শীত বললেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে সুগন্ধি নলেন গুড়। শীতকালে সবাই কমবেশি খাবারের শেষ পাতে মিষ্টিমুখ করতে ভালোবাসে। নলেন গুড়ের একটা নিজস্ব গন্ধ আর স্বাদ আছে। কিন্তু স্বাদেগন্ধে অতুলনীয় নলেন গুড় অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর খাবার।
নলেন গুড়ের ৯টি স্বাস্থ্যকর দিক
রক্ত শোধন করে: রক্ত পরিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে গুড়। তাই প্রত্যেক দিন খাবারের পর অল্প পরিমাণে নলেন গুড় খান। ক্লিনিং এজেন্ট হিসাবে কাজ করে নলেন গুড় রক্ত শোধন করে।
হজমে সাহায্য করে: প্রাকৃতিক ভাবে শোধনের গুণ থাকায় হজমের গণ্ডগোল মেটায় নলেন গুড়। খাবার সহজে হজম করতে সাহায্য করে। প্রত্যেক দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে জলের সঙ্গে নলেন গুড় খান। শরীর থেকে সব টক্সিন বা দূষিত পদার্থ বের হয়ে যাবে।
পেট ঠান্ডা রাখে: শরীর বিশেষত পেট ঠান্ডা রাখে নলেন গুড়। প্রতিদিন অল্প পরিমাণে নলেন গুড় খেলে পেটের গোলমাল দূর হয়।
অ্যানেমিয়া বা রক্তাল্পতা আটকায়: নলেন গুড়ে প্রচুর পরিমাণে লোহা থাকায় অ্যানেমিয়া বা রক্তাল্পতার সমস্যা আটকাতে সক্ষম নলেন গুড়।
ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী: নলেন গুড় ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী। ব্রণ, ফুসকুড়ির সমস্যা দূর করতে পারে নলেন গুড়। তাই দাগহীন, উজ্জ্বল ত্বক পেতে প্রতিদিন খান নলেন গুড়।
গলা ব্যথা, ঠান্ডা লাগার সমস্যা দূর করে: বহু প্রাচীন কাল থেকে গলা ব্যথা, ঠান্ডা লাগার সমস্যা দূর করতে নলেন গুড়ের ব্যবহার চলে আসছে। নলেন গুড়ে প্রচুর পরিমাণে মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টস থাকে। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন আর খনিজ পদার্থ আছে বলে নলেন গুড় শরীর গরম রাখে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। গলা ব্যথা, ঠান্ডা লাগা আটকায়।
এনার্জি বুস্টার: নলেন গুড় শরীর সতেজ ও চনমনে রাখে। হাতের কাছে নলেন গুড় থাকলে অন্য কোনো এনার্জি ড্রিঙ্কের প্রয়োজনই নেই। সহজে হজম হয় নলেন গুড়। সিস্টেমে মিশে যায়। রক্তে শর্করার মাত্রাও সঙ্গে সঙ্গে বাড়ায় না নলেন গুড়।
হাঁপানি আটকায়: হাঁপানি থাকলে অনায়াসে খান নলেন গুড়। কারণ নলেন গুড়ে অ্যান্টি অ্যালার্জিক আর শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার গুণ আছে বলে উপকার হয়।
জয়েন্টে ব্যথা কমায়: এক টুকরো আদা আর অল্প পরিমাণে নলেন গুড় খেলে জয়েন্টে ব্যথা কমায় আর মাইগ্রেনের সমস্যা দূর হয়।