শীতকাল মানেই নানা পদের টাটকা সবজির ভরপুর বাজার। তার মধ্যে মুলো অন্যতম। এই সবজি শুধু রান্নার স্বাদই বাড়ায় না, শরীরের জন্যও অনেক উপকার নিয়ে আসে। মুলোতে থাকা পুষ্টিগুণ শরীরকে সুস্থ ও শক্তিশালী রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। আসুন, জেনে নেওয়া যাক শীতের এই জনপ্রিয় সবজির উপকারিতা।
১. পাচনতন্ত্রের উন্নতি
মুলোতে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার থাকে, যা হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কার্যকর এবং পেট পরিষ্কার রাখতে সহায়ক।
২. ইমিউন সিস্টেম মজবুত করে
মুলোতে রয়েছে ভিটামিন সি, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শীতের ঠান্ডা-কাশি থেকে বাঁচতে নিয়মিত মুলো খাওয়া যেতে পারে।
৩. লিভারের স্বাস্থ্য রক্ষা করে
মুলো লিভারের টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। এটি জন্ডিসের মতো রোগের বিরুদ্ধে কার্যকরী এবং লিভারের কার্যক্ষমতা উন্নত করে।
৪. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
মুলো পটাশিয়াম সমৃদ্ধ, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এটি উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায় এবং হৃদযন্ত্রের সুরক্ষা নিশ্চিত করে।
৫. ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়
মুলোতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। এটি ত্বক পরিষ্কার ও হাইড্রেটেড রাখতে সহায়ক।
৬. ওজন কমাতে সহায়ক
মুলোতে ক্যালোরি কম এবং পানি বেশি থাকে। এটি পেট ভরিয়ে রাখে এবং বারবার খিদে পাওয়ার প্রবণতা কমায়। ফলে ওজন কমাতে এটি দারুণ কার্যকর।
৭. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
মুলোর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি একটি আদর্শ সবজি।
৮. হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখে
মুলোতে থাকা ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য খনিজ পদার্থ হাড়কে মজবুত করে এবং অস্টিওপোরোসিসের মতো সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
কীভাবে মুলো খাওয়া যেতে পারে?
মুলো রান্না করে, কাঁচা সালাদ হিসাবে কিংবা স্যুপের মধ্যে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এর পাতাও পুষ্টিগুণে ভরপুর। তাই মুলো পাতার চচ্চড়ি বা ভাজা করেও খাওয়ার অভ্যাস করা যেতে পারে।
শীতকালের এই সহজলভ্য সবজি আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অবশ্যই থাকা উচিত। পুষ্টিগুণে ভরপুর মুলো শুধু শরীরকে সুস্থই রাখে না, বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত মুলো খেয়ে শীতের দিনগুলোকে আরও স্বাস্থ্যকর করে তুলুন।