দৈনন্দিন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বা হাইজিনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে রোজকারের স্নান। কিন্তু প্রত্যেক মানুষ দিনের একই সময় স্নান করেন না। কেউ ভোরে, খুব সকালে স্নান করতে অভ্যস্ত কেউ আবার বেলার দিকে স্নান করেন। কেউ আবার রাতেও স্নান করতে অভ্যস্ত। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, কোন সময় স্নান করা হচ্ছে তার প্রভাব সরাসরি পড়ে স্বাস্থ্যর ওপর। আমেরিকার স্লিপ ফাউন্ডেশনের ২০২২ সালের গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৪২% মানুষ সকালে স্নান করতে ভালোবাসেন। ২৫% মানুষ রাতে স্নান করতে অভ্যস্ত। গবেষণায় দেখা গেছে, স্নান কখন করা হচ্ছে তার প্রভাব সরাসরি পড়ে ত্বকের স্বাভাবিক স্বাস্থ্যর ওপর। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে স্নান করলে গায়ে, হাতে পায়ে জমা হওয়া ঘাম, ধুলোবালি, ময়লা পরিষ্কার হয়। আবার সকালে স্নান করলে সারারাত ধরে ত্বকে জমা হওয়া ব্যাক্টেরিয়া, ঘাম, ধুলোবালি পরিষ্কার হয়। ঘাম দূর হয়। দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়া দূর হয়।
স্নান নিয়মিত রোজ করলে কী উপকার হয়
নিয়মিত স্নান করলে হাতে, পায়ের পেশি নরম হয়। শক্ত হয়ে গিয়ে যন্ত্রণা কমে। রিল্যাক্স ভাব আনে।
ঈষদুষ্ণ গরম জলে নিয়মিত স্নান করলে মন মেজাজ ভালো থাকে। তরতাজা থাকে। মানসিক উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা দূর হয়।
নিয়মিত স্নান করলে বিশেষ করে রাতে ঘুমের সমস্যা দূর হয়। রাতে ভালো করে ঘুম হয়। স্নান করলে সেরাটোনিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে। ঘুম ভালো হয়।
নিয়মিত স্নান করলে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। মানসিক উদ্বেগ কমে। হার্টের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
ঈষদুষ্ণ গরম জলে নিয়মিত স্নান করলে শরীরে ফোলা ভাব দূর হয়। ল্যাভেন্ডার অয়েল বা নারকেল তেল মেখে স্নান করলে রুক্ষ ও শুষ্ক ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা ও জেল্লা ফিরে আসে।