ভারতীয় মশলার খ্যাতি বিশ্বজোড়া। মশলা শুধু খাবারের স্বাদ-গন্ধ বাড়ায় না, মশলারও আছে নানা স্বাস্থ্যকর দিক। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা থেকে শুরু করে হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখা, আর্থ্রাইটিসের ব্যথাও সারায় মশলা। কিন্তু বেশি পরিমাণে মশলার জন্য আবার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হয়।
কোন কোন মশলা বেশি পরিমাণে খেলে কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
আদা: আদায় রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ। অ্যাক্টিভ কম্পাউন্ড থাকায় আদা পেট ফোলা, পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য, বমিবমি ভাব, শরীরের ফোলা ভাব কমায় কিন্তু বেশি পরিমাণে আদা খেলে বুক জ্বালা, ডায়রিয়া ও ঠোঁটে জ্বালা জ্বালা করে। বেশি পরিমাণে আদা খেলে অনেকের হার্টের সমস্যা বাড়তে পারে।
হলুদ: হলুদে থাকা কারকুমিন পদার্থের জন্য হলুদ সংক্রমণ, ক্যানসার, ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশনের মতো সমস্যা দূর করে। কিন্তু বেশি পরিমাণে হলুদ খেলে হজমের গন্ডগোল, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, গ্যাস, অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়ায়। কারকুমিন পদার্থের জন্য বেশি পরিমাণে হলুদ খেলে লিভারের সমস্যা হয়। হলুদ অনেক সময় রক্ত পাতলা করে দেয় অভ্যন্তরীণ রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়ায়।
লবঙ্গ: ভিটামিন কে, ম্যাঙ্গানিজ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ লবঙ্গ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, সংক্রমণ আটকায়। তবে বেশি পরিমাণে লবঙ্গ খেলে রক্তে আচমকা শর্করার মাত্রা কমিয়ে দেয়। সময় অনুযায়ী এই সমস্যা না মেটালে তা প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।

রসুন: রসুনে আছে অ্যালিসিন নামক পদার্থ যা কোলোন, পাকস্থলীর ক্যানসার যেমন প্রতিরোধ করতে পারে তেমনই সংক্রমণ আটকাতে পারে, রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। কিন্তু বেশি পরিমাণে রসুন খেলে পেটের গন্ডগোল হয়, মুখে দুর্গন্ধ হয়, অভ্যন্তরীণ রক্তপাতের সমস্যা দেখা যায়। রসুনে ফ্রুকট্যান নামক পদার্থ আছে বলে অনেকের বদহজম, গ্যাস, পেট ফোলা দেখা যায়।
তেজপাতা: পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ তেজপাতা। কিন্তু বেশি পরিমাণে তেজপাতা খেলে অ্যালার্জির সমস্যা দেখা যায়। আচমকা শর্করার মাত্রা কমে যায় রক্তে।
দারচিনি: রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, মানসিক উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা দূর করে দারচিনি কিন্তু বেশি পরিমাণে দারচিনি খেলে মুখে ও ঠোঁটে জ্বালা জ্বালা ভাব দেখা যায়। অ্যালার্জির সমস্যা দেখা যায়।
জায়ফল: জায়ফল যন্ত্রণা, ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। বেশি পরিমাণে জায়ফল খেলে মানসিক উদ্বেগ, ঝিমুনি ভাব, ক্লান্তি ভাব, চিন্তাধারায় গন্ডগোল দেখা যায়।