খবর অনলাইন: কফিকে ‘সম্ভাব্য কার্সিনোজেন’-এর শ্রেণি থেকে বাদ দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। হু ঘোষণা করেছে, ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে কফির যোগ আছে, এমন কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই। পাশাপাশি ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার (আইএআরসি) বলেছে, যে কোনও পানীয় যদি ‘খুব গরম’ পান করা হয়, তা হলে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই ‘খুব গরম পানীয়’কে মানুষের ক্ষেত্রে ‘সম্ভাব্য কার্সিনোজেন’-এর শ্রেণিতে রেখেছে আইএআরসি। বুধবার প্রকাশিত আইএআরসি-এর এক রিপোর্ট থেকে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
আইএআরসি জানিয়েছে, চিন, ইরান ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলিতে চা পান করা হয় ৬৫ থেকে ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি তাপমাত্রায় গরম করে। উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের কাফেগুলিতে যে গরম পানীয় সার্ভ করা হয়, তার তাপমাত্রা অনেক কম থাকে।
আইএআরসি-এর যে কর্মসূচি অনুসারে কার্সিনোজেনের শ্রেণি বিভাগ করার কাজ চলছে সেই কর্মসূচির ডেপুটি হেড ডানা লুমিস বলেন, যে সব দেশে খুব গরম পানীয় পান করা প্রায় বারোয়ারি ব্যাপার সেই সব দেশে খাদ্যনালি-ক্যান্সারের হার খুব বেশি। আমরা খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে সম্ভাব্য যোগাযোগটা খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে থাকি। আমরা দেখেছি, ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম তাপমাত্রায় পানীয় পান করলেও গায়ের চামড়া পুড়ে যায় আর এর চেয়ে বেশি তাপমাত্রায় পানীয় পান করলে তা আরও অনেক বেশি ক্ষতিকর হতে পারে।
কফির সঙ্গে ক্যান্সারের যোগাযোগ নিয়ে কাজ করেছেন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির এপিডেমিওলজিস্ট ওয়েন ইয়াং। তিনি বলেন, “আমি ঠিক নিশ্চিত নই কেন কফি ‘সম্ভাব্য কার্সিনোজেন’-এর শ্রেণিতে ছিল। তথ্যপ্রমাণ যা আছে তা থেকে বলাই যায়, কফি ক্যান্সারের আশঙ্কা বাড়ায় না।”
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।
Very nice , interesting news.
Thanks for visiting our news portal.
Thanks for visiting our news portal.