স্থুলতা নিয়ে চিন্তিত? কঠোর ভাবে ডায়েট কন্ট্রোল করছেন? ভাজাভুজি, মুখরোচক খাওয়া, কার্বোহাইড্রেট খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন। তাতেও কাজের কাজ কিস্যু হচ্ছে না। কমছে না বাড়তি ওজন। কেন ওজন নিয়ন্ত্রণে আসছে না, বুঝতে পারছেন না। আসলে আপনার পরিকল্পনার গোড়ায় গলদ আছে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে খাচ্ছেন দুধ। পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতে শোওয়ার আগে দুধ খেলে ওজন কমবে না উল্টে বাড়বে। এক গ্লাস দুধে কমবেশি ১২০ ক্যালরি শক্তি থাকে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে দুধ খেলে সেই এনার্জি মোটেও ক্ষয় হয় না। রাতে আমরা যখন ঘুমোই তখন লিভার ডিটক্সিফিকেশন হয়। কিন্তু দুধ খেলে ব্যাহত হয় সেই প্রক্রিয়া। তাই টক্সিন আমাদের শরীরেই জমা হতে শুরু করে।
ওজন বাড়বে বলে দুধ খাওয়া বন্ধ করে দেবেন, এমন নয়। ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ দুধ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। ভিটামিন এ থাকে বলে চোখের স্বাস্থ্যর জন্য উপকারী দুধ। দুধে পাওয়া যায় ওহে এবং ক্যাসেইন নামে ২টি প্রোটিন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, দুধে থাকা ২টি প্রোটিন রক্তচাপ ও রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। উচ্চ রক্তচাপ ও রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি হলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই দুধ হার্টের বন্ধু। তাই ডায়েটে অবশ্যই রাখুন দুধ। তবে দিনে খান দুধ, রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে দুধ খাবেন না।
কেন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে দুধ খাওয়া নৈব নৈব চ
১) দুধে পাওয়া যায় ল্যাকটোজ প্রোটিন তাই ঘুমোতে যাওয়ার আগে দুধ খাওয়া উচিত নয়। দুধ খেলে সহজে ঘুম আসে না। ঘুমের সমস্যা হয়।
২) রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে দুধ খেলে লিভারের ডিটক্সিফিকেশনে দেরি হয়। লিভারের কার্যক্ষমতা দেরি হয়।
৩) দুধ একেবারে ব্যালেন্সড খাবার, রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে দুধ খেলে হজমের গন্ডগোল হয়।