গরমে তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ চড়ছে। ভ্যাপসা গরমের মাঝে আবার কখনো সখনো বৃষ্টি হচ্ছে ঝমঝম করে। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি। এই পরিস্থিতিতে শরীরকে আর্দ্র ও তরতাজা রাখতে অবশ্যই খান ফলসা ফল। টক মিষ্টি স্বাদের ছোট্ট ফলের বৈজ্ঞানিক নাম হল Grewia asiatica। গোটা ভারতীয় উপমহাদেশে পাওয়া যায় ফলসা ফল। পুষ্টির সুপার হাউজ বলে ডাকা হয় বেগুনি রঙের ফলসা ফলকে। ছোট্ট গোলাকার ফল পাকলে ঘন বেগুনি রঙের হয়। এপ্রিল থেকে জুনে বাজারে দেখতে পাওয়া যায়।
কতটা উপকারী ফলসা ফল
১) বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে শরীর ঠান্ডা করে ফলসা। আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। তাই হিটস্ট্রোক বা ডিহাইড্রেশন হলে ফলসা ফল খেতে বলা হয় আয়ুর্বেদে।
২) রোদে ঘোরাঘুরি করে শরীর গরম হয়ে যায়। বাড়ি ফিরে এক গ্লাস ঠান্ডা ফলসার শরবত খেলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসে, পেট ঠান্ডা হয় আর গরমে শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে আরাম মেলে। শরীরের ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখে।
৩) অ্যানথোসায়ানিন, ফ্ল্যাভোনয়েড, ফেনোলিক অ্যাসিডের মতো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে বলে ফলসা ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, শরীরের ফোলা ভাব কমায় ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায় ফলসা। ত্বকের অকালে বুড়িয়ে যাওয়া আটকায়।
৪) ফলসা হজমশক্তি বাড়ায়। পেট ফাঁপা, অ্যাসিডিটি, পেট ফোলা, পেটে মোচড় দেওয়ার সমস্যা দূর করে।
৫) ফলসা শরীর থেকে বের করে দেয় টক্সিন। লিভার ঠিক রাখে।
৬) পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলসা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। হাড় মজবুত করে। ব্রণর সমস্যা দূর করে ও দাগছোপ দূর করে। লোহা থাকে বলে ফলসা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।