খবরঅনলাইন ডেস্ক: শীতকাল মানেই নানা রকমের সবজির চাষ। তার মধ্যে অন্যতম ফুলকপি। নানান পদ, সুপ, ভাজা ইত্যাদি বানিয়ে বা কাঁচা সালাডের সঙ্গে বিভিন্ন ভাবে ফুলকপি খাওয়া যায়।
এই সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইটোকেমিক্যালসহ বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান।
এর উপকারিতাও অনেক –
১। ক্যানসারে
ফুলকপির গুনাগুণ ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। ফুলকপির মধ্যেকার সালফোরাফেন ক্যানসারের স্টেম সেল ধ্বংস করে এবং বিভিন্ন ধরনের টিউমারের বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে।
২। অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান
শরীরের অতিরিক্ত ও ক্ষতিকর দহন প্রতিরোধ করে ক্যানসার বা যে কোনো সাংঘাতিক ধরনের রোগের আশঙ্কা হ্রাস করে। ফুলকপির ‘অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি নিউট্রিয়েন্টস’ শরীরের এই দহন প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে।
৩। হৃদযন্ত্রের জন্য
হৃদপিণ্ড ভালো রাখতে ফুলকপি বেশ সাহায্য করে। এতে আছে সালফোরাফেন, তা রক্ত চাপ কমায়। পাশাপাশি ধমনীর ভিতরে প্রদাহ রোধ করে ফুলকপি।
৪। হজমে সহায়ক
ফুলকপিতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও সালফার-জাতীয় উপাদান। খাবার হজম হতে সাহায্য করে। তা ছাড়া ফাইবার জাতীয় খাবার হজমে কার্যকর ভূমিকা নেয়।
৫। কিডনির জন্য
এতে আছে সালফোরাফেন, তা রক্ত চাপ কমায় এবং কিডনি ভালো রাখে।
৬। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
ফুলকপিতে আছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স সমৃদ্ধ কলিন। ভিটামিন-বি মস্তিষ্কের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। কলিন মস্তিষ্কের কগনিটিভ প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। এতে স্মৃতিশক্তি বাড়ে ও শেখার ক্ষমতা বাড়ায়। বয়স্কদের স্মৃতিবিভ্রমের সমস্যা এবং ছোটোদের টক্সিনের প্রভাবে মস্তিষ্ক দুর্বল হয়ে যাওয়া কমায়।
৭। সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখতে
শরীর সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা মেটে নিয়মিত ফুলকপি খেলে। ফুলকপিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন বি৬, ভিটামিন-সি, ভিটামিন কে, প্রোটিন, ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, ফসফরাস ও ম্যাঙ্গানিজ।
তবে কারো কারো ফুলকপি খেলে গ্যাসের সমস্যা হয়। সে ক্ষেত্রে বুঝে খাওয়াই স্বাস্থ্যসম্মত।