁতের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
১৩। মুখে ব্রন হওয়ার সমস্যা আটকাতে হলে কামরাঙা খেলে উপকার পাওয়া যায়।
তবে এই ফলটি অর্থাৎ কামরাঙা খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মানতে বলছেন চিকিৎসকরা –
১। খালি পেটে কোনো ভাবেই খাওয়া চলবে না। কামরাঙা খেতে হবে ভরা পেটে।
২। ডায়েরিয়া হলে কামরাঙা খাওয়া চলবে না।
৩। কামরাঙা একটি অক্সালেট সমৃদ্ধ ভিটামিন সি জাতীয় ফল। তাই কিডনির সমস্যা থাকলে কামরাঙা খেতে নিষেধ করছেন চিকিত্সকরা।
আরও পড়ুন – কেন খাবেন পাকা তেঁতুল, জেনে নিন ৩১টি উপকারিতা
শরীরস্বাস্থ্য
সাবধান! বেশিক্ষণ ইয়ারফোন ব্যবহার করলে এই সব মারাত্মক সমস্যা হতে পারে
আপনিও যত্নবান সচেতন হন। কথায় কথায় ইয়ারফোন ব্যবহার বন্ধ করুন!

খবর অনলাইন ডেস্ক: মোবাইলে কারও সঙ্গে কথা বলা অথবা গান শোনা, ভিডিও দেখার সময় ইয়ারফোন ব্যবহার করা সাধারণ একটা বিষয়। তবে চারপাশে এমন কিছু মানুষকেও দেখা যায়, যাঁরা সারাক্ষণ কানে ইয়ারফোন গুঁজে রাখেন। এ ধরনের অভ্যেস কিন্তু বধিরতা পর্যন্ত ডেকে আনতে পারে।
সত্যিই তাই, ইয়ারফোন ব্যবহার করলে মারাত্মক সমস্যা হতে পারে। কারণ ইয়ারফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার আপনার কানের ক্ষতি করতে পারে। আসুন অতিরিক্ত ইয়ারফোন ব্যবহারের অসুবিধাগুলি জেনে নিই-
বধিরতা সমস্যা
ঘন ঘন বা এক টানা ইয়ারফোন ব্যবহার শ্রবণ ক্ষমতা ৪০ থেকে ৫০ ডেসিবেল হ্রাস করে। কানের পরদায় কম্পন শুরু করে। দূরবর্তী শব্দ শুনতে সমস্যা তৈরি করে। এমনকি এটা বধিরতার কারণ হতে পারে।
সমস্ত ইয়ারফোন উচ্চ ডেসিবেল তরঙ্গ তৈরি করে। যা ব্যবহার করে আপনি চিরকালের জন্য শোনার ক্ষমতা হারাতে পারেন।
সংক্রমণের সম্ভাবনা
দীর্ঘ সময় ধরে গান শুনে কানে সংক্রমণও হতে পারে। অন্য কারও সঙ্গে ইয়ারফোন ভাগ করে নেওয়ার পরে স্যানিটাইজারের সাহায্যে পরিষ্কার করতে ভুলবেন না।
মানসিক সমস্যা
উচ্চস্বরে আওয়াজ শোনার ফলে মানসিক সমস্যা, হৃদরোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একই কারণে ক্যানসারের ঝুঁকিও বাড়ে।
মস্তিষ্কের উপর প্রভাব
দীর্ঘকাল ইয়ারফোন দিয়ে গান শোনার ফলে মস্তিষ্কেও খারাপ প্রভাব পড়ে। এই গুরুতর সমস্যাগুলি এড়াতে কথায় কথায় ইয়ারফোন ব্যবহার বন্ধ করুন।
আরও পড়তে পারেন: মাড়ির ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন? ব্যথা কমাতে ৫টি পরামর্শ
শরীরস্বাস্থ্য
মাড়ির ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন? ব্যথা কমাতে ৫টি পরামর্শ

খবরঅনলাইন ডেস্ক: মাঝেমধ্যেই দাঁতের মাড়ির ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন, তার ওপর শীতকাল বলে শিরশিরানি ভাবও বেশ সমস্যায় ফেলছে। এই সমস্যা অনেক কারণেই হতে পারে। তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য রয়েছে বেশ কয়েকটি ঘরোয়া উপায়। এই উপায়গুলি অবলম্বন করলে স্বস্তি পেতে পারেন।
১। নুন জলে স্বস্তি
দাঁতের ক্ষেত্রে নুনের উপকারিতা অসীম। দাঁতের সমস্যায় খুবই সহজ একটি পদ্ধতি হল নুনজলে কুলকুচি করা। এক গ্লাস হালকা গরম জলে ১/৩ চা চামচ নুন ফেলে দিনের মধ্যে ৩ থেকে ৪ বার কুলকুচি করলে উপকার হবেই। এতে মুখে মধ্যে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা হ্রাস হয়। ফলে ব্যথা কমে। ফোলা ভাব হলে তা-ও কমে।
২। লেবুর রসে কমবে ব্যথা
লেবুতে ঔষধি গুণ প্রচুর। তারই মধ্যে একটি হল দাঁতের সমস্যায় এর উপকারিতা। এতে আছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল যৌগ। এই যৌগ সংক্রমণকারী জীবাণু মেরে ফেলে। মাড়িকে স্বস্তি দেয়, মুখের পিএইচ ভারসাম্যও বজায় রাখে। এক গ্লাস গরম জলে ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে দিনে দু’ বার করে কুলকুচি করুন ব্যথা না কমা পর্যন্ত।
৩। গ্রিন টির প্রভাব
কমবেশি অনেকেই জানেন, গ্রিন টিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কাজ হল প্রদাহ কমানো, ব্যাকটিরিয়া প্রতিরোধ করা। এই কাজটি মাড়ির ক্ষেত্রেও করে। ফলে গ্রিন টিতে দাঁতের ব্যথা কমানো যায়। ব্যথায় গরম গরম গ্রিনটি পান করে দেখতে পারেন।
৪। হলুদ দিয়ে ব্যথা দূর
দাঁতের ব্যথা হলে হলুদ ব্যবহার করুন। ১/৪ চা চামচ হলুদবাটা বা হলুদগুঁড়ো নিন। মাড়িতে যেখানে ব্যথা সেখানে মোটা করে প্রলেপ লাগিয়ে ৫ মিনিট রাখুন। এর পর গরম জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ব্যথা না কমা পর্যন্ত প্রতি দিন হলুদ পেস্ট ব্যবহার করুন। হলুদ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান সমৃদ্ধ। মাড়ির ব্যথা, ফোলা এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
৫। গরম ও ঠান্ডা সেঁক
মাড়ির ব্যথায় আর একটি সহজ ঘরোয়া ও উপকারী উপায় হল ঠান্ডা গরম সেঁক। খুবই আরামদায়ক একটি উপায়। মাড়ির ফোলা বা ব্যথা অংশে পরিষ্কার গরম কাপড় ও বরফ পুঁটলি দিয়ে সেঁক দিন। এক বার ঠান্ডা এক বার গরম এই ভাবে ৪ বার করুন। দিনে ২ বার করতে পারলে ভালো। ব্যথা না কমা পর্যন্ত করে পদ্ধতিটি করতে পারলে ভালো।
এই সমস্ত ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করা ছাড়াও চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিন।
আরও – জেনে নিন, নাক-কান-দাঁতের সমস্যায় কী ভাবে কাজ করে জোয়ান?
শরীরস্বাস্থ্য
থাইরয়েড ধরা পড়েছে? এই খাবারগুলি সম্পর্কে সচেতন হন

খবরঅনলাইন ডেস্ক: থাইরয়েডের সমস্যা খুব সহজ কথা নয়। থাইরয়েডকে অনেকেই সাইলেন্ট কিলারও বলেন। ‘অ্যামেরিকান থাইরয়েড অ্যাসোসিয়েশনে’র মতে প্রায় ২০ লক্ষ অ্যামেরিকাবাসীই থাইরয়েডের সমস্যায় ভোগেন। তাদের মধ্যে ৬০% বোঝেনই না তাঁদের থাইরয়েডের সমস্যা আছে।
থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি ডায়েটও নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। কারণ এমন অনেক খাবার আছে যেগুলোর নিউট্রিয়েন্টস শরীরে থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যকে নষ্ট করে। আবার ওষুধের কার্যকারিতাও কমিয়ে দেয়। সে ক্ষেত্রে থাইরয়েড ডায়েট বুঝে নিলে সমস্যা অনেকটা কমানো যায়।
১। ভাত, পাউরুটি, পাস্তা
এই তিনটি খাবারে গ্লুটেন থাকে। ‘অ্যাকাডেমি অফ নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটেটিক্সে’র বিশেষজ্ঞ রুথ ফ্রেচম্যানের মতে, থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে এই তিন খাবার না খাওয়াই ভালো। গ্লুটেন নামক প্রোটিন ক্ষুদ্রান্ত্রে সমস্যার কারণ। এতে থাইরয়েড হরমোন রিপ্লেসমেন্ট মেডিসিনের কার্যকারিতায় বাধা দেয়। তবে ভাত পাউরুটি ছাড়া বাঙালি খাবেই বা কী। অনেকেই দু’ বেলা ভাত খান। সে ক্ষেত্রে পরিমাণ যতটা কম করা যায় ততই ভালো।
২। সোয়াবিন
থাইরয়েড থাকলে সোয়াবিন খাওয়া কমাতে হবে। কারণ এর আইসোফ্ল্যাভিন থাইরয়েডে সমস্যার কারণ হয়। এটি খেলে থাইরয়েডের সমস্যা অনেক বেড়ে যেতে পারে।
৩। ব্রকোলি, ফুলকপি
এই দু’টি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। কিন্তু থাইরয়েড থাকলে তা ক্ষতিকর। এর ফাইবার, নিউট্রিয়েন্টস থাইরয়েড হরমোনের সমস্যার কারণ। তাই থাইরয়েডের সমস্যায় ব্রকোলি, শালগম, ফুলকপি, বাঁধাকপি জাতীয় যাবতীয় খাবার খাওয়া কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
৪। বিন, ডাল
ফাইবারও শরীরের জন্য ভালো। কিন্তু অতিরিক্ত ফাইবার থাইরয়েডের সমস্যাকে জটিল করে। তা হজমের সমস্যা তৈরি করে, থাইরয়েডের ওষুধের কার্যকারিতায় বাধা দেয়। তাই ডাল, বিন অল্প করে খান।
৫। মাখন, ভাজাভুজি, ফাস্ট ফুড
ফ্যাট থাইরয়েড হরমোনের ওষুধের কাজে বাধা সৃষ্টি করে। তাই ডায়েট থেকে মাখন, মেয়োনিজ, তেলেভাজা ফাস্টফুড ইত্যাদি যতটা সম্ভব বাদ দিন।
৬। কফি
কফিতে থাকে ক্যাফেইন। এটিও ওষুধের কাজে বাধা দেয়। তাই থাইরয়েডের ওষুধ খেলে কফি খাওয়া বন্ধ করতে হবে বা কমিয়ে ফেলতে হবে।
৭। মিষ্টি খাবার
মিষ্টি খাওয়াও কমাতে হবে। কারণ থাইরয়েড শরীরের মেটাবলিজমকে ধীরে করে দেয়। ফলে মোটা হওয়ার ভয় বাড়ে। মিষ্টি খেলে বাড়তি ক্যালোরি ওজন বাড়ায়। তাই মিষ্টির ব্যাপারে সংযত হতে হবে।
৮। প্রসেসড ফ্রোজেন ফুড
প্রসেস করা খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রিজারভেটিভ থাকে। প্রিজারভেটিভ মানেই সোডিয়াম। থাইরয়েডে সোডিয়াম খাওয়া উচিত নয়। বেশি সোডিয়াম উচ্চ রক্তচাপের কারণ। এটি থাইরয়েডের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দেয়।
৯। অ্যালকোহল
অ্যালকোহল থাইরয়েড হরমোনের সামঞ্জস্যকে নষ্ট করে দিতে পারে। শরীরে স্বাভাবিক থাইরয়েড উৎপাদনকেও বাধা দেয় এটি।
১০। কোল্ডড্রিঙ্কস
সফট ড্রিঙ্কস বা কোল্ডড্রিঙ্কসগুলোতে প্রচুর চিনি থাকে তা ক্ষতিকর। তাই থাইরয়েড থাকলে কোল্ড ড্রিঙ্কস না খাওয়াই উচিত।
আরও – থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা থেকে উপশমে যে ছ’টি খাবার আপনার জরুরি
-
ধর্মকর্ম2 days ago
অন্নপূর্ণাপুজো: উত্তর কলকাতার পালবাড়ি ও বালিগঞ্জের ঘোষবাড়িতে চলছে জোর প্রস্তুতি
-
ভিডিও2 days ago
Bengal Polls 2021: বিধাননগরে মুখোমুখি টক্কর সুজিত বসু-সব্যসাচী দত্তর, ময়দানে জোট প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
-
প্রবন্ধ1 day ago
First Man In Space: ইউরি গাগারিনের মহাকাশ বিজয়ের ৬০ বছর আজ, জেনে নিন কিছু আকর্ষণীয় তথ্য
-
দেশ1 day ago
Kumbh Mela 2021: করোনাবিধিকে শিকেয় তুলে এক লক্ষ মানুষের সমাগম, আজ কুম্ভের প্রথম শাহি স্নান হরিদ্বারে