শরীরস্বাস্থ্য
শীতকালে খুসকির হাত থেকে মুক্তি পেতে ৫টি পদ্ধতি
ঘাবড়ানোর কারণ নেই, সাধারণ কয়েকটি পদ্ধতি অনুসরণ করলে খুসকিকে দূরে রাখা যেতে পারে।

খবর অনলাইন ডেস্ক: অকালে চুল পড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ খুসকি। খুসকি (dandruff) এখন আমাদের বারো মাসের সঙ্গী হলেও শীতকালেই এর আবির্ভাব বেশি। তবে ঘাবড়ানোর কারণ নেই, সাধারণ কয়েকটি পদ্ধতি অনুসরণ করলে খুসকিকে দূরে রাখা যেতে পারে।
খুসকির কাণ্ডকারখানা
খুসকি আপনার চুলকে গোড়া থেকে দুর্বল করে দেয়। যার ফলে চুল পড়ে যেতে পারে অকালে। প্রত্যেকেই সুন্দর এবং স্বাস্থ্যকর চেহারার চুল পছন্দ করেন। কিন্তু খুসকি আপনার চুলকে শুষ্ক ও নিস্তেজ করে দেয়।
খুসকির হাত থেকে স্থায়ী সমাধান পেতে চুলের যত্ন নিতে হবে। আপনার জীবনযাত্রাকে অনেকাংশে পরিবর্তন করতে হবে যার মধ্যে স্বাস্থ্যকর ভারসাম্যযুক্ত ডায়েট এবং শারীরিক অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আপনার শরীরের পাশাপাশি আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়াও দরকার, কারণ স্ট্রেসের কারণেও খুসকি হতে পারে।
এখন শীতকাল, ফলে খুসকির প্রভাবও বেশি। ফলে শীতের সময় চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে হবে। কারণ, এটাই খুসকির অন্যতম কারণ। একই সঙ্গে নিয়মিত চুল পরিষ্কার না করা, চুল না কাটা ইত্যাদিও খুসকির কারণ। তবে চুলের যত্ন নিতে নিয়মিত কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করলে, খুসকি আটকানো সম্ভব।
পাঁচটি পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন
১. তেলের ব্যবহার
আপনার চুলে তেল দিন। প্রতি স্নানের সময় এক সপ্তাহে কমপক্ষে তিন বার চুলে তেল দিন। এটা আপনার মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন সহজতর করে এবং শীতকালে আপনার চুলের যে আর্দ্রতা প্রয়োজন তা দিয়ে থাকে। তেল আপনার চুলকে নরম ও মসৃণ করে তোলে এবং আপনার মাথার ত্বককে শুকনো হওয়া থেকে রক্ষা করে।
২.স্বাস্থ্যকর খাবার
একটি ভালো ডায়েট স্বাস্থ্যকর চুলের চাবিকাঠি। ডিম, মাছ, সবুজ মটর, গাজর, সবুজ শাকসবজির মতো উপযুক্ত খাবার খান এবং প্রচুর জল পান করুন। সুষম খাদ্য আপনার চুলকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি দেয়। যার ফলে চুল স্বাস্থ্যকর এবং সুন্দর দেখায়।
৩. চুল আঁচড়ানো
স্বাস্থ্যকর মাথার ত্বকে রক্ত প্রবাহ অব্যাহত রাখতে ঘন ঘন চুল আঁচড়ান। পুষ্টিকর মাথার ত্বক চুল পড়া এবং খুসকি রোধ করে। এটা আপনাকে স্বচ্ছতা এবং চুলকানি থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করবে।
৪. স্ট্রেস কমান
স্ট্রেস চুল পড়ার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। অতিরিক্ত মানসিক চাপের ফলে খুসকি আরও বেড়ে যায়। যোগব্যায়াম করুন, ধ্যান করুন এবং নিস্তেজ এবং ক্ষতিগ্রস্ত চুল থেকে দূরে থাকার জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের দরকার। নেতিবাচক চিন্তাভাবনা দূরে থাকুন।
৫. চিনি কম খান
বেশি পরিমাণে চিনি খাওয়া আপনার চুলের জন্য খারাপ। রক্তে উচ্চ পরিমাণে চিনি মাথার ত্বকে স্তর তৈরি করার কারণে খুসতি বাড়াতে পারে। চিনির পরিবর্তে মধু বা গুড় খেতে পারেন এবং যেগুলিতে খুব বেশি চিনি রয়েছে এমন খাবারগুলি তালিকা থেকে বাদ দিতে পারেন।
*বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য। কোনো শারীরিক সমস্যার কারণ ভিন্ন হতে পারে। গড়তাপড়তা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ।
আরও পড়তে পারেন: চারটি ঘরোয়া পদ্ধতিতে পেয়ে যান খুসকি থেকে মুক্তি
শরীরস্বাস্থ্য
রোজ কেন খাবেন ধনেপাতা জেনে নিন

খবরঅনলাইন ডেস্ক: শীতের শাকসবজির মধ্যে অন্যতম হল ধনেপাতা। যদিও এখন প্রায় সারা বছরই ধনেপাতা কমবেশি পাওয়া যায়। এই ধনেপাতা প্রতি দিন নিয়মিত খেতে পারলে শরীরের অনেক উপকার হয়। বাকি শাকসবজির মতোই ধনেপাতারও একাধিক গুণ আছে। দেখে নেওয়া যাক সেগুলি –
১। প্রতি দিন ধনেপাতার শরবত খেলে কিডনি ভালো থাকে। জমে থাকা ক্ষতিকর নুন ও বিষাক্ত পদার্থ মূত্রের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়।
২। ধনেপাতা শরীরের ভালো কোলেস্টরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে। হজমে সাহায্য করে। পেট পরিষ্কার করে।
৩। সুগারের রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী। এটি রক্তে সুগারের মাত্রা কমায়।
৪। এর অ্যান্টিসেপটিক উপাদান মুখের আলসার নিরাময় করে।
৫। ধনেপাতার ভেষজ উপাদান চোখের জন্যও ভালো।
৬। ঋতুস্রাবের সময় রক্তশূন্যতা দূর করে ধনেপাতা কারণ এতে প্রচুর আয়রন থাকে।
৭। ধনেপাতার ফ্যাটে দ্রবণীয় ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি ফুসফুস ও পাকস্থলীর জন্য ভালো।
৮। রয়েছে অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান। বাতের ব্যথা, হাড় জয়েন্টের ব্যথা কমায়।
৯। ধনেপাতায় সিনিওল এসেনশিয়াল অয়েল ও লিনোলিক অ্যাসিড থাকে। এগুলি অ্যান্টিরিউম্যাটিক এবং অ্যান্টিআর্থ্রাইটিক।
১০। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে। মস্তিষ্কের স্নায়ু সচল রাখে।
১১। ত্বকের জ্বালাপোড়া এবং ফুলে যাওয়া কমায়। অ্যান্টিহিস্টামিন উপাদান অ্যালার্জি বা যে কোনো ক্ষতিকারক প্রভাব দূর করে।
১২। গুটিবসন্ত প্রতিকার এবং প্রতিরোধ করে ধনেপাতার মধ্যে থাকা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ডিটক্সিফাই উপাদান, ভিটামিন সি এবং আয়রন।
১৩। ধনেপাতা কাঁচা চিবিয়ে খেলে মুখের বাজে গন্ধ দূর হয়।
শরীরস্বাস্থ্য
করোনা ভ্যাকসিন: সাধারণ ও বিরল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলি কী কী
সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং বিরল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ারও রকমফের রয়েছে। এখানে দেখে নেওয়া যাক বিস্তারিত…

নয়াদিল্লি: গত ১৬ জানুয়ারি থেকে ভারতে শুরু হয়েছে করোনা টিকাকরণ। স্বাস্থ্যকর্মী এবং প্রথম সারির করোনাযোদ্ধাদের দেওয়া হচ্ছে সেরাম ইনস্টিটিউট এবং ভারত বায়োটেকের তৈরি প্রতিষেধক। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সোমবার পর্যন্ত ৩ লক্ষ ৮১ হাজার ৩০৫ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। যাঁদের মধ্যে ৫৮০ জনের শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা সাইড এফেক্ট এবং বিরূপ প্রভাব বা এডিআর এক বিষয় নয়। আবার সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ((common side effects) এবং বিরল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ারও (uncommon side effects) রকমফের রয়েছে। এখানে দেখে নেওয়া যাক বিস্তারিত।
কয়েকটি সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
*ইনজেকশনের জায়গাটি লাল ভাব অথবা ফুলে থাকা এবং ব্যথা
*দুর্বল অথবা অসুস্থ হওয়ার অনুভূতি
*ক্লান্তি
*মাথাব্যথা
*ঠান্ডা লাগা বা জ্বরের মতো অনুভূতি
*বমি বমি ভাব
*পেশি, গায়ে অথবা জয়েন্টে ব্যথা
*অন্যান্য জ্বরের মতো লক্ষণ, নাক দিয়ে জল গড়ানো
কয়েকটি বিরল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
*মাথা ঘোরা
*খিদে কমে যাওয়া
*পেট ব্যথা
*অতিরিক্ত ঘাম দেওয়া
*ত্বকে চুলকানি বা ফুসকুড়ি
প্রতিকূল ঘটনা (AE)
ভ্য়াকসিন নেওয়ার পর যে কোনো চিকিৎসা সংক্রান্ত ঘটনা, যার সঙ্গে ভ্যাকসিনের সরাসরি সম্পর্ক নাও থাকতে পারে। এগুলি ভ্যাকসিনের সঙ্গে সম্পর্কিত বা কোনো সম্পর্ক নাও থাকতে পারে।
ওষুধের বিরূপ প্রভাব (ADR)
যদি কোনো প্রতিকূল ঘটনা দেখা দেয়, তখন তাকে এডিআর বলা হয়। ভ্যাকসিন দেওয়ার পর দিন শিশুর জ্বর এলে সেটা এক ধরনের ‘এই’, কার্যত এটা একটা এডিআর-ও।
মারাত্মক ‘এই’ এবং মারাত্মক এডিআর
‘এই’ যদি মারাত্মক আকার নেয় এবং সেটা যদি ভ্যাকসিনের প্রভাবেই প্রমাণিত হয়, তা হলে সেটাই একটা মারাত্মক এডিআর।
আরও পড়তে পারেন: কারা টিকে নিতে পারবেন না, জানিয়ে দিল ভারত বায়োটেক
শরীরস্বাস্থ্য
হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণগুলি জেনে নিন
সাধারণ মানুষের ধারণা, বয়সকালেই হার্ট অ্যাটাক হয়। কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের কোনো নির্দিষ্ট বয়স নেই।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: সাধারণ মানুষের ধারণা, বয়সকালেই হার্ট অ্যাটাক হয়। কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের কোনো নির্দিষ্ট বয়স নেই। হৃদযন্ত্রের কোনো শিরায় রক্ত চলাচলে বাধা এলে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। এর পেছনে অনেক কারণ কারণ কাজ করে – বয়স, উচ্চ রক্তচাপ, অতিরিক্ত উত্তেজনা, মানসিক চাপ, শরীরে বেশি মাত্রায় কোলেস্টেরল, অতিরিক্ত মেদ, মদ্যপান, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি।
অনেক সময় বুকে ব্যথা ছাড়াই হার্ট অ্যাটাক হয়। তা আদপে হার্ট অ্যাটাক কি না বোঝা যায় না। তবে কিছু না কিছু লক্ষণ তো থাকেই। যেগুলি থেকে বোঝা যায় যে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে কি না।
সেই সব লক্ষণ
১। বিশেষজ্ঞদের মতে, হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আভাস পাওয়া যায় প্রায় ১ মাস আগে থেকেই। সেই সময় অকারণে দুর্বল ভাব, ঘন ঘন শ্বাসের সমস্যা, হাঁপানি শুরু হয়। এমন হলে সতর্ক হোন। হতে পারে হৃদপিণ্ডকে বিশ্রাম দেওয়া দরকার। পরামর্শ নিন চিকিৎসকের।
২। বিশেষজ্ঞরা বলেন, হার্ট অ্যাটাকের আগে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বদহজম, বুক জ্বালা, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, বমি হওয়া সহ নানা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল সমস্যা হয়। এগুলি একদম স্বাভাবিক সমস্যার মতো। কিন্তু হতে পারে এটা হার্ট অ্যাটাকের পুর্বাভাস।
৩। যদি কারণ ছাড়াই বেশি ঘাম হয় ও তা বেশ ঠান্ডা হয় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তা অবহেলা করবেন না। এটিও হার্ট অ্যাটাকের একটি লক্ষণ। কারণ হার্ট ব্লক হলে রক্ত সঞ্চালনের জন্য হৃদপিণ্ডকে অনেক বেশি কাজ করতে হয়। এই পরিশ্রমের জন্য ঘাম হয়। এমন হলে চিকিৎসকের কাছে যান।
৪। অ্যাটাকের সময় বুকে ব্যথা অনুভূত না হলেও অস্বস্তি হয়, চাপ ধরা, ভারী ভাব লাগে, শ্বাস নিতেও সমস্যা হয়। এমন হলে দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
৫। চিকিৎসকরা বলেন, শুধু বুকে নয়, শরীরের আরও কিছু অঙ্গে ব্যথা অনুভূত হলেও হতে পারে সেটা হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। যেমন দাঁত, চোয়াল, গলা, কাঁধ, পিঠ, পেটের উপরের অংশ এবং বাঁ হাতে হঠাৎ বেশ ব্যথা বা চাপ ভাব বা অস্বস্তি বা আড়ষ্ট ইত্যাদি।
তাই এমন কোনো সমস্যা বুঝলে দেরি না করে ব্যবস্থা নিন।
আরও – অবহেলা করবেন না, জরায়ুর ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণগুলি জেনে নিন
-
রাজ্য2 days ago
বুধবার রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ
-
কলকাতা3 days ago
এ বার সারা দিনের পাসে বাস-ট্রাম-ফেরিতে কলকাতা ভ্রমণ
-
প্রবন্ধ2 days ago
শিল্পী – স্বপ্ন – শঙ্কা: সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে যেমন দেখেছি, ৮৭তম জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য
-
দেশ3 days ago
ভারতের উপহার ২০ লক্ষ টিকা বুধবার পাচ্ছে বাংলাদেশ