শরীরস্বাস্থ্য
স্বাস্থ্য সাবধান: জ্বরজারির গল্প

দীপঙ্কর ঘোষ
জ্বর কিংবা জারি/মহা কিংবা মারি?/অ্যান্টি বায়োটিকটিকি/সারাবে কি ঠিক ঠিকই?/ম্যালেরিয়া ফ্যালেরিয়া,/কর্কশ কর্কট ভয়ে/যদি কভু কাঁপে হিয়া/ঠিক হবে কী দিয়া?/অ্যান্টি বায়োটিকটিকি?/মরে গেলে সব ফাঁকি।।
আমাদের বুড়ো টেকো হাতুড়ে ডাক্তার গিলা মেটের ঝোলে রুটি ডুবিয়ে খেতে খেতে এই ভয়ানক কবিতাটি লিখতে থাকেন। গিলা মেটে জানেন? মুরগির গলা পাকস্থলী, মেটুলি – এ সবের ঝোল। কুড়ি টাকা প্লেট। এই যে ভয়াবহ কবিতা তৈরি হচ্ছে তারও একটা চমৎকার পশ্চাৎপট আছে।
পিছনাম্বু এবং ছত্রাক:
এক শ্যামবরণ দাড়ি-ঢাকা একটি যুবক ন্যাতপ্যাত করতে করতে তার মাতুলবাবুর সঙ্গে বুড়োর ভাঙা খুপরিতে নভেম্বরের বারো তারিখে এসে হাজির হল। উনিশের সন্ধ্যায় বিবাহ। পঁচিশে মধুচন্দ্রিমা কেরলের পিছনাম্বু মানে ব্যাকওয়াটারে। দু’ মাস আগে ছোকরার ইউরেটারে পাথর গজায়। পাইপ বসিয়ে পাথর বার করে পরে স্টেন্ট বা পাইপটা খোলা হয়। তার পর থেকে শুরু কাঁপুনি দিয়ে জ্বর। দুইখান মহানামধারী হাসপাতালের পর যে কেন ওরা এই ভুয়ো ডাক্তারের ভাঙা খুপরিতে হাজির হল, তা ভেবে ভেবে টাক-ফাক চুলকে হাতুড়ে শোনেন, স্টেন্ট বার করার পর থেকে দু’ মাস ধরে ভয়ানক কাঁপুনি দিয়ে জ্বর হচ্ছে। বাজারের সব রকম অ্যান্টিবায়োটিকের স্টক শেষ, লেকিন জ্বরে জর্জরিত যুবক। দীর্ঘনাসা হাতুড়ে একটা সবুজ রঙের বইয়ের কথা মনে রেখে শ্রীহরিসেনকে স্মরণ করে একটা জম্পেশ অ্যান্টিফাঙ্গাল ঠুকে দিলেন (ডিপ অর্গান মাইকোসিস)।
তার পর হল মুশকিল। রাত্রি জাগরণে রক্তচক্ষু কপালে জ্যাবড়াসিঁদুর নববধূ তেইশে নভেম্বর সকালে এসে দু’ ফোঁটা চোখের জলে এক টুকরো হাসি মাখিয়ে বলল, “ডাক্তারকাকু জ্বর তো সেরে গেছে। কিন্তু আমাদের ব্যাকওয়াটার হানিমুনটা যে তুমি ক্যানসেল করে দিলে তার কী হবে?”
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য সাবধান: হঠাৎ ক্ষণস্থায়ী শ্বাসকষ্ট? শরীর অবশ? প্যানিক আট্যাক
বেচারা অপ্রস্তুত থতমত ডাক্তার একটা বোকা হাসি দিয়ে জামার কলারটা একটু তুলল। তা হলে এটা ডিপ অর্গ্যান মাইকোসিসই ছিল – জয় চাঙায়নী সুধা, জয় বাবা থুম্বোনাথ।
সাদা গাড়ির মন্ত্রীমশায় এবং চিৎপটল:
প্রভুর আজব লীলা/সুরাতেও ভাসে শিলা।
হ্যাঁ মশায়, তখন বুড়ো ডাক্তার ছোকরা হাতুড়ে ছিল। একটা ভগ্নপ্রায় দোকানের ক্ষুদ্রতম প্রকোষ্ঠে টেবিলফ্যান চালিয়ে ঘামত আর ঘামত। একদিন, না না, এক সন্ধ্যায় দোকানের বিক্রয়বালক বাপি একজন ধুতি-পাঞ্জাবি পরিহিত চমৎকার স্থূলকায় ব্যক্তিকে ঠেলে ঠুলে কোনোক্রমে ছোট্ট ঘরের সরু দরজা দিয়ে ঢুকিয়ে দিল।
দোকানের মালিক মামাবাবু বললেন, “ইনি অমুক বিভাগের সর্বময় মন্ত্রী”। ওঁর কিছু দিন ধরে জ্বর-গলাব্যথা-কাশি – বর্তমানে বড্ড শরীর খারাপ লাগছে। দু’ রকম অ্যান্টিবায়োটিক হজম করেও জ্বর কমেনি। বরং শরীর বেশি খারাপ হয়েছে।
এমনিতেই আমাদের আধাপাগল ডাক্তারের মাথা অনেক সময় ঠিকঠাক কাজ করে না, তার ওপর মন্ত্রী-সান্ত্রী দেখলে পরে ঘেবড়ে ‘ঘ’ হয়ে যান। দেখা গেল উনি আগে যে সব অ্যান্টিবায়োটিক খেয়েছেন সেগুলো এই হাতুড়ে ভালো করে জানেনই না। অনেক ভেবে এবং চিন্তে ছোকরা হাতুড়ে একটা সাধারণ রক্তপরীক্ষা লিখে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। ওষুধ না লেখায় মন্ত্রীমশাই রেগে ঘোঁত ঘোঁত করতে করতে বেরিয়ে গেলেন। ডাক্তার দরজার নোংরা পর্দা দিয়ে কপালের ঘাম মুছে দম ফেললেন।
কিন্তু ওই যে বলে তুমি যাও বঙ্গে…। পরের দুপুরে ছোকরার থান ইট সাইজের মোবাইল ফোন কড়কড়িয়ে বেজে উঠল। এক মহাবিখ্যাত প্যাথলজি সেন্টারের ফোন। জানা গেল, মন্ত্রীমশাইয়ের রক্তে ক্যানসার। এবং ক্যানসার কোষগুলো প্রায় ষাট শতাংশ স্বাভাবিক কোষ দখলে নিয়ে ফেলেছে। সুতরাং আবার ছোটো ছোটো ছোটো। সবুজ বাজাজ ক্যাবে চেপে মন্ত্রীমশাইয়ের বাড়ি খুঁজে পেয়ে তবে শান্তি। তার মানে জ্বর হল আর কপাত করে অ্যান্টিবায়োটিক খেলাম, গল্প নয়কো সহজ অত।
একটি চমৎকার বালকের চমৎকার জ্বর:
এই কিছু দিন আগে এক অতি ভদ্রলোক তার শীর্ণ বাচ্চা নিয়ে পথভোলা এক পথিকের মতো এই খড়গনাসা টেকো হাতুড়ের কাছে হাজির। দীর্ঘ তিন মাসের জ্বর। দু’জন পাশ করা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখেছেন। দু’ বার ঝকমকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ওজন কমছে। সন্ধ্যার তারাগুলো আকাশে ফুটলেই জ্বর আসে। ক্লাস নাইনের ছেলেটার বাবা জলের ব্যবসা করেন। মানে ঠান্ডা জলের। সঙ্গে পান ইত্যাদি বেচে থাকেন। রক্তে ইএসআর বেড়েছে। হাতুড়ে বড়ো ভয় পেল। একটা বাচ্চা ডাক্তার নাম সব্যসাচী সেনগুপ্ত – চমৎকার গল্প লেখে – তাকে ফোনে জিজ্ঞাসা করলেন –
আরও পড়ুন: ক্যানসার চিকিৎসার ক্ষেত্রে এ এক যুগান্তকারী আবিষ্কার
“ভাই সব্যসাচী, এই হল ব্যাপার – আমি কি এই ধাড়ি বাচ্চাটাকে টিবির ওষুধ শুরু করে দেব?”
সব্যসাচী অত্যন্ত জ্ঞানী ছেলে – ধীর স্থির মানুষ – ধৈর্য ধরে শুনেটুনে সায় দিল। যা-ই হোক, সব্যসাচীর নিঁখুত পরামর্শে জ্বরের রোগী টিবির ওষুধে সেরে গেল।
কালীপূজা, আলোকসজ্জা এবং মায়ের চোখের জল:
এত দিনে হাতুড়ে আরও আরও বুড়ো আর খ্যাপাটে হয়েছেন। এক অতি সাধারণ গৃহস্থ মা তার লম্বাটে শ্যামল ঝাঁকড়া চুলের কিশোরছানাকে নিয়ে হাজির হল। জ্বরে জেরবার। প্রায় দু’মাস ধরে।
হাতুড়ের বিদ্যেবুদ্ধি বেশ কম। পাজামা-পাঞ্জাবি পরে চেম্বারে বসে বসে চা গেলে আর গান করে। অনেক দিন পরে একটা রোগী পেয়ে বেশ ঠুকে ঠাকে টিপে টুপে উলটে পালটে দেখল। ঘাড়ে কুঁচকির কাছে বগলের নীচে কয়েকটা গ্ল্যান্ড ফুলে রয়েছে। আগেকার ব্যস্ত ডাক্তারেরা বোধহয় দেখার সময় পাননি। হাতুড়ের মতো কর্মহীন তো নন?
যা-ই হোক, গ্ল্যান্ডের বায়োপসি নিয়ে কালীপুজোর ঠিক আগের দিন অতি সাধারণ মা এসে ফাঁকা চেম্বারে বসে আছেন। তাঁর দু’ চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে লবণাক্ত জল। নীরবে রিপোর্টটা হাতুড়ের হাতে তুলে দিলেন। ব্লাড ক্যানসার। টেবিলে মাথা রেখে সেই চিরন্তন মা বলেন, “ছেলেটা এখন বাড়িতে দিদির সঙ্গে টুনিলাইট লাগাচ্ছে। আমি বাড়ি ফিরে ওর সামনে দাঁড়াব কী করে?”
হ্যাঁ, আমারও কিছু গর্ব আছে, বাঁচার রসদ আছে। গতকাল খবর পেলাম ছেলেটা কেমোথেরাপি নিয়ে একদম ‘ভালো’ আছে।
(লেখক একজন চিকিৎসক)
শরীরস্বাস্থ্য
সাবধান! বেশিক্ষণ ইয়ারফোন ব্যবহার করলে এই সব মারাত্মক সমস্যা হতে পারে
আপনিও যত্নবান সচেতন হন। কথায় কথায় ইয়ারফোন ব্যবহার বন্ধ করুন!

খবর অনলাইন ডেস্ক: মোবাইলে কারও সঙ্গে কথা বলা অথবা গান শোনা, ভিডিও দেখার সময় ইয়ারফোন ব্যবহার করা সাধারণ একটা বিষয়। তবে চারপাশে এমন কিছু মানুষকেও দেখা যায়, যাঁরা সারাক্ষণ কানে ইয়ারফোন গুঁজে রাখেন। এ ধরনের অভ্যেস কিন্তু বধিরতা পর্যন্ত ডেকে আনতে পারে।
সত্যিই তাই, ইয়ারফোন ব্যবহার করলে মারাত্মক সমস্যা হতে পারে। কারণ ইয়ারফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার আপনার কানের ক্ষতি করতে পারে। আসুন অতিরিক্ত ইয়ারফোন ব্যবহারের অসুবিধাগুলি জেনে নিই-
বধিরতা সমস্যা
ঘন ঘন বা এক টানা ইয়ারফোন ব্যবহার শ্রবণ ক্ষমতা ৪০ থেকে ৫০ ডেসিবেল হ্রাস করে। কানের পরদায় কম্পন শুরু করে। দূরবর্তী শব্দ শুনতে সমস্যা তৈরি করে। এমনকি এটা বধিরতার কারণ হতে পারে।
সমস্ত ইয়ারফোন উচ্চ ডেসিবেল তরঙ্গ তৈরি করে। যা ব্যবহার করে আপনি চিরকালের জন্য শোনার ক্ষমতা হারাতে পারেন।
সংক্রমণের সম্ভাবনা
দীর্ঘ সময় ধরে গান শুনে কানে সংক্রমণও হতে পারে। অন্য কারও সঙ্গে ইয়ারফোন ভাগ করে নেওয়ার পরে স্যানিটাইজারের সাহায্যে পরিষ্কার করতে ভুলবেন না।
মানসিক সমস্যা
উচ্চস্বরে আওয়াজ শোনার ফলে মানসিক সমস্যা, হৃদরোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একই কারণে ক্যানসারের ঝুঁকিও বাড়ে।
মস্তিষ্কের উপর প্রভাব
দীর্ঘকাল ইয়ারফোন দিয়ে গান শোনার ফলে মস্তিষ্কেও খারাপ প্রভাব পড়ে। এই গুরুতর সমস্যাগুলি এড়াতে কথায় কথায় ইয়ারফোন ব্যবহার বন্ধ করুন।
আরও পড়তে পারেন: মাড়ির ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন? ব্যথা কমাতে ৫টি পরামর্শ
শরীরস্বাস্থ্য
মাড়ির ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন? ব্যথা কমাতে ৫টি পরামর্শ

খবরঅনলাইন ডেস্ক: মাঝেমধ্যেই দাঁতের মাড়ির ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন, তার ওপর শীতকাল বলে শিরশিরানি ভাবও বেশ সমস্যায় ফেলছে। এই সমস্যা অনেক কারণেই হতে পারে। তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য রয়েছে বেশ কয়েকটি ঘরোয়া উপায়। এই উপায়গুলি অবলম্বন করলে স্বস্তি পেতে পারেন।
১। নুন জলে স্বস্তি
দাঁতের ক্ষেত্রে নুনের উপকারিতা অসীম। দাঁতের সমস্যায় খুবই সহজ একটি পদ্ধতি হল নুনজলে কুলকুচি করা। এক গ্লাস হালকা গরম জলে ১/৩ চা চামচ নুন ফেলে দিনের মধ্যে ৩ থেকে ৪ বার কুলকুচি করলে উপকার হবেই। এতে মুখে মধ্যে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা হ্রাস হয়। ফলে ব্যথা কমে। ফোলা ভাব হলে তা-ও কমে।
২। লেবুর রসে কমবে ব্যথা
লেবুতে ঔষধি গুণ প্রচুর। তারই মধ্যে একটি হল দাঁতের সমস্যায় এর উপকারিতা। এতে আছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল যৌগ। এই যৌগ সংক্রমণকারী জীবাণু মেরে ফেলে। মাড়িকে স্বস্তি দেয়, মুখের পিএইচ ভারসাম্যও বজায় রাখে। এক গ্লাস গরম জলে ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে দিনে দু’ বার করে কুলকুচি করুন ব্যথা না কমা পর্যন্ত।
৩। গ্রিন টির প্রভাব
কমবেশি অনেকেই জানেন, গ্রিন টিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কাজ হল প্রদাহ কমানো, ব্যাকটিরিয়া প্রতিরোধ করা। এই কাজটি মাড়ির ক্ষেত্রেও করে। ফলে গ্রিন টিতে দাঁতের ব্যথা কমানো যায়। ব্যথায় গরম গরম গ্রিনটি পান করে দেখতে পারেন।
৪। হলুদ দিয়ে ব্যথা দূর
দাঁতের ব্যথা হলে হলুদ ব্যবহার করুন। ১/৪ চা চামচ হলুদবাটা বা হলুদগুঁড়ো নিন। মাড়িতে যেখানে ব্যথা সেখানে মোটা করে প্রলেপ লাগিয়ে ৫ মিনিট রাখুন। এর পর গরম জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ব্যথা না কমা পর্যন্ত প্রতি দিন হলুদ পেস্ট ব্যবহার করুন। হলুদ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান সমৃদ্ধ। মাড়ির ব্যথা, ফোলা এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
৫। গরম ও ঠান্ডা সেঁক
মাড়ির ব্যথায় আর একটি সহজ ঘরোয়া ও উপকারী উপায় হল ঠান্ডা গরম সেঁক। খুবই আরামদায়ক একটি উপায়। মাড়ির ফোলা বা ব্যথা অংশে পরিষ্কার গরম কাপড় ও বরফ পুঁটলি দিয়ে সেঁক দিন। এক বার ঠান্ডা এক বার গরম এই ভাবে ৪ বার করুন। দিনে ২ বার করতে পারলে ভালো। ব্যথা না কমা পর্যন্ত করে পদ্ধতিটি করতে পারলে ভালো।
এই সমস্ত ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করা ছাড়াও চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিন।
আরও – জেনে নিন, নাক-কান-দাঁতের সমস্যায় কী ভাবে কাজ করে জোয়ান?
শরীরস্বাস্থ্য
থাইরয়েড ধরা পড়েছে? এই খাবারগুলি সম্পর্কে সচেতন হন

খবরঅনলাইন ডেস্ক: থাইরয়েডের সমস্যা খুব সহজ কথা নয়। থাইরয়েডকে অনেকেই সাইলেন্ট কিলারও বলেন। ‘অ্যামেরিকান থাইরয়েড অ্যাসোসিয়েশনে’র মতে প্রায় ২০ লক্ষ অ্যামেরিকাবাসীই থাইরয়েডের সমস্যায় ভোগেন। তাদের মধ্যে ৬০% বোঝেনই না তাঁদের থাইরয়েডের সমস্যা আছে।
থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি ডায়েটও নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। কারণ এমন অনেক খাবার আছে যেগুলোর নিউট্রিয়েন্টস শরীরে থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যকে নষ্ট করে। আবার ওষুধের কার্যকারিতাও কমিয়ে দেয়। সে ক্ষেত্রে থাইরয়েড ডায়েট বুঝে নিলে সমস্যা অনেকটা কমানো যায়।
১। ভাত, পাউরুটি, পাস্তা
এই তিনটি খাবারে গ্লুটেন থাকে। ‘অ্যাকাডেমি অফ নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটেটিক্সে’র বিশেষজ্ঞ রুথ ফ্রেচম্যানের মতে, থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে এই তিন খাবার না খাওয়াই ভালো। গ্লুটেন নামক প্রোটিন ক্ষুদ্রান্ত্রে সমস্যার কারণ। এতে থাইরয়েড হরমোন রিপ্লেসমেন্ট মেডিসিনের কার্যকারিতায় বাধা দেয়। তবে ভাত পাউরুটি ছাড়া বাঙালি খাবেই বা কী। অনেকেই দু’ বেলা ভাত খান। সে ক্ষেত্রে পরিমাণ যতটা কম করা যায় ততই ভালো।
২। সোয়াবিন
থাইরয়েড থাকলে সোয়াবিন খাওয়া কমাতে হবে। কারণ এর আইসোফ্ল্যাভিন থাইরয়েডে সমস্যার কারণ হয়। এটি খেলে থাইরয়েডের সমস্যা অনেক বেড়ে যেতে পারে।
৩। ব্রকোলি, ফুলকপি
এই দু’টি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। কিন্তু থাইরয়েড থাকলে তা ক্ষতিকর। এর ফাইবার, নিউট্রিয়েন্টস থাইরয়েড হরমোনের সমস্যার কারণ। তাই থাইরয়েডের সমস্যায় ব্রকোলি, শালগম, ফুলকপি, বাঁধাকপি জাতীয় যাবতীয় খাবার খাওয়া কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
৪। বিন, ডাল
ফাইবারও শরীরের জন্য ভালো। কিন্তু অতিরিক্ত ফাইবার থাইরয়েডের সমস্যাকে জটিল করে। তা হজমের সমস্যা তৈরি করে, থাইরয়েডের ওষুধের কার্যকারিতায় বাধা দেয়। তাই ডাল, বিন অল্প করে খান।
৫। মাখন, ভাজাভুজি, ফাস্ট ফুড
ফ্যাট থাইরয়েড হরমোনের ওষুধের কাজে বাধা সৃষ্টি করে। তাই ডায়েট থেকে মাখন, মেয়োনিজ, তেলেভাজা ফাস্টফুড ইত্যাদি যতটা সম্ভব বাদ দিন।
৬। কফি
কফিতে থাকে ক্যাফেইন। এটিও ওষুধের কাজে বাধা দেয়। তাই থাইরয়েডের ওষুধ খেলে কফি খাওয়া বন্ধ করতে হবে বা কমিয়ে ফেলতে হবে।
৭। মিষ্টি খাবার
মিষ্টি খাওয়াও কমাতে হবে। কারণ থাইরয়েড শরীরের মেটাবলিজমকে ধীরে করে দেয়। ফলে মোটা হওয়ার ভয় বাড়ে। মিষ্টি খেলে বাড়তি ক্যালোরি ওজন বাড়ায়। তাই মিষ্টির ব্যাপারে সংযত হতে হবে।
৮। প্রসেসড ফ্রোজেন ফুড
প্রসেস করা খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রিজারভেটিভ থাকে। প্রিজারভেটিভ মানেই সোডিয়াম। থাইরয়েডে সোডিয়াম খাওয়া উচিত নয়। বেশি সোডিয়াম উচ্চ রক্তচাপের কারণ। এটি থাইরয়েডের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দেয়।
৯। অ্যালকোহল
অ্যালকোহল থাইরয়েড হরমোনের সামঞ্জস্যকে নষ্ট করে দিতে পারে। শরীরে স্বাভাবিক থাইরয়েড উৎপাদনকেও বাধা দেয় এটি।
১০। কোল্ডড্রিঙ্কস
সফট ড্রিঙ্কস বা কোল্ডড্রিঙ্কসগুলোতে প্রচুর চিনি থাকে তা ক্ষতিকর। তাই থাইরয়েড থাকলে কোল্ড ড্রিঙ্কস না খাওয়াই উচিত।
আরও – থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা থেকে উপশমে যে ছ’টি খাবার আপনার জরুরি
-
ক্রিকেট1 day ago
IPL 2021: কাজে এল না সঞ্জু স্যামসনের মহাকাব্যিক শতরান, পঞ্জাবের কাছে হারল রাজস্থান
-
প্রবন্ধ2 days ago
First Man In Space: ইউরি গাগারিনের মহাকাশ বিজয়ের ৬০ বছর আজ, জেনে নিন কিছু আকর্ষণীয় তথ্য
-
দেশ2 days ago
Kumbh Mela 2021: করোনাবিধিকে শিকেয় তুলে এক লক্ষ মানুষের সমাগম, আজ কুম্ভের প্রথম শাহি স্নান হরিদ্বারে
-
ক্রিকেট2 days ago
IPL 2021: সাড়ে ৭টায় খেলা শুরু হওয়া নিয়ে তীব্র অসন্তুষ্ট মহেন্দ্র সিংহ ধোনি